Tess of the d’Urbervilles Bangla Summary

Tess of the d’Urbervilles

থমাস হার্ডি ছিলেন একজন বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক ও কবি। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৮৪০ সালের ২ জুন, ইংল্যান্ডের ডরসেট কাউন্টির একটি ছোট্ট গ্রাম হায়ার বকহ্যাম্পটনে।

হার্ডি প্রথম খ্যাতি পান তাঁর ১৮৭৪ সালের উপন্যাস Far from the Madding Crowd প্রকাশের মাধ্যমে। পরে তিনি অনেক বিখ্যাত উপন্যাস লেখেন, যেমন— The Return of the Native (১৮৭৮), The Mayor of Casterbridge (১৮৮৬), Tess of the d’Urbervilles (১৮৯১), এবং Jude the Obscure (১৮৯৫)। এই উপন্যাসগুলো সাধারণ গ্রামীণ মানুষের সংগ্রাম এবং নিয়তির নিষ্ঠুরতা ফুটিয়ে তোলে। তাঁর গল্পগুলোর পটভূমি সাধারণত ওয়েসেক্স নামের এক কল্পিত অঞ্চলে স্থাপিত, যা আসলে ডরসেট এবং তার আশপাশের অঞ্চল থেকে তৈরি। তাঁর দুটি উপন্যাস— Tess of the d’Urbervilles এবং Far from the Madding Crowd— BBC আয়োজিত The Big Read জরিপে সেরা ৫০টি জনপ্রিয় উপন্যাসের তালিকায় স্থান পেয়েছিল।

থমাস হার্ডি ছিলেন ভিক্টোরিয়ান যুগের একজন বাস্তববাদী লেখক। অর্থাৎ, তিনি তাঁর সময়ে মানুষের বাস্তব জীবন ও বাস্তব সমস্যাগুলো তুলে ধরতেন। তাঁর উপন্যাস ও কবিতায় রোমান্টিক যুগের প্রভাব দেখা যায়, বিশেষ করে উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের কবিতার প্রভাব। হার্ডি প্রায়ই ভিক্টোরিয়ান সমাজের সমালোচনা করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে ব্রিটেনে গরিব গ্রামীণ মানুষের জীবন ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছিল। হার্ডি ১৯২৮ সালের ১১ জানুয়ারি, ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর অস্থি লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবির Poets’ Corner-এ সমাধিস্থ করা হয়।

Key Facts

  • Full Title: Tess of the d’Urbervilles: A Pure Woman Faithfully Presented
  • Author: Thomas Hardy (1840–1928)
  • When Written: 1887-1891
  • Where Written: Dorchester, England
  • Published: 1891
  • Genre: Victorian Novel; Tragedy; Social Realism
  • Time Setting: 1870s
  • Place Setting: Marlott, Trantridge, Talbothays Dairy, Flintcomb-Ash, Sandbourne, and Stonehenge (These places are in Wessex. Wessex is Hardy’s fictional region based on Dorset and nearby counties in southwest England.)
  • Tense: The novel is written in the past tense
  • Point of View: Third person omniscient, but generally follows Tess

আরো পড়ুনঃ A Tale of Two Cities Bangla Summary

Text Analysis in Bangla

প্রথম পর্ব: দ্য মেইডেন (কুমারী)

জন ডারবিফিল্ড তার প্রকৃত বংশপরিচয় জানতে পারে: এই উপন্যাসটি শুরু হয় দরিদ্র জন ডারবিফিল্ডকে (John Derbyfield) দিয়ে। সে টেসের বাবা। একদিন সে ক্লান্ত হয়ে কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিল। তখন গ্রামের পারসন ট্রিংহ্যাম (Parson Tringham) নামের এক ধর্মযাজকের সাথে তার দেখা হয়। ট্রিংহ্যাম তাকে একটা আশ্চর্যজনক খবর দেয়—তা হলো ডারবিফিল্ড পরিবারটি এসেছে একসময়ের অভিজাত ‘d’Urberville’ পরিবার থেকে। অর্থাৎ ডারবিফিল্ডদের পূর্বপুরুষরা হচ্ছে বিখ্যাত ‘d’Urvervilles.’ জন ডারবিফিল্ড তো এতদিন নিজেকে একজন সাধারণ গরিব মানুষই ভেবে এসেছে। এখন সে নিজের প্রকৃত বংশপরিচয় জেনে নিজেকে একজন সম্মানিত মানুষ ভাবতে শুরু করে।

টেসের মা জোয়ান ডারবিফিল্ডও (Joan Derbyfield) খুব উত্তেজিত হয়ে ওঠে। সে ভাবে এই নতুন বংশপরিচয় তাদের ভাগ্য বদলে দেবে। সে টেসকে বলে, এই অভিজাত নামই টেসের জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ হতে পারে। সে চায় টেসের যেন কোনো ধনী পরিবারে বিয়ে হয়। কিন্তু টেস এসব বড় স্বপ্নে বিশ্বাস করে না। সে শুধু তার দরিদ্র পরিবারকে সাহায্য করতে চায়।

মে-ডে নাচ ও টেস-অ্যাঞ্জেলের প্রথম দেখা: সেদিন সন্ধ্যায় তাদের গ্রাম মারলটে (Marlott) এক মে-ডে (May Day) উৎসব হয়, যেখানে নাচ হয়। টেসও অন্য মেয়েদের সঙ্গে সেখানে যায়। টেস খুব সুন্দরী। সে সাদা জামা পরে আর কোমরে একটা লাল ফিতা বাঁধে। সে নাচ করতে ভালোবাসে। তখন অ্যাঞ্জেল ক্লেয়ার (Angel Clare) ও তার দুই ভাই সেখানে উপস্থিত হয়। অ্যাঞ্জেল কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে মেয়েদের জন্য বেহালা বাজায়। সে টেসকে দেখে এবং তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়। কিন্তু সে টেসকে তার সাথে নাচতে অনুরোধ করে না। এতে টেসের কিছুটা মন খারাপ হয়। এটাই টেস আর অ্যাঞ্জেলের প্রথম দেখা।

তাদের পারিবারিক ঘোড়া প্রিন্স দুর্ঘটনায় মারা যায়: পরের দিন সকাল বেলা। জন ডারবিফিল্ডকে মধুর চাক নিয়ে বাজারে যেতে হবে। কিন্তু সে খুব নেশাগ্রস্ত আর অসুস্থ। তখন টেস দায়িত্ব নেয়। সে বলে সে নিজেই ঘোড়ার গাড়িতে করে ও তার ছোট ভাই আব্রাহামকে সাথে নিয়ে মৌচাক বাজারে পৌঁচে দিবে।

