Agamemnon বাংলা সামারি
সংক্ষিপ্ত জীবনী: এস্কাইলাস (Aeschylus)
এস্কাইলাসকে (Aeschylus) প্রাচীন গ্রিসের ট্র্যাজেডি নাটকের জনক বলা হয় (Father of Greek Gragedy/Father of Tragedy)। তার জন্ম খ্রিস্টপূর্ব c.৫২৫/৫২৪ সালে এলেউসিস (Eleusis), এথেন্সের কাছে। মৃত্যুবরণ করেন খ্রিস্টপূর্ব c.৪৫৬/৪৫৫ সালে সিসিলির গেলা শহরে। তিনি প্রথম নাট্যকার, যিনি একক কাহিনিকে নাটকের আকারে সাজিয়ে তিনটি নাটককে একসঙ্গে উপস্থাপন করতেন, যাকে “ট্রিলজি” বলা হয়। গ্রিক নাটকের বিকাশে তার অবদান অসামান্য। এস্কাইলাস এথেন্সের সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবেও কাজ করেছিলেন। তিনি বিখ্যাত ম্যারাথন যুদ্ধ (Battle of Marathon, 490 BCE) এবং সালামিস যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন। ফলে তার নাটকে যুদ্ধ, বীরত্ব, ধর্মবিশ্বাস ও ন্যায়-অন্যায়ের সংগ্রামের প্রতিফলন পাওয়া যায়। তার সবচেয়ে বড় অবদান হলো গ্রিক নাটকে দ্বিতীয় অভিনেতা (second actor) প্রবর্তন। এর আগে নাটকে কেবল একজন অভিনেতা ও কোরাস থাকত। এস্কাইলাস নতুন অভিনেতা যুক্ত করে নাটককে আরও জীবন্ত ও নাটকীয় করে তুলেছিলেন। এজন্যই তাকে ট্র্যাজেডির কাঠামোগত উন্নয়নের পথিকৃৎ বলা হয়। এস্কাইলাসের নাটকগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো গম্ভীর ভাষা, মহাকাব্যিক বর্ণনা, দেবতাদের শক্তি, ভাগ্যের প্রভাব এবং নৈতিকতার শিক্ষা। তার নাটকগুলোতে মানুষের সীমাবদ্ধতা এবং দেবতাদের অপরিসীম শক্তির তুলনা স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
তার রচনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো Oresteia Trilogy, যার মধ্যে Agamemnon, The Libation Bearers এবং The Eumenides অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও The Persians (পার্সিয়ানদের বিরুদ্ধে গ্রিকদের জয়ের কাহিনি) এবং Prometheus Bound (মানবজাতিকে আগুন এনে দেওয়া টাইটান প্রমিথিউসের শাস্তির কাহিনি) তার উল্লেখযোগ্য রচনা। এস্কাইলাসকে প্রাচীন গ্রিক নাটকের ভিত্তি নির্মাতা বলা হয়। তার রচনার মধ্য দিয়ে মানবজীবনের ট্র্যাজেডি, নৈতিক দ্বন্দ্ব এবং দেবতাদের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ফুটে উঠেছে। এজন্যই তাকে পাশ্চাত্য ট্র্যাজেডির “প্রথম মহান শিক্ষক” বলা হয়। তার বিখ্যাত রচনাসমূহ:
আরো পড়ুনঃ Iliad – বাংলা সামারি
- Agamemnon – ট্রয় যুদ্ধ থেকে আগমেমননের প্রত্যাবর্তন ও হত্যাকাণ্ড।
- The Libation Bearers – অরেস্টিসের প্রতিশোধ কাহিনি।
- The Eumenides – ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার নাটক।
- The Persians – সালামিস যুদ্ধে পারস্যের পরাজয়ের বর্ণনা।
- Prometheus Bound – প্রমিথিউসের বিদ্রোহ ও শাস্তির কাহিনি।
এস্কাইলাস পাশ্চাত্য ট্র্যাজেডির সূচনাকারী হিসেবে আজও অমর।
Key Facts
- Full Title: Agamemnon (first play of the Oresteia trilogy)
- Author: Aeschylus (c. 525/524 – c. 456/455 BCE)
- Title of the Author: Father of Greek Tragedy/ Father of Tragedy/ one of the three great Athenian tragedians (alongside Sophocles and Euripides)
- Source: Draws from Greek mythology, especially the House of Atreus cycle. Based on legendary tales of the Trojan War’s aftermath and Agamemnon’s cursed family line.
