প্রশ্নঃ নারী উন্নয়নে ব্র্যাক এর কর্মসূচিগুলো কী?
ভূমিকা: নারী ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে ব্র্যাক বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অলাভজনক সংস্থা। দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, সামাজিক ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, এবং জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্র্যাক বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে।
১. জেন্ডার নীতিমালা: ব্র্যাক ১৯৯৭ সালে জেন্ডার নীতিমালা প্রণয়ন করে এবং পরবর্তীতে ২০০৭ সালে তা পরিমার্জন করে। এই নীতিমালা ব্র্যাকের সকল কর্মসূচি ও কার্যক্রমে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠা ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে।
আরো পড়ুনঃ কৃষি কাঠামো বলতে কী বুঝায়? বাংলাদেশের কৃষির বৈশিষ্ট্যাবলী লেখ
২. আর্থ-সামাজিক কর্মসূচি: ব্র্যাক নারীদের ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করে তাদের আর্থিক ক্ষমতায়ন ও স্বাবলম্বী করে তোলে। কৃষি, পশুপালন, হস্তশিল্প, ব্যবসায় প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান করে নারীদের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ সৃষ্টি করে। নারীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে। নারী শিক্ষা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা ও সহায়তা প্রদান করে।
৩. সামাজিক ক্ষমতায়ন: ব্র্যাক নারীদের আইনি সহায়তা ও মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে। নারীদের পরিবার ও সমাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য কাজ করে। নারীদের মধ্যে নেতৃত্ব বিকাশের প্রশিক্ষণ ও সুযোগ সৃষ্টি করে।
৪. নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধ: নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা চালায় ব্র্যাক। সহিংসতার শিকার নারীদের আইনি সহায়তা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে পুরুষদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করে।
৫. নীতি প্রণয়নে প্রভাব: ব্র্যাক নারী অধিকার বিষয়ক গবেষণা ও পর্যালোচনা পরিচালনা করে। ব্র্যাক নীতি নির্ধারকদের নারী অধিকার বিষয়ক নীতি প্রণয়নে প্রভাবিত করে।
আরো পড়ুনঃ পল্লী উন্নয়ন বলতে কি বুঝ?
উপসংহার: ব্র্যাকের নারী উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের নারীদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে আসছে। নারীদের আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়ন, স্বাবলম্বন ও সমাজের সকল ক্ষেত্রে সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ব্র্যাকের অবদান অনস্বীকার্য।