রাস্তায় যেতে যেতে আব্রাহাম তাকে জিজ্ঞেস করে—এই পৃথিবীটা কি “ভালো” না “খারাপ”? টেস উত্তর দেয়, সে মনে করে পৃথিবীটা “ব্লাইটেড” বা দুঃখে ভরা।

পথিমধ্যে তারা দুজনেই খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ে ও ঘুমিয়ে যায়। তখন একটা মেইল কার্ট (চিঠি বহনকারী ঘোড়ার গাড়ি) এসে তাদের গাড়িতে ধাক্কা দেয়। এতে তাদের প্রিয় ঘোড়া প্রিন্স মারা যায়। টেস ঘুম ভেঙে দেখে প্রিন্সের বুক চিরে রক্ত পড়ছে। সে কাঁদতে থাকে আর রক্ত থামাতে চায়, কিন্তু খুব দেরি হয়ে যায়। সে প্রিন্সকে বাঁচাতে পারে না। প্রিন্স ছিল তাদের পরিবারের একমাত্র মূল্যবান জিনিস। এখন পরিবারের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। টেস নিজেকে দোষী ভাবে। সে ভাবে—সে না ঘুমালে এমন হতো না। প্রিন্সের মৃত্যু গল্পের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। টেস মনে করে সে তার পরিবারে দুর্ভাগ্য ডেকে এনেছে। এই অপরাধবোধ তাকে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে। সে ধনী d’Urberville পরিবারে সাহায্যের জন্য যেতে বাধ্য হয়।

টেস সাহায্য চাইতে d’Urberville পরিবারে যায়: টেসের বাবা-মা ভাবে, ট্র্যানট্রিজে (Trantrige) বসবাসকারী d’Urberville পরিবার তাদের আত্মীয়, কারণ তাদের নাম d’Urberville। কিন্তু এই পরিবারটি আসলে d’Urberville নয়। তারা শুধু সেই বংশ পদমর্যাদা কিনে নিয়েছে। কিন্তু ডারবিফিল্ড পরিবার এটা জানে না।

টেস তাদের বাড়ি ‘The Slopes’-এ যায় সাহায্য চাইতে। সেখানে তার দেখা হয় Alec/অ্যালেক d’Urberville-এর সঙ্গে। অ্যালেক দেখতে সুদর্শন, কিন্তু সে একজন লোভী ও খারাপ চরিত্রের মানুষ। তার বাবা সাইমন স্টোকস-ই (Simon Stokes) অভিজাত বংশপরিচয় কিনে নিয়েছিল।

অ্যালেক টেসকে ধর্ষণ করে: অ্যালেক প্রথম দেখাতেই টেসের প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়ে। সে টেসকে স্ট্রবেরি খাওয়ায়, গোলাপ দেয়, আর মিষ্টি কথা বলে। কিন্তু তার মনে খারাপ উদ্দেশ্য আছে। সে টেসকে তার মায়ের পোষা পাখি দেখভালের কাজ দেয়। টেস রাজি হয়, কারণ সে তার নিজের পরিবারকে সাহায্য করতে চায়।

অ্যালেক সবসময় টেসের পেছনে ঘোরে। কখনো তাকে খুশি করতে চায়, আবার কখনো রূঢ় আচরণ করে। একদিন টাউনে কিছু মেয়ে টেসের সঙ্গে ঝগড়া করে। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছে কার ডার্চ (Car Darch)। কার হলো অ্যালেকের প্রাক্তন প্রেমিকা। সে টেসকে দেখে ঈর্ষান্বিত হয়, কারণ এখন অ্যালেক টেসের প্রতি মনোযোগ দিচ্ছে। তারা টেসকে আক্রমণ করে। অ্যালেক টেসকে উদ্ধার করে। ঘরে ফেরার পথে অ্যালেক টেসকে ‘The Chase’ নামক এক বনের ভেতর দিয়ে নিয়ে যায়। টেস ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং ঘুমিয়ে পড়ে। তখন অ্যালেক তাকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনার পর টেস আর ‘কুমারী’ থাকে না। এই একটি মুহূর্ত টেসের জীবনকে চিরদিনের জন্য পাল্টে দেয়। সে দুঃখিত, লজ্জিত এবং কষ্টে ভোগে, কিন্তু কাউকে কিছু বলে না।

দ্বিতীয় পর্ব: Maiden No More (টেস এখন আর কুমারী নয়)

টেস বাড়ি ফিরে আসে এবং ‘Sorrow’ নামের সন্তানের জন্ম দেয়: টেস মারলটে (Marlott) তার বাড়িতে ফিরে আসে। তার মন খুব ভারাক্রান্ত। সে মনে করে তার জীবন শেষ হয়ে গেছে। গ্রামবাসীরা টেসকে দোষ দেয়, যদিও আসলে দোষ ছিল অ্যালেকের (Alec)। কিছুদিন পর টেস অ্যালেকের সন্তান জন্ম দেয়—একটি ছেলে। সে তার নাম রাখে ‘সোরো’ (Sorrow)—দুঃখ।

কিন্তু সোরো খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। টেস চেষ্টা করে তার শিশুটিকে ব্যাপটাইজ করতে (ব্যাপটাইজ হচ্ছে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় প্রথা। শিশু জন্মের পর তাকে ব্যাপটাইজ করতে হয়। এটি ইসলাম ধর্মের আকীকার মত)। সে চেষ্টা করে কোনো ধর্মযাজক যেন শিশুটিকে ব্যাপটাইজ করে দেয়। কিন্তু কেউ এই অবৈধ শিশুটিকে ব্যাপটাইজ করতে রাজি হয় না। টেস খুবই কষ্ট পায় ও সে নিজেই তার সন্তানকে ব্যাপটাইজ করে। কিছুদিন পরেই সোরো মারা যায়। টেস তাকে কবর দেয় গির্জার কবরস্থানের এক কোণায়। ঐ জায়গাটি ছিল ব্যাপটাইজ করা হয়নি এমন শিশু ও সমাজের অবহেলিত মানুষদের জন্য। টেস নিজের হাতে সন্তানের কবর সাজিয়ে রাখে ফুল দিয়ে।

সন্তানকে হারিয়ে টেস দুঃখে ভেঙে পড়ে। গ্রামের মানুষ তাকে অপমান করে, কারণ সে বিয়ে ছাড়াই মা হয়েছে। টেস বুঝতে পারে মারলট তার জন্য অভিশপ্ত হয়ে গেছে। তাই সে মারলট ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে অন্য কোথাও গিয়ে নতুনভাবে তার জীবন শুরু করতে চায়।

তৃতীয় পর্ব: দ্য র‍্যালি (টেসের নতুন সূচনা)