- Written Time: First performed in 458 BCE during the City Dionysia festival in Athens.
- First Performed: 458 BCE at the City Dionysia in Athens, as the first play of the Oresteia trilogy (with The Libation Bearers and The Eumenides).
- First Published: 458 BCE
- Genre: Greek Tragedy / Mythological Drama / Revenge Play
- Form: Verse drama written in Ancient Greek; uses iambic trimeter for dialogue and lyric meters for choral odes.
- Structure: First play of the Oresteia trilogy (Agamemnon, The Libation Bearers, The Eumenides). Structured around the return of Agamemnon from Troy, his murder by Clytemnestra, and the curse on the House of Atreus.
- Tone: Dark, foreboding, tragic, solemn, moralistic, and heavy with doom.
- Point of View: Primarily dramatic dialogue and choral odes; perspectives shift between the Watchman, the Chorus of Argive Elders, Clytemnestra, Cassandra, and Agamemnon.
- Significance: A cornerstone of Greek tragedy; it explores themes of fate, divine justice, revenge, blood guilt, and the conflict between personal desire and communal responsibility. It sets the stage for the trilogy’s broader exploration of justice evolving from blood vengeance to civic law.
- Language: Ancient Greek.
- Famous Line: “The scales of Justice move to show wisdom comes through suffering.”
- Setting:
- Time Setting: Immediately after the Trojan War (c. 12th century BCE, mythological time).
- Place Setting: Argos, specifically in front of the royal palace of Agamemnon.
Key Notes – Agamemnon
Clytemnestra’s Revenge (ক্লাইটেমনেস্ট্রার প্রতিশোধ): Agamemnon ট্রয়যাত্রার আগে কন্যা Iphigenia-কে দেবী Artemis-কে সন্তুষ্ট করার জন্য বলি দেন। এই ঘটনার প্রতিশোধ নেন তার স্ত্রী Clytemnestra। তিনি প্রেমিক Aegisthus-এর সঙ্গে মিলে Agamemnon-কে হত্যা করেন। এই প্রতিশোধ কেবল ব্যক্তিগত নয়, বরং রক্তের অভিশাপের (Hereditary guilt) চক্রের অংশ।
Tragic Tradition (ট্র্যাজেডির ঐতিহ্য): Agamemnon হলো গ্রিক ট্র্যাজেডির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এস্কাইলাস দেবতা, ভাগ্য, ন্যায়বিচার এবং প্রতিশোধের সংঘাতকে মঞ্চে রূপ দেন। কোরাস এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যারা সমাজের কণ্ঠস্বর এবং নৈতিক ভাবনা প্রকাশ করে। নাটকটি মৌখিক পুরাণ ও কিংবদন্তিকে ভিত্তি করে রচিত।
