Speech on East India Bill Bangla Summary

১৭৮৩ সালের ১৮ নভেম্বর ব্রিটিশ পার্লামেন্টে William Pitt the Younger ইস্ট ইন্ডিয়া বিলের ওপর বক্তৃতা দেন। বিলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পুনর্গঠন এবং ব্রিটিশ সরকারকে এর বিষয়ে আরও নিয়ন্ত্রণ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।

earn money

The Intention of the East India Bill/ইস্ট ইন্ডিয়া বিলের উদ্দেশ্য

বক্তৃতার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হল:

১। দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা ভারতকে আর্থিক ধ্বংস এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার দিকে নিয়ে যায়। এই কারণে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একটি সংকটের মধ্যে ছিল।

২। প্রস্তাবিত বিলটির লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ সরকারের নিয়ন্ত্রণে ভারতের জন্য একটি নতুন সরকার ব্যবস্থা তৈরি করা।

ইউটিউবে ভিডিও লেকচার দেখুনঃ


৩। তিনি ভারতে ব্রিটিশ ব্যবসা-বাণিজ্যের গুরুত্ব এবং একটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ অর্থনীতির প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।

৪। Pitt এর বক্তৃতা হুইগস পার্টির বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছিল, যারা বিলটিকে তাদের নিজস্ব ক্ষমতা এবং প্রভাবের জন্য হুমকি হিসাবে দেখেছিল।

৫। বিরোধিতা সত্ত্বেও, বিলটি অবশেষে পাশ হয়, যা ভারতের প্রতি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ নীতির কটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে চিহ্নিত। 

The Mercantile Policy of the East India Company/ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্য নীতি

১। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একটি বাণিজ্যবাদী নীতি অনুসরণ করেছিল যা সর্বাধিক মুনাফা এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের উপর দৃষ্টি দিয়েছিল।

২। কোম্পানির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল চা, মশলা এবং তুলা জাতীয় পণ্যের উৎপাদন ও বাণিজ্যে একচেটিয়া অধিকার স্থাপন করা।

৩। কোম্পানিটি ভারতীয় ভূখণ্ডের উপর নিয়ন্ত্রণ অর্জনের জন্য তাদের সামরিক ও রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে।

৪। অর্থনৈতিক শোষণের এই নীতি ভারতীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক দারিদ্র্য ও দুর্ভোগের দিকে সৃষ্টি করে। ফলে শ্রমিকরা অল্প বেতনে কাজ করতে বাধ্য হয়।

৫।  বার্ক যুক্তি দিয়েছিলেন যে কোম্পানির বণিকবাদী নীতিগুলি ভারতীয় জনগণ এবং ব্রিটিশ স্বার্থ উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর, কারণ তারা মুক্ত বাণিজ্য এবং ন্যায্য প্রতিযোগিতার নীতিগুলিকে ক্ষুন্ন করে।

৬। তিনি কোম্পানির ক্রিয়াকলাপগুলিতে বৃহত্তর স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা সহ কোম্পানির ক্রিয়াকলাপগুলির তত্ত্বাবধানের জন্য একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান৷

Revenue Policy of the Company/কোম্পানির রাজস্ব নীতি

১। ভারতীয় জনগণের উপর বিশেষ করে জমি ও কৃষির উপর অসহনীয় কর আরোপ করা ছিল। কোম্পানিটি কৃষকদের খাদ্য শস্যের পরিবর্তে অর্থকরী ফসল ফলাতে বাধ্য করে, যার ফলে ব্যাপক দুর্ভিক্ষ ও দারিদ্র্য দেখা দেয়। 

২। জমিদার/জামিনদারদের  মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ করা হতো, যারা কৃষকদের কাছ থেকে কর আদায় করে কোম্পানির কাছে পাঠানোর জন্য নিযুক্ত ছিল। 

৩। এই নীতিটি ছিল শোষণমূলক এবং নিপীড়নমূলক। এবং এটি ভারতীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি করে যা পরবর্তীতে তাদের প্রতিরোধের দিকে ধাবিত করেছিল।

Burke’s Objections on the Bill/বিলের উপর বার্কের আপত্তিগুলো

এডমন্ড বার্ক একজন সচেতন পর্যবেক্ষক ছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অত্যাচার বন্ধ না হলে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য খুব শীঘ্রই ভারত থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিলে আপত্তি জানান। আপত্তিগুলো হলো:

১। এটি সংসদের কর্তৃত্বের উপর আক্রমণ।

২। এটি ব্যক্তিগত লাভের জন্য ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণ অর্জনের একটি চক্রান্ত।

৩। এটি ভারতে বিদ্যমান রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোকে ক্ষুন্ন করার একটি প্রচেষ্টা।

৪। এটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং এর কর্মচারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ  রাখার একটি প্রচেষ্টা।

৫। এটি ভারতীয় জনগণের অধিকার লঙ্ঘন।

৬। এটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

Burke’s Limitations in the Speech/বক্তৃতায় বার্কের সীমাবদ্ধতা

যদিও ইস্ট ইন্ডিয়া বিলের উপর এডমন্ড বার্কের বক্তৃতাকে রাজনৈতিক বক্তৃতার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় কিন্তু এর কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। যেমন:

১। Conservative bias/রক্ষণশীল পক্ষপাত: কিছু সমালোচক যুক্তি দেন যে ইস্ট ইন্ডিয়া বিলের উপর বার্কের বক্তৃতা তার রক্ষণশীল রাজনৈতিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

২। Lack of concrete proposals for reform /সংস্কারের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবের অভাব: যদিও বার্ক প্রস্তাবিত ইস্ট ইন্ডিয়া বিলের সমালোচনা করেছিলেন কিন্তু তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য কোনো সুস্পষ্ট বিকল্প সমাধান দেননি।

৩। Limited perspective/সীমিত দৃষ্টিভঙ্গি: বার্কের বক্তৃতা ব্রিটিশ শাসনের অধীনস্থ ভারতীয় জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতার চেয়ে ব্রিটিশ প্রজাদের অধিকার ও স্বাধীনতার উপর বেশি দৃষ্টিপাত করে।


৪। Idealistic rather than practical/ব্যবহারিকের চেয়ে আদর্শবাদী: বার্কের বক্তৃতা প্রায়শই ব্যবহারিকের চেয়ে বেশি আদর্শবাদী হওয়ার জন্য এবং ঔপনিবেশিক ভারতের জটিল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য সমালোচনা করা হয়।

Read Also: Francis Bacon’s Essays Bangla Summary

Mr. Abdullah
Mr. Abdullah
This is Mr. Abdullah, a passionate lover and researcher of English Literature.

3 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

ফেসবুক পেইজ

কোর্স টপিক