ট্যালবথেজ ডেইরিতে নতুন জীবন: টেস কাজের খোঁজে ট্যালবথেজ ডেইরি (Talbothays) ফার্মে যায়। এই ডেইরি ফার্মটি মারলট থেকে অনেক দূরে। টেস সেখানে চারপাশের প্রকৃতি দেখে খুব মুগ্ধ হয়ে যায়। সবুজ মাঠ, গরুর পাল আর পাখির ডাক তার মনকে অনেক শান্তি দেয়। অনেক মাস পর সে প্রথমবারের মতো কিছুটা শান্তি অনুভব করে। ডেইরিতে কাজ করা লোকেরা দয়ালু, বিশেষ করে মালিক ডেইরিম্যান ক্রিক। তিনি একজন হাসিখুশি মানুষ। ট্যালবথেজে টেস আরও তিনজন দুগ্ধকর্মী মেয়ের সঙ্গে পরিচিত হয়—ইজ হুয়েট (Izz Huett), ম্যারিয়ান (Marian) এবং রেটি প্রিডল (Retty Priddle)। তারা খুব দ্রুত টেসের বন্ধু হয়ে ওঠে।

আবার অ্যাঞ্জেল ক্লেয়ারের সঙ্গে দেখা: ট্যালবথেজে টেস আবারও অ্যাঞ্জেল ক্লেয়ারের দেখা পায়। অ্যাঞ্জেল হচ্ছে সেই যুবক যাকে টেস মে ডে নাচের অনুষ্ঠানের দিন দেখেছিল। টেসের চেনা অন্যান্য পুরুষদের থেকে অ্যাঞ্জেল একদম আলাদা। সে নরম স্বভাবের এবং বুদ্ধিমান। সে সবসময় বই, গান ও কৃষিকাজ নিয়ে থাকে। অ্যাঞ্জেল একজন ধর্মযাজক রেভারেন্ড ক্লেয়ার (Reverend Clare)-এর ছেলে। সে একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। সে ধর্মযাজক না হয়ে একজন কৃষক হতে চায়, কারণ কৃষিকাজ করতে সে ভালবাসে।

প্রথমে অ্যাঞ্জেল টেসের দিকে খুব একটা লক্ষ্য করে না। সে সব মেয়েদের সঙ্গেই বন্ধুসুলভ আচরণ করে। আর সব মেয়েরাই—যেমন ইজ, ম্যারিয়ান ও রেটি—সবাই গোপনে তাকে ভালবাসে। কিন্তু কিছুদিন পর অ্যাঞ্জেল টেসের শান্ত স্বভাব ও সাধারণ সৌন্দর্য লক্ষ্য করতে শুরু করে। সে টেসের মধ্যে এক ধরনের পবিত্রতা ও সততা দেখতে পায়। এটি তাকে গভীরভাবে আকর্ষণ করে। অন্যদিকে টেস অ্যাঞ্জেলকে পছন্দ করলেও তাকে ভয়ও পায়। সে অ্যালেকের সঙ্গে নিজের অতীতকে মনে করে এবং ভাবে, সে আর “বিশুদ্ধ” নয়। তার মনে হয়, সে অ্যাঞ্জেলের মতো একজন ভালো মানুষের উপযুক্ত নয়। তাই সে নিজের মনকে কাজেই ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু সে নিজেকে অ্যাঞ্জেলের থেকে দূরে রাখতেও পারে না। দিন দিন সে অ্যাঞ্জেলকে আরও বেশি পছন্দ করতে থাকে।

অ্যাঞ্জেল প্রতিদিন টেসকে বিভিন্ন কাজ করতে দেখে, যেমন গরুর দুধ দোহন করা, দুধ বহন করা বা অন্য মেয়েদের সঙ্গে হাসাহাসি করা। সে টেসের প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু টেস নিজের মনকে বোঝাতে থাকে যে, সে কখনো অ্যাঞ্জেলকে বিয়ে করতে পারে না। তার অতীতের দূর্ঘটনা তাকে বাধা দেয়। সে ভাবে, যদি অ্যাঞ্জেল তার অতীত জানে, তাহলে সে টেসকে ঘৃণা করবে। এই ভয় টেসের হৃদয়ে ভারী বোঝা হয়ে চেপে বসে।

চতুর্থ পর্ব: পরিণতি (The Consequence)

অ্যাঞ্জেল টেসকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়: অ্যাঞ্জেল ও টেস এখন দিনের অনেকটা সময় একসাথে কাটায়। তারা ভোরে উঠে গরুর দুধ দোহন করে, মাঠে কাজ করে, আর মাঝে মাঝে দুধের ক্যান হাতে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলে। অ্যাঞ্জেল ধীরে ধীরে গভীরভাবে টেসকে ভালোবাসতে শুরু করে। একদিন সে টেসকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। টেস হতভম্ব হয়ে যায়। সে অ্যাঞ্জেলকে ভালোবাসে, কিন্তু প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেয়। সে শুধু বলে, “আমি তোমার স্ত্রী হওয়ার যোগ্য নই।” অ্যাঞ্জেল বুঝে উঠতে পারে না।

আসলে, টেস তার অতীত সম্পর্কে অ্যাঞ্জেলকে সবকিছু বলতে চায়, কিন্তু তার সাহস হয় না। এদিকে অ্যাঞ্জেল বারবার টেসকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সে আশা করে, টেস একদিন ‘হ্যাঁ’ বলবে। শেষ পর্যন্ত টেস আর তার হৃদয়ের ভালবাসাকে থামিয়ে রাখতে পারে না। সে অ্যাঞ্জেলকে খুব ভালোবাসে এবং তার সঙ্গে থাকতে চায়। সে বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

বিয়ের প্রস্তুতি: অ্যাঞ্জেল নতুন বছরের আগের দিনে টেসকে বিয়ে করতে চায়। টেস রাজি হয়। অ্যাঞ্জেল টেসের জন্য বিয়ের সাদা পোশাক (গাউন), হাতের গ্লাভস ও রুমাল কিনে আনে। টেস চিন্তায় পড়ে যায়—কারণ সাদা পোশাক পবিত্রতার প্রতীক। কিন্তু টেস নিজেকে পবিত্র মনে করে না। তার মনে পড়ে রানী গুইনিভিয়ারের কথা, যার পোশাকের রঙ বদলে গিয়েছিল ও তার অপরাধ প্রকাশ পেয়ে গিয়েছিল। টেস নানা কুসংস্কার আর অশুভ লক্ষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকে, কিন্তু কিছু বলে না।

ক্রিসমাস ইভের রাতে (২৪ শে ডিসেম্বরকে ক্রিসমাস ইভ ধরা হয়, অর্থাৎ ক্রিসমাসের পূর্ব মুহুর্ত), অ্যাঞ্জেল ও টেস শহরে ঘুরতে যায়। সেখানে তাদের ট্র্যানট্রিজের দুই লোকের সাথে দেখা হয়। তাদের একজন টেসকে চিনতে পারে। সে অ্যালেকের সাথে টেসকে দেখেছিল। সে টেসকে অপমান করার চেষ্টা করে। এতে অ্যাঞ্জেল রেগে গিয়ে তাকে ঘুষি মারে। টেস খুব ভয় পায় এবং বিয়ে কিছুদিন পিছিয়ে দিতে চায়, কিন্তু অ্যাঞ্জেল রাজি হয় না।

