Question: Define the terms “Unification of Sensibility and Dissociation of Sensibility.” Explain how Eliot distinguishes them.
ডিসোসিয়েশন অফ সেনসিবিলিটি সর্বপ্রথম T.S Elliot এর বিখ্যাত প্রবন্ধ The Metaphysical Poets এ ব্যবহার করা হয় এবং এটা দ্বারা বোঝানো হয় যে বুদ্ধিদীপ্ত চিন্তা ভাবনাকে অভিজ্ঞতা ও আবেগ থেকে আলাদা করে সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করা।
মূল কথা: ডিসোসিয়েশন অফ সিন্সিবিলিটি বিষয়টি দুইটি শব্দে দ্বারা গঠিত যার মধ্যে একটি হচ্ছে ডিসোসিয়েশন আরেকটি হচ্ছে সেনসিবিলিটি। ডিসোসিয়েশন শব্দের অর্থ হচ্ছে পৃথক করা এবং সেন্সিবিলিটি শব্দের অর্থ হচ্ছে অনুভূতি। সুতরাং এর মূল কথা দাঁড়ায় যে অনুভূতিকে আলাদা করা কবিতা লেখার ক্ষেত্রে।
আরো পড়ুনঃ What is the Relationship Between the Novel and the Western Empire? (বাংলায়)
ইউনিফিকেশন অফ সেনসিবিলিটি এর ধারণা: ডিসোসিয়েশন অফ সেন্সিবিলিটি অথবা আবেগের বিয়োজন বোঝার আগে আমাদেরকে আবেগের একত্রীকরণ বা ইউনিফিকেশন অফ সেন্সিবিলিটি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। ইউনিফিকেশন অফ সেনসিবিলিটি বলতে বোঝানো হয় চিন্তা এবং অনুভূতিকে একই সাথে ব্যবহার করা যেটা প্রথম সংঘটিত হয়েছিল জ্যাকোবিয়ান যুগের কবিদের দ্বারা বিশেষ করে জন ডান এর মাধ্যমে। এই বিষয়টি দ্বারা ইলিয়ট মডার্ন কবি এবং মেটাফিজিক্যাল কবিদের মধ্যে একটা সম্পর্ক সৃষ্টি করতে চাইছেন.
রিফ্লেক্টিভ এবং ইন্টেলেকচুয়াল কবিদের মধ্যে পার্থক্য: ডিসোসিয়েশন অফ সেনসিবিলিটি মূলত ইন্টেলেকচুয়াল ও রিফ্লেক্টিভ কবিদের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করেছে। ইন্টেলেকচুয়াল কবিরা চিন্তা ও অনুভূতিকে একই সাথে মিশ্রিত করে কিন্তু রিফ্লেক্টিভ কবি গণ এটাকে আলাদা করে। ইলিয়ট এর মতে টেনিসন এবং ব্রাউনিং যথেষ্ট মহৎ দুইজন কবি কিন্তু তারা চিন্তা ও অনুভূতিকে জন ডন বা হারবার্ট এর মত ব্যবহার করতে পারেননি।
তাই ইলিয়ট বলেছেন যে ডিসোসিয়েশন অফ সেনসিবিলিটি কখনোই ইউনিফিকেশন অফ সেনসিবিলিটি থেকে উত্তম হতে পারে না বিশেষ করে কবিতা রচনার ক্ষেত্রে। A Valediction FOrbidding Morning অন্যতম একটি উদাহরণ যেখানে ইউনিফিকেশন অফ সেন্সিবিলিটি ব্যবহার করা হয়েছে এবং কবি ভালোবাসা দুই মানুষকে কম্পাসের সাথে তুলনা করেছেন।
কবিতার প্রাকৃতিক উন্নতি: ইলিয়ট এর মতে ডিসোসিয়েশন অফ সেনসিবিলিটি মূলত কবিতার ন্যাচারাল ডেভেলপমেন্ট থেকে এসেছে মেটাফিজিক্যাল কবিদের পরে। তিনি বলেন যে ডিসোসিয়েশন অফ সেনসিবিলিটি ১৭ শতকের বিখ্যাত দুই কবি জন মিল্টন এবং জন ড্রাইডেন এর হাত ধরে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল যেখান থেকে আমরা কখনোই বের হতে পারিনি। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে কাব্যিক যে ফাংশন মিলটন এবং ড্রাইডেন ব্যবহার করেছেন সেগুলো চমকপ্রদ এবং তাদের কাব্যিক যে মেধা তার একটি বহিঃপ্রকাশ। সমালোচকদের মতে তাদের ব্যবহৃত ভাষা অনেক পরিশোধিত যদিও তাদের লেখায় অনুভূতির অনেক অভাব রয়েছে। সুতরাং ইলিয়ট আবেগের একতিকরণ কেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন আবেগ ও চিন্তাশক্তিকে আলাদা করার থেকে।
ভাষা ও অনুভূতির মধ্যে পার্থক্য: ইলিয়ট বলেছেন যে কলিন্স, গ্রে, জনসন, গোল্ড স্মিথ যারা এই পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন তারা সবাই বিশেষ কিছু বিষয়ে সন্তোষজনক হতে পেরেছেন যা জন ডান, মার্ভেল এর থেকে ভালো। কিন্তু যখন ভাষা আরো পরিশোধন করা হয় তখন অনুভূতি আরো বেশি অপরিশোধিত হয়ে যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে অনুভূতি এবং সেন্সিবিলিটি গ্রে এর Elegy তে অনেক বেশি অপরিশোধিত মনে হয়েছে মারভেল এর To His Coy Mitress এর তুলনায়। এভাবেই তিনি ইন্টেলেকচুয়াল ও মেটাফিজিক্যাল কবিদের প্রশংসা করেছেন।
সমালোচনা: যদিও ইলিয়ট লক্ষহীন ভাবেই ডিসোসিয়েশন অফ সেনসিবিলিটি বিষয়টি গ্রহণ করেছেন তাই তাকে অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে কারণ এই বিষয়টি ইংরেজি গৃহযুদ্ধের পরে এসেছিল। এই বিষয়ে নিয়ে তিনি একমত নাকি দ্বিমত সেটা না জানালেও জনসনের যুক্তিগুলোকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং মেটাফিজিক্যাল কবিদের প্রশংসা করেছেন।
আরো পড়ুনঃ How Does Eagleton Evaluate ‘New Criticism’?(বাংলায়)
উপরের আলোচনা থেকে বলা যায় যে ইলিয়ট শুধুমাত্র একজন বিজ্ঞ সমালোচক নয় বরং ইন্টেলেকচুয়াল কবিদের ফাউন্ডার। তার শ্রেষ্ঠ এই দুইটি বিষয় পাঠকদের মনে সারা জীবন গেথে থাকবে।