The Title – Agamemnon (শিরোনামের তাৎপর্য): শিরোনামে নাম এসেছে ট্রয় থেকে বিজয়ী হয়ে ফেরা রাজা Agamemnon-এর। পুরো নাটক মূলত তার প্রত্যাবর্তন এবং পতনের কাহিনি। ট্রয়ের বিজয়ী হলেও সে নিজের পরিবারে হত্যার শিকার হয়। শিরোনামটি বিজয় আর ধ্বংস, দুটিরই প্রতীক।
Background: Agamemnon
এস্কাইলাস রচিত Agamemnon প্রাচীন গ্রিক ট্র্যাজেডির অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাটক। এটি রচিত হয় খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে এবং ৪৫৮ খ্রিস্টপূর্বে এথেন্সে City Dionysia উৎসবে প্রথম মঞ্চস্থ হয়। নাটকটি Oresteia নামক ত্রয়ীর প্রথম অংশ, যেখানে House of Atreus-এর রক্তের অভিশাপ ও প্রতিশোধের ধারাবাহিক কাহিনি উপস্থাপিত হয়েছে। Agamemnon-এর পটভূমি গড়ে উঠেছে ট্রয় যুদ্ধের বিজয় ও তার পরবর্তী ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দশ বছর যুদ্ধের পর রাজা Agamemnon বিজয়ী হয়ে দেশে ফেরেন, কিন্তু তার পরিবারের অভিশাপ ও অতীতের অন্যায় তাকে ঘিরে ধরে। কন্যা Iphigenia-কে বলি দেওয়ার জন্য স্ত্রী Clytemnestra তার বিরুদ্ধে প্রতিশোধের পরিকল্পনা করে। ফলে রাজা বিজয়ী হলেও তার মৃত্যুর মাধ্যমে ট্র্যাজেডি সম্পূর্ণ হয়।
নাটকটি শুধু এক ব্যক্তির পতনের গল্প নয়, বরং গ্রিক সমাজে ন্যায়বিচার, ভাগ্য এবং দেবতাদের হস্তক্ষেপের প্রতিফলন। কোরাস নাটকে জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে রাজপরিবারের কর্মফল ও নৈতিক শিক্ষা তুলে ধরে। এতে বোঝানো হয়েছে, মানুষের অহংকার ও অপরাধ দেবতাদের আইনে কখনোই ক্ষমার যোগ্য নয়। Agamemnon, Clytemnestra, Cassandra এবং Chorus-এর মতো চরিত্ররা প্রতীকী দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। রাজা Agamemnon অহংকার ও অন্যায়ের শিকার, আর Clytemnestra প্রতিশোধ ও ন্যায়ের ভয়াবহ রূপ। নাটকটি দেখায়, কিভাবে পরিবারিক অভিশাপ ও প্রতিশোধের চক্র গ্রিক ট্র্যাজেডিকে গড়ে তোলে। Agamemnon শুধু রাজকীয় হত্যার কাহিনি নয়, বরং প্রাচীন গ্রিক সমাজের নৈতিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং মানবজীবনের ট্র্যাজিক দর্শনের প্রতিফলন। এজন্যই এটি পাশ্চাত্য ট্র্যাজেডির ভিত্তি স্থাপনকারী নাটক হিসেবে বিবেচিত।
Characters
প্রধান চরিত্র (Major Characters)
- Agamemnon (অ্যাগামেমনন – রাজা ও সেনাপতি): ট্রয় যুদ্ধের বিজয়ী গ্রিক সেনাপতি ও মাইসিনির রাজা। অহংকারী, ক্ষমতাবান কিন্তু ভাগ্যের অভিশাপে পতিত। কন্যা ইফিজেনিয়াকে বলি দেওয়ার অপরাধ ও যুদ্ধের গর্ব তার ধ্বংস ডেকে আনে।