টেসের চিঠি: টেস একটি চিঠি লেখে অ্যাঞ্জেলের উদ্দেশ্যে। সে সেই চিঠিতে অ্যালেকের সঙ্গে তার অতীত দূর্ঘটনা ও তার সন্তান সোরোর বিষয়ে লিখে। সে চিঠিতে সব কিছু জানায়। গভীর রাতে সে চুপিচুপি চিঠিটি অ্যাঞ্জেলের দরজার নিচ দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, চিঠিটি কার্পেটের নিচে চলে যায়। অ্যাঞ্জেলের চোখেই পড়ে না।

পরদিন সকালে, অ্যাঞ্জেল স্বাভাবিকভাবে আচরণ করে। কারণ সে চিঠিটি পড়েইনি। টেস ভাবে, অ্যাঞ্জেল চিঠি পড়ে ফেলেছে এবং সব ক্ষমা করে দিয়েছে। এতে টেস কিছুটা স্বস্তি পায়, আবার চিন্তিতও হয়। সে ভাবে, বিয়ের পরে সে অ্যাঞ্জেলকে সব নিজ মুখে বলবে।

বিয়ে ও অশুভ লক্ষণ: তারা নতুন বছরের ঠিক আগের দিনে বিয়ে করে। অ্যাঞ্জেলের পরিবারের কেউই বিয়েতে আসে না, কারণ তারা এই বিয়ে সমর্থন করে না। টেসের পরিবারও উপস্থিত থাকে না। সেদিন বিকাল বেলা একটি মোরগ তিনবার ডাকে—যা অশুভ লক্ষণ বলে ধরা হয়। টেসের মন খারাপ হয়ে যায়, কিন্তু অ্যাঞ্জেল তা হেসে উড়িয়ে দেয়।

তারা বিয়ের রাত কাটানোর জন্য একটি বাড়িতে যায়। এটি একটি পুরনো ডারবারভিল (d’Urberville) প্রাসাদ, যেখানে টেসের পূর্বপুরুষদের ছবি দেয়ালে টাঙানো। অ্যাঞ্জেল টেসকে তার গডমাদারের দেয়া মূল্যবান গয়না উপহার দেয়। টেস সেই গয়না পরে। তাকে গয়না পরে সম্ভ্রান্ত নারীদের মতো দেখায়। কিন্তু তার মনে হয়, সে যেন অন্য কারো জিনিস পড়েছে। সে অস্বস্তি বোধ করে।

অ্যাঞ্জেলের স্বীকারোক্তি: অ্যাঞ্জেল সিদ্ধান্ত নেয় সে টেসকে তার নিজের অতীত সম্পর্কে জানাবে। সে জানায় যে, টেসের সাথে পরিচয় হওয়ার আগে সে দুই দিন এক নারীর সঙ্গে কাটিয়েছিল, এবং তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। টেস সহজেই তাকে ক্ষমা করে দেয়। সে বলে তবুও অ্যাঞ্জেলের প্রতি তার ভালবাসা কমবে না। এবার টেস তার নিজের অতীত জানায়। সে জানায় অ্যালেক তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে জোর করে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছিল এবং এতে তার একটি সন্তান হয়েছিল।

পঞ্চম পর্ব: শুধু নারীরাই ভুগে (The Woman Pays)

অ্যাঞ্জেলের কঠোর প্রতিক্রিয়া: অ্যাঞ্জেলের প্রতিক্রিয়া ছিল খুবই কঠিন ও অপ্রত্যাশিত। প্রথমে সে বিশ্বাসই করতে পারে না। পরে সে বলে, টেস এখন আর আগের মতো নেই—সে এখন “অন্য এক নারী।” সে বলে, সে টেসকে ভালোবাসে, কিন্তু তাকে স্ত্রী হিসেবে আর মেনে নিতে পারবে না। এতে টেস গভীরভাবে আঘাত পায়।

অ্যাঞ্জেল বলে, সমাজ এমন এক নারীকে মেনে নেবে না, যে পবিত্র নয়। সে বলে, “এই সমাজের চোখে তুমি আর সেই নারী নও, যাকে আমি আজ সকালে বিয়ে করেছিলাম।” টেস বোঝানোর চেষ্টা করে যে সে নির্দোষ ছিল এবং অ্যালেক তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছিল। কিন্তু অ্যাঞ্জেলের মন বদলায় না। তারা একই ঘরে আলাদা আলাদা রাত কাটায়। টেস লজ্জিত ও অসহায় বোধ করে।

আরো পড়ুনঃ Jane Eyre Bangla Summary

অ্যাঞ্জেল সিদ্ধান্ত নেয়, সে ব্রাজিলে গিয়ে কৃষিকাজ করবে। পরদিন সকালে টেস বলে, সে তার বাবার বাড়ি চলে যাবে। সে কঠোর পরিশ্রম করেই নিজের পরিবারকে সাহায্য করবে। অ্যাঞ্জেল বলে, সে টেসকে কিছু টাকা দেবে যেন টেস নতুন জীবন শুরু করতে পারে। কিন্তু সে স্পষ্ট করে বলে, তারা আর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে থাকতে পারবে না। টেস চুপচাপ তা মেনে নেয়।

স্লিপওয়াকিং দৃশ্য: এক রাতে অ্যাঞ্জেল ঘুমের মধ্যেই হাঁটতে থাকে। সে টেসের ঘরে যায়, তাকে আলতো করে তুলে নেয় এবং বাইরে নিয়ে যায়। ঘুমের মধ্যেই সে হাঁটতে হাঁটতে এক গির্জার কবরস্থানের দিকে যায়। টেস ভয় পেয়ে যায়, কিন্তু অ্যাঞ্জেলকে জাগায় না। অ্যাঞ্জেল একটি খালি পাথরের কফিনে টেসকে শুইয়ে দিয়ে বলে, “মৃত, মৃত, মৃত!” এর মধ্যমে যেন সে নিজের অজান্তেই বুঝিয়ে দিচ্ছে তাদের বিয়েটা শেষ হয়ে গেছে। তাদের সম্পর্কের মৃত্যু ঘটেছে। তারপর সে টেসকে আবার ঘরে এনে শুইয়ে দিয়ে নিজেও ঘুমাতে চলে যায়।

টেসের বাড়ি ফেরা: টেস ফিরে যায় তার পুরনো বাড়ি, মারলটে। তার বাবা-মা তাকে একা দেখে অবাক ও দুঃখিত হয়। তারা জানতে পারে, অ্যাঞ্জেল কৃষিকাজ শুরু করতে ব্রাজিলে গিয়েছে। টেস বলে, সে অ্যাঞ্জেলের ওপর নির্ভর করতে চায় না। সে নিজে কাজ খুঁজে নেবে। বিয়ের এত অল্প সময়ের মধ্যেই টেস ফিরে এসেছে বলে গ্রামের সবাই গুজব রটাতে থাকে। টেস অপমানিত বোধ করে। সে তার মাকে জানায় যে, বিয়ের আগেই অ্যাঞ্জেলকে সব বলা উচিত ছিল। কিন্তু জোয়ান বলে, “তুমি যা করেছ, সব নারীই তাই করে। পুরুষরা আলাদা—তারা কখনো ক্ষমা করে না।”

টেসের পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে: টেসের বাবা জন ডারবিফিল্ড খুব বেশি মদ খেতেন। তিনি কিছুদিন পর হৃদরোগে মারা যান। তার মৃত্যুর ফলে পরিবারটি তাদের কটেজ হারায়। তাদের আর থাকার কোনো জায়গা থাকে না। তারা তাদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে ঠেলাগাড়িতে করে অন্যত্র চলে যায়। টেসের খুব কষ্ট হয়—সে চেয়েছিল একটি ভালো জীবন, কিন্তু এখন সে আগের চেয়েও বেশি গরিব।

টেসের ফ্লিন্টকম-অ্যাশে যাওয়া: টেস একটি কঠিন খামারে কাজ পায়, যার নাম ফ্লিন্টকম-অ্যাশ। এই খামারটি ঠান্ডা, রুক্ষ এবং নিরানন্দে ভরা। এখানে সে আবার ম্যারিয়ান ও ইজের দেখা পায় এবং একসঙ্গে কাজ করে। তারা তীব্র ঠান্ডায় টার্নিপ থ্রেশিংয়ের (সবজি থেকে মূল আলাদা করা) মতো কঠিন কাজ করে। এখন টেস খুব সাধারণ পোশাক পরে। সে নিজেকে ইচ্ছা করে অসুন্দর করে রাখে যেন পুরুষেরা তাকে লক্ষ্য না করে। সে মুখ ঢাকে ও ভ্রু কেটে ফেলে। এই খামারে কাজ অত্যন্ত কঠিন, পরিবেশও নিষ্ঠুর। কিন্তু টেস এখানেই কাজ করতে চায়—কারণ সে সৎভাবে উপার্জন করতে চায় এবং অ্যাঞ্জেলের টাকায় বাঁচতে চায় না।

ব্রাজিলে অ্যাঞ্জেল: এদিকে অ্যাঞ্জেল ক্লেয়ার ব্রাজিলে আছে। সেখানে জীবন খুব কষ্টকর। আবহাওয়া খারাপ, ফসল নষ্ট হয়, আর অ্যাঞ্জেল অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে মানসিকভাবেও কষ্ট পায়। সে বুঝতে শুরু করে যে, টেস তাকে কত সহজেই ক্ষমা করে দিয়েছিল। অথচ সে টেসকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। সে বুঝতে শুরু করে টেস সত্যিকার অর্থেই “একজন বিশুদ্ধ নারী।” সে টেসকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য অনুতপ্ত হয়।

ষষ্ঠ পর্ব: দ্য কনভার্ট (পরিবর্তন বা বদলে যাওয়া)

অ্যালেকের ফিরে আসা: একদিন, যখন টেস ফ্লিন্টকম-অ্যাশ খামারে কাজ করছিল, তখন হঠাৎ তার সঙ্গে আবার অ্যালেক ডারবারভিলের দেখা হয়। কিন্তু এখন অ্যালেক একজন ধর্ম প্রচারক হয়েছে। সে একজন ধার্মিক ব্যক্তি হয়েছে। অ্যাঞ্জেলের বাবা রেভারেন্ড ক্লেয়ার-ই তাকে ধর্মের পথে ফিরিয়ে এনেছেন। অ্যালেক টেসকে বলে, সে এখন বদলে গেছে, নতুন জীবন শুরু করেছে। টেস চমকে যায় এবং রেগে যায়। সে অ্যালেককে বলে যে সে তার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। তাই সে চায় না যে অ্যালেক তার সামনে আসুক। অ্যালেক প্রতিজ্ঞা করে বলে যে সে আর টেসকে বিরক্ত করবে না।

কিন্তু অ্যালেক যখন টেসের দরিদ্র, অসহায় অবস্থা দেখে, তখন সে টেসের অসহায় অবস্থার সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে। সে আবার আগের রুপে ফেরত যায়। সে ধর্মপ্রচার বন্ধ করে দেয় এবং টেসের পিছু নেওয়া শুরু করে। সে টেসকে তার সাথে থাকার জন্য রাজি করাতে চেষ্টা করে।

টেসের সংগ্রাম ও অসহায়ত্ব: টেসের জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে। তার পরিবার গৃহহীন, ছোট ভাইবোনেরা না খেয়ে থাকে। অ্যালেক এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে টেসকে প্রলুব্ধ করে। সে বলে, যদি টেস তার সঙ্গে থাকতে রাজি হয়, তবে সে তার পরিবারের জন্য ঘর ও খাবারের ব্যবস্থা করে দেবে। টেস বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। টেস বুঝতে পারে যে সে ফাঁদে আটকে যাচ্ছে।

টেস অ্যাঞ্জেলকে একটি চিঠি লেখে। চিঠিতে সে অ্যাঞ্জেলকে অনুরোধ করে ফিরে এসে যেন সে তাকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করে। সে জানায়, সে এখনো অ্যাঞ্জেলকে ভালোবাসে, এবং যদি সে ফিরে আসে তবে সে চিরকাল অ্যাঞ্জেলের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে। কিন্তু অ্যাঞ্জেল তখনো ব্রাজিলে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। সে টেসের চিঠি সময়মত পায় না।

এদিকে অ্যালেক বারবার চাপ দিতে থাকে। সে বলে অ্যাঞ্জেল আর কখনো ফিরবে না। টেস দ্বিধার মধ্যে পড়ে যায়—একদিকে অ্যাঞ্জেলের প্রতি ভালোবাসা, আর অন্যদিকে পরিবারের অনাহার।

টেস অ্যালেকের রক্ষিতা হয়: শেষমেশ টেস বাধ্য হয়ে অ্যালেকের প্রস্তাব মেনে নেয়। ভালোবাসা থেকে নয়, বরং অসহায় পরিবারকে বাঁচানোর জন্য। সে অ্যালেকের রক্ষিতা হয়ে যায়। এই মুহূর্তটিকে অনেকেই বলেন, “তাওয়া থেকে জ্বলন্ত আগুনে পড়ে যাওয়া।” অর্থাৎ, এক বিপদ থেকে আরেক বড় বিপদে পড়া। টেস দারিদ্র্য, সমাজের দ্বিমুখী নীতি ও অ্যাঞ্জেলের কঠোরতা—এ সবকিছুর দ্বারা প্রতারিত হয়।