- Clytemnestra (ক্লাইটেমনেস্ট্রা – রানি): অ্যাগামেমননের স্ত্রী। বুদ্ধিমতী, কৌশলী ও প্রতিশোধপরায়ণ। কন্যা ইফিজেনিয়ার হত্যার প্রতিশোধ নিতে প্রেমিক Aegisthus-এর সহযোগিতায় স্বামীকে হত্যা করে। নারীর শক্তি, প্রতিশোধ ও ন্যায়ের জটিল রূপের প্রতীক।
- Cassandra (ক্যাসান্দ্রা – ট্রয়ের রাজকন্যা): ট্রয়ের পরাজিত রাজা প্রিয়ামের কন্যা। ভবিষ্যৎদ্রষ্ট্রী, কিন্তু তার ভবিষ্যদ্বাণী কেউ বিশ্বাস করে না। অ্যাগামেমননের সঙ্গে বন্দিনী হয়ে আসে এবং নিজের মৃত্যু পূর্বাভাস দেয়। ভাগ্যের নির্মমতার প্রতীক।
- Aegisthus (এইজিসথাস – ষড়যন্ত্রকারী): ক্লাইটেমনেস্ট্রার প্রেমিক ও অ্যাগামেমননের চাচাতো ভাই। Atreus পরিবারের পুরনো রক্তের অভিশাপ ও প্রতিশোধের চক্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
- Chorus (কোরাস – আর্গোসের প্রবীণরা): নাগরিকদের কণ্ঠস্বর। যুদ্ধ, বিজয়, দেবতা ও ন্যায়বিচার নিয়ে মন্তব্য করে। নৈতিক শিক্ষা ও দার্শনিক ভাবনার প্রতীক।
আরো পড়ুনঃ Phaedra- বাংলা সামারি
গৌণ চরিত্র (Minor Characters)
- Herald (বার্তাবাহক): ট্রয় থেকে অ্যাগামেমননের বিজয়ের খবর নিয়ে আসে। যুদ্ধের কষ্ট, দেবতাদের প্রভাব ও সেনাদের দুর্দশা বর্ণনা করে।
- Watchman (প্রহরী): নাটকের সূচনায় দেখা যায়। প্রাসাদের ছাদে বসে বিজয়ের সংকেত (আগুনের শিখা) দেখার অপেক্ষায় থাকে। নাটকের অশুভ পূর্বাভাসের প্রতীক।
- Servants and Attendants (ভৃত্যরা): রাজপ্রাসাদের ভেতরের কার্যক্রমে সহায়ক, নাটকের পরিবেশ ও ঘটনাকে বাস্তবসম্মত করে।
দম্পতি ও সম্পর্ক (Couples and Connections)
- Agamemnon ও Clytemnestra: কেন্দ্রীয় দম্পতি। তাদের সম্পর্ক বিজয়, অপরাধ ও প্রতিশোধের মিশ্রণে ভয়াবহ পরিণতিতে পৌঁছে।
- Clytemnestra ও Aegisthus: অবৈধ সম্পর্ক। ব্যক্তিগত প্রতিশোধকে তারা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে রূপ দেয়।
- Agamemnon ও Iphigenia: পিতা ও কন্যার সম্পর্ক, যা বলিদানের কারণে চিরন্তন দুঃখ ও প্রতিশোধের মূল হয়ে দাঁড়ায়।
পরিবার ও আত্মীয়স্বজন (Family and Kinship)
- House of Atreus (অ্যাট্রিয়াস বংশ): একটি অভিশপ্ত পরিবার। অতীতের পাপ ও প্রতিশোধের চক্রে আবদ্ধ। অ্যাগামেমনন, ক্লাইটেমনেস্ট্রা, এইজিসথাস ও অরেস্টিস (পরে) এই বংশের অংশ।
- Priam’s Line (প্রিয়ামের বংশ): ট্রয়ের রাজপরিবার। ক্যাসান্দ্রা এই বংশ থেকে আসে এবং গ্রীকদের হাতে বন্দিনী হয়।
বাংলা সামারি