অ্যাঞ্জেলের ইংল্যান্ডে ফেরা: অ্যাঞ্জেল ক্লেয়ার অবশেষে ব্রাজিল থেকে ইংল্যান্ডে ফিরে আসে। সে তখন রোগা, ফ্যাকাশে, ও দুর্বল। ব্রাজিলে থাকার সময় সে বারবার টেসের কথা মনে করত। তার মনে পড়ত টেস কেমন সহজে তাকে ক্ষমা করেছিল, কিন্তু সে টেসকে ক্ষমা করেনি। সময় যত গড়িয়েছে, ততই অ্যাঞ্জেলের মনে হয়েছে সে ভুল করেছে। ব্রাজিলে, একদিন এক বৃদ্ধ কৃষক অ্যাঞ্জেলকে বলে, “একজন ভালো নারী সব সামাজিক নিয়মের চেয়েও দামি।” এই উপদেশ ও নিজের অনুশোচনায় ভুগতে ভুগতে অ্যাঞ্জেল সিদ্ধান্ত নেয় যে সে ইংল্যান্ডে ফিরে টেসকে খুঁজে বের করবে।

টেস ও অ্যালেকের একসঙ্গে থাকা: অ্যাঞ্জেল যখন দেশে ফেরার পথে, তখন টেস স্যান্ডবোর্ন নামের একটি সমুদ্রতীরবর্তী বিলাসবহুল শহরে অ্যালেকের সঙ্গে থাকছে। এখন অ্যালেক আবার আগের মতই অহংকারী, ধনী ও নিয়ন্ত্রণকারী হয়ে উঠেছে। সে টেসকে সুন্দর পোশাক দেয়, আরামদায়ক বাসায় রাখে। কিন্তু টেসের মন ভীষণ খারাপ। সে অ্যালেককে ভালোবাসে না। সে কেবল তার পরিবারের জন্যই এখানে রয়েছে।

কখনো কখনো টেস রাগে ফেটে পড়ে। সে অ্যালেককে বলে, “তুমি আমার জীবন দুবার নষ্ট করেছ—প্রথমবার আমার নিষ্পাপ অবস্থার সুযোগ নিয়ে, আর এখন আমার সত্যিকারের স্বামীর থেকে আমাকে আলাদা করে।” অ্যালেক কিছু সময়ের জন্য দুঃখ বোধ করে, কিন্তু পরে সে আবার বলে, “অ্যাঞ্জেল তো আর কখনো ফিরবে না।” টেস অ্যাঞ্জেলকে আরও একটি চিঠি লেখে। এই চিঠিতে সে করুণভাবে অনুরোধ করে—অ্যাঞ্জেল যদি ফিরে না আসে, তবে টেস হয়ত নিজেকে শেষ করে দিবে।

সপ্তম পর্ব: পূর্ণতা

অ্যাঞ্জেলের ফিরে আসা: অ্যাঞ্জেল ইংল্যান্ডে ফিরে আসে। তার মন খুব কষ্টে ভরে যায়, সে তীব্রভাবে অনুতপ্ত হয়। সে টেসকে খুঁজতে শুরু করে। সে প্রথমে টেসের মা জোয়ানকে চিঠি লেখে এবং পরে তার সঙ্গে দেখা করে। অ্যাঞ্জেল জানতে চায় টেস কোথায় আছে। প্রথমে জোয়ান বলতে চায় না। সে বলে, তারা ভালোই আছে, এবং তাদের টাকার কোনো দরকার নেই। কিন্তু অ্যাঞ্জেল জোর দিয়ে বলে যে তাকে টেসের সঙ্গে দেখা করতেই হবে। অবশেষে, জোয়ান বলে টেস এখন স্যান্ডবোর্নে আছে, কিন্তু ঠিকানা তার জানা নেই।

স্যান্ডবোর্নে টেসের সাথে দেখা হওয়া: অ্যাঞ্জেল স্যান্ডবোর্নে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সে টেসকে দেখে। টেসকে দেখে সে স্তব্ধ হয়ে যায়। টেস এখন সুন্দর জামাকাপড় পরে আছে, আর তার হাত নরম ও সাদা – তার হাতে কৃষিকাজের কোন চিহ্ন নেই। টেসকে দেখে মনে হয় সে এখন অনেক ধনী ও অভিজাত। অ্যাঞ্জেল টেসকে বলে, সে আবারও তাকে ভালোবাসতে চায়, তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়, সবকিছু ঠিক করতে চায়। কিন্তু টেস নিচু কণ্ঠে, দুঃখে ভরা গলায় বলে: “এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।”

টেস বলে, সে অ্যাঞ্জেলের জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করেছে, চিঠি লিখেছে, অনুরোধ করেছে, কিন্তু অ্যাঞ্জেল আসেনি। সে তখন একা, গরিব ও অসহায় ছিল। তখন অ্যালেক তাকে খাবার ও আশ্রয় দেয় ও তার পরিবারকে অনাহারের হাত থেকে বাঁচায়। সেই কারণে টেস অ্যালেকের সঙ্গে থাকতে বাধ্য হয়। সে মনে করে এখন সে আর অ্যাঞ্জেলের যোগ্য নয়। অ্যাঞ্জেল এই কথা শুনে হতবাক হয়ে যায়। সে আরও কথা বলতে চায়, কিন্তু টেস চলে যায়। অ্যাঞ্জেলের মন ভেঙে যায়, সে খুব দুঃখ পায়।

অ্যালেকের প্রতি টেসের রাগ: বাসায় ফিরে টেস অ্যালেকের ওপর খুব রেগে যায়। সে চিৎকার করে। বলে, অ্যালেক তার জীবনের সব সুখ ধ্বংস করে দিয়েছে। সে বলে, টেস গরিব ছিল, অসহায় ছিল – আর এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে অ্যালেক তাকে নিজের করে নিয়েছে। এখন টেস আর তার ভালবাসার স্বামী অ্যাঞ্জেলের কাছে ফিরতে পারবে না। তাদের বাড়িওয়ালী মিসেস ব্রুকস দরজার ফাঁক দিয়ে সব শুনে ফেলেন। তিনি টেসের কষ্টে হতবাক হয়ে যান।

অ্যালেকের খুন: অল্প কিছুক্ষণ পর, অ্যাঞ্জেল চলে যাওয়ার পরে, মিসেস ব্রুকস ঘরের ছাদের দিকে তাকিয়ে অদ্ভুত কিছু দেখেন। একটা বড় লাল দাগ, যা দেখতে অনেকটা হৃদয়ের মতো। তিনি বুঝতে পারেন, ওপরের ঘর থেকে/টেস ও অ্যালেকের ঘর থেকে রক্ত পড়ছে। তখন তিনি জানতে পারেন অ্যালেক ডারবারভিল ছুরিকাঘাতে মারা গেছে। লোকজন জড়ো হয়ে যায়। ডাক্তার এসে জানায় যে অ্যালেক ছুরির একটি আঘাতে মারা গেছে।

অ্যাঞ্জেলের কাছে ফিরে যাওয়া: অ্যাঞ্জেল তখনো রাস্তায়। তার মন দুঃখে কাতর। হঠাৎ সে দেখে, টেস তার দিকে দৌড়ে আসছে। টেসের চোখে পাগলামি, কিন্তু মুখে শান্ত একটা ভাব। টেস বলে, সে অ্যালেককে মেরে ফেলেছে। সে অ্যাঞ্জেলকেও ক্ষমা করে দিয়েছে। টেস খুন করেছে শুনে অ্যাঞ্জেল ভয়ে কেঁপে ওঠে। সে টেসের ভালবাসা বুঝতে পারে। সে বুঝতে পারে টেস এই কাজটি করেছে শুধুমাত্র অ্যাঞ্জেলকে ভালবেসে। সে প্রতিজ্ঞা করে, শেষদিন পর্যন্ত সে টেসকে রক্ষা করবে।

তাদের পালিয়ে থাকা দিনগুলো: অ্যাঞ্জেল ও টেস পাঁচ দিন একসাথে কাটায়। তারা এক পরিত্যক্ত বাড়িতে লুকিয়ে থাকে। এই দিনগুলোই টেসের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন। কিন্তু টেস জানে, পুলিশ আসবেই। সে অ্যাঞ্জেলকে বলে, এই সুখ বেশিদিন থাকবে না। অ্যাঞ্জেল বলে, তারা জাহাজে করে অন্য দেশে পালিয়ে যাবে। কিন্তু টেস বলে, এতে কোনো লাভ হবে না – তাকে তার শাস্তি পেতেই হবে।

স্টোনহেঞ্জের দৃশ্য: এক রাতে তারা হেঁটে হেঁটে স্টোনহেঞ্জে পৌঁছায় (স্টোনহেঞ্জ হচ্ছে ইংল্যান্ডে অবস্থিত বিশাল বিশাল পাথরের স্তম্ভের এক প্রাচীন স্থাপনা। সেখানে কোনো এক প্রাচীন জনগোষ্ঠী পাথরের স্তম্ভগুলো দাঁড় করিয়ে রেখেছে। ধারণা করা হয় চন্দ্র-সূর্যের গতিবিধি পরিমাপের জন্য এই পাথরের স্তম্ভগুলো স্থাপন করা হয়েছিল)। টেস ক্লান্ত হয়ে যায় এবং একটি বড় পাথরের ওপর শুয়ে পড়ে। অ্যাঞ্জেল ভাবে এই পাথরটি হয়ত আদিম মানুষেরা বলি দিতে ব্যবহার করতো। ঘুমানোর আগে টেস শেষ অনুরোধ করে – সে চায়, যখন সে থাকবে না, তখন অ্যাঞ্জেল যেন তার ছোট বোন লিজা-লু (Liza-Lu)-কে বিয়ে করে। টেস জিজ্ঞেস করে, মৃত্যুর পরে তাদের আবার দেখা হবে কি না। অ্যাঞ্জেল কোনো উত্তর দিতে পারে না, সে চুপ করে থাকে। টেস শান্তভাবে ঘুমিয়ে পড়ে।

গ্রেপ্তার: টেস ঘুমিয়ে যায়। তখন পুলিশ চলে আসে। অ্যাঞ্জেল অনুরোধ করে যেন তাকে একটু ঘুমাতে দেওয়া হয়। টেস জেগে ওঠে ও বলে যে সে এখন প্রস্তুত। সে বলে, এই সুখ তার ও অ্যাঞ্জেলের জন্য কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হতো না। পুলিশ তাকে নিয়ে যায়। অ্যাঞ্জেল চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে – সে জানে, টেসকে সে শেষবারের মতো দেখল।

ফাঁসি ও পরিণতি: কিছুদিন পর টেসকে উইন্টনচেস্টার জেলে ফাঁসি দেওয়া হয়। কারাগারের ছাদে একটা কালো পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়। এর মাধ্যমে বোঝানো হয় যে আজকে কারাগারে কারো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। কারাগারের বাইরে অ্যাঞ্জেল ও লিজা-লু একে অপরের হাত ধরে চুপচাপ হাঁটছে। দুজনেই ভীষণ দুঃখে ডুবে আছে। তারা ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়ায় – এক অনিশ্চিত, শান্ত জীবনের দিকে। কাহিনি শেষে বর্ণনাকারী বলেন: “‘ন্যায়বিচার’ হয়েছে।” কিন্তু তার কথা থেকে বোঝা যায় যে, টেসের জীবনে যা ঘটেছে, সেটা আদৌ ন্যায়বিচার নয়।

আরো পড়ুনঃ Pride and Prejudice Bangla Summary

Tess of the d’Urbervilles উপন্যাসে হার্ডি সমাজের নিষ্ঠুর ও বৈষম্যমূলক দিক তুলে ধরেছেন। টেস অ্যালেকের করা অপরাধ তথা ধর্ষণের শিকার একজন ভুক্তভোগী। অথচ সমাজ তার পাশে দাঁড়ানোর বদলে তাকেই দোষারোপ করে। তাকে “অপবিত্র” বলে বিচার করা হয়, অথচ অ্যালেক কিংবা এঞ্জেলের মতো পুরুষেরা সহজেই ক্ষমা পেয়ে যায়। ধনী ও ক্ষমতাবানদের প্রতি সমাজ নমনীয়, কিন্তু গরিব ও নারীদের প্রতি নির্মম। টেসের জীবনের মাধ্যমে হার্ডি এই ভ্রান্ত ও অন্যায় সামাজিক ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করেছেন।

হার্ডি ভাগ্যের লিখনে শক্তভাবে বিশ্বাস করেন, আর টেসের জীবন তার জীবন্ত প্রমাণ। বারবার ক্ষুদ্র ঘটনাই তার ভাগ্যকে সম্পূর্ণভাবে পাল্টে দেয়। যেমন, এঞ্জেলের উদ্দেশ্যে লেখা তার চিঠি কার্পেটের নিচে চলে যায়, ফলে এঞ্জেল সেটি আর পড়তে পারে না—এবং এই সামান্য দুর্ঘটনাই তার বিবাহকে ভেঙে দেয়। হার্ডি দেখান, টেস যতই সৎ, নিষ্কলুষ বা পবিত্র হোক না কেন, নিষ্ঠুর ভাগ্য সবসময় তার বিরুদ্ধে কাজ করে। সে ভাগ্য থেকে পালাতে পারে না। ভাগ্য এখানে অন্ধ, নির্মম এবং মানুষের ইচ্ছাশক্তির চেয়েও শক্তিশালী।