ক্লাইটেমনেসস্ট্রার অপেক্ষা ও গ্রিকদের বিজয়: গ্রিক নগরী Argos এর রাজা হচ্ছেন অ্যাগামেমনন এবং তার স্ত্রীর নাম ক্লাইটেমনেসস্ট্রা। গ্রিক নগরী Argos এর রাজপ্রাসাদের ছাদ থেকে একজন পরিদর্শক (Watchman) অপেক্ষা করছে ট্রয় এর বিরুদ্ধে গ্রিকদের বিজয়ের সংকেতের জন্য । আসলে Argos থেকে ট্রয় পর্যন্ত বিভিন্ন পাহাড়ের উপরে একজন করে পরিদর্শক রাখা হয়েছিল ক্লাইটেমনেসস্ট্রা এর আদেশে। আদেশ অনুযায়ী যদি ট্রয়ের পতন ঘটে, তাহলে যেন ট্রয়ের নিকটবর্তী পাহাড়ের উপরে যে পরিদর্শক আছে, সে আগুন জ্বালায়। এভাবেই একের পর এক পরিদর্শক আগুন জ্বালাবে এবং অবশেষে Argos এর পরিদর্শক দেখতে পেয়ে রানীকে এই সুসংবাদ দেবে। এটি আসলে ক্লাইটেমনেস্ট্রার পরিকল্পনায় “বীকন সিস্টেম” (beacon fire chain) এর মাধ্যমে ঘটে। Argos এর পরিদর্শক আগুনের সংকেত পায়, যে সংকেতটা গ্রীকদের বিজয় নিশ্চিত করে। এরপর সে বলে, এখন রানীকে (Clytemnestra) এই সংবাদ জানাতে হবে। রানী ক্লাইটেমনেসস্ট্রা ১০ বছর ধরে বিজয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
কোরাসের সাথে ক্লাইটেমনেস্ট্রার কথোপকথন ও ট্রয়ের পরাজয় নিশ্চিতকরণ: এরপরে কোরাস আসে এবং গ্রিক ধর্ম প্রবর্তক Calchas এর ভবিষ্যৎ বাণী বলে। Calchas বলেছিলেন ট্রয় এর বিরুদ্ধে গ্রীকরা যুদ্ধে বিজয়ী হবে। সে আরো বলেছিল, কিভাবে দেবী আর্টেমিস, অ্যাগামেমননকে বাধ্য করেছিল অ্যাগামেমনন ও ক্লাইটেমনেসস্ট্রার মেয়ে ইফিজিনিয়াকে উৎসর্গ করতে। দেবী আর্টেমিস হচ্ছেন শিকার ও কুমারীত্বের দেবী (Goddess of the Hunt, Chastity, and Childbirth)। তো অ্যাগামেমনন ট্রয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার সময়ে দেখে বাতাস অনুকূলে নেই।
আসলে অ্যাগামেমনন এক শিকারে একটি হরিণ হত্যা করেছিল এবং অহংকার করে বলেছিল, সে দেবী আর্টেমিসের চেয়েও ভালো শিকারি। এই অহংকার (hubris) দেবীর প্রতি অবমাননা বলে গণ্য হয়। ফলে আর্টেমিস নৌবহরকে আটকে দেন। তাই সে নিজের মেয়েকে উৎসর্গ করে দেবী আর্টেমিসকে সন্তুষ্ট করে সমুদ্রে বাতাস অনুকূলে পাওয়ার জন্য। ক্লাইটেমনেসস্ট্রা অপেক্ষা করছে গ্রিকদের বিজয়ের সুসংবাদের জন্য। তিনি কোরাস দের বলেন গ্রিক সেনাবাহিনী ট্রয়কে পরাজিত করেছে। রানী বিস্তারিতভাবে বলে কিভাবে ট্রয় থেকে Argos পর্যন্ত বিজয়ের খবর আগুনের আলো দিয়ে পৌঁছেছে। তিনি একে একে পাহাড়গুলোর নাম করে বর্ণনা করেন, কিভাবে এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে সংকেত পৌঁছেছে। যেমন: Ida → Lemnos → Athos → Macistus → Messapion → Cithaeron → Aegiplanctus → Argos পর্যন্ত।
প্রথমে কোরাস সন্দেহ করে, হয়তো এটা তাড়াহুড়ো করে বলা হচ্ছে। কিন্তু রানীর এই বিশদ বিবরণ দেখে তারা রাজি হয় যে সংবাদটি সত্যিই নির্ভরযোগ্য। তখন কোরাস ট্রয়ের পরাজয়ের ধ্বংসাত্মক বিষয়টা উল্লেখ করে। তারা বলে প্যারিস এবং হেলেন এর কারণেই ট্রয়ের পরাজয় হয়েছে। কোরাস প্যারিস এবং হেলেনকে