উপন্যাসে প্রকৃতি এক অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করে। টেসের জীবনের আনন্দ-দুঃখ প্রকৃতির রূপের সঙ্গেই যেন বাঁধা। ট্যালবথেস ডেইরির সবুজ মাঠ, নদী ও শান্ত পরিবেশ তার প্রেম ও আশার প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে ফ্লিন্টকম-অ্যাশের কঠিন, শুষ্ক ও শীতল প্রান্তর তার দুঃখ, কষ্ট ও শ্রমের প্রতিফলন। প্রকৃতি এখানে নীরব সাক্ষীর মতো—কখনো তা টেসকে সান্ত্বনা দেয়, আবার কখনো নিষ্ঠুর উদাসীনতার মাধ্যমে তার যন্ত্রণাকে আরও গভীর করে তোলে।

হার্ডি প্রশ্ন তোলেন—আসলেই “পবিত্রতা” বলতে কী বোঝায়? টেস অন্তরে এবং আত্মায় নিখাদ পবিত্র, তবু সমাজ তাকে কলুষিত মনে করে কারণ অ্যালেক তাকে ধর্ষণ করেছে। এমনকি এঞ্জেলও তাকে মেনে নিতে পারেনি, যদিও সে নিজেও পূর্বে এক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিল। নারী ও পুরষের ক্ষেত্রে সমাজের এই দুই ধরণের নীতি প্রমাণ করে যে, ভিক্টোরীয় সমাজে নারীদের প্রতি বিচার ছিল পুরুষদের তুলনায় অনেক কঠোর। টেসের গল্প আমাদের দেখায় যে কিভাবে সমাজ ভ্রান্ত পবিত্রতার মাপকাঠি ব্যবহার করে নারীদের দমন ও ধ্বংস করত।

Quotes

1. “You are the lineal representative of the ancient and knightly family of the d’Urbervilles…”

“তুমি প্রাচীন ও বীর্যবান d’Urberville পরিবারের সরাসরি উত্তরসূরি…”

Exp: Parson Tringham tells John Durbeyfield that they are actually from a noble family called the d’Urbervilles. After hearing this, he becomes proud and lazy. Later, Tess’s parents send her to Alec d’Urberville’s family to seek help.

2. “‘Tis all my doing—all mine!’”

“সব আমার দোষ—সবটাই আমার!”

Exp: Here, Tess is blaming herself for the accidental death of the family horse, Prince. Her sense of guilt leads her to go to the nearby d’Urbervilles to seek help.

3. “SORROW, I baptize thee in the name of the Father (God)…”

“সোরো, আমি তোমাকে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের নামে ব্যাপটাইজ করছি…”

Exp: This is a very sad moment. Tess is baptizing her baby, Sorrow, herself. The local priest refused the baptize the baby because the baby was born out of wedlock.

4. “What a fresh… daughter of Nature that milkmaid is!”

“কি অপূর্ব সতেজ… এই দুধওয়ালী কুমারী যেন প্রকৃতির আপন কন্যা!”

Exp: At Talbothays Dairy, Angel calls her the “daughter of Nature.” Angel thinks that Tess is pure and beautiful like nature.

5. “The new air was clear… The river itself, which nourished the grass and cows…”

“নতুন বাতাস ছিল স্বচ্ছ ও নির্মল… সেই নদীই যেন ঘাস আর গরুদের জীবন দান করছিলো…”

Exp: Talbothay Dairy is full of fresh air, green fields, and a flowing river. Tess feels peaceful there.

6. “Here the landscape was whitey-brown…”

“এখানকার প্রকৃতি যেন বিবর্ণ সাদা-বাদামি রঙে ঢেকে গেছে…”

Exp: At Flintcomb-Ash, the land is dry and rough. There is no greenery, no beauty. This shows the hard and colorless life Tess now has.

7. “O Tess, forgiveness does not apply to the case!”
“ও টেস, এই ক্ষেত্রে ক্ষমা প্রযোজ্য নয়!”

Exp: Tess tells Angel everything about her past. Angel becomes shocked. He thinks Tess is no longer a pure woman. Though Tess forgives him, he does not. This is unfair because Angel had an affair and spent two nights with a lady. But the society does not blame him or consider him impure.

8. “You were one person; now you are another.”

“আগে তুমি একরকম ছিলে; এখন তুমি সম্পূর্ণ ভিন্ন একজন হয়ে গেছো।”

Exp: Angel says this after knowing about Tess’s past. It means Angel did not love this Tess. He loved an idealized version of her, who was pure. Now, he thinks Tess is no longer pure.

9. “Once victim, always victim–that’s the law!”

“একবার ভুক্তভোগী হলে, সারাজীবন ভুক্তভোগী—এটাই সমাজের নিষ্ঠুর আইন।”

Exp: Tess says this sadly. With this line, Hardy is telling us that Tess did not do anything wrong. She is the victim of society’s harsh judgment.

10. “O, will you go away—for the sake of me and my husband…”

“ওহ, তুমি চলে যাও—আমার আর আমার স্বামীর দোহাই লাগে…”

আরো পড়ুনঃ Jane Eyre Bangla Summary

Exp: Tess tells this to Alec when he returns in her life. Tess knows Alec has ruined her life. This line also shows that Tess loves her husband, Angel, very much, even though he left. Tess also hates Alec. She has no intention to keep in touch with Alec.

11. “Did they sacrifice to God here?”

“এখানে কি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বলি দেয়া হতো?”

Exp: In the end, Tess asks this to her husband, Angel, at Stonehenge. Tess is lying on a stone that looks like an altar. It foreshadows Tess’s tragic death. She is arrested and hanged for murdering Alec.

12. “‘Justice’ was done…”

“ন্যায়বিচার সম্পন্ন হয়েছে…”Exp: When the law hangs Tess for the murder, Hardy writes this. This is ironic. It was not justice for Tess. Tess’s death is the result of the cruelty of Alec, Angel, and society itself.

Share your love
Azizul Haque
Azizul Haque

I am Azizul Haque with an B.A. and M.A. in English language and literature. Currently, I am pursuing my another M.A. in ELT. I aim to make literary studies accessible globally through my online platforms. I enjoy exploring literature and related fields such as history, politics, psychology, law, and theology.

I am committed to promoting love for both humanity and the natural world. I believe in democratizing knowledge, fostering meaningful connections, and nurturing a compassionate approach to learning.

Articles: 31

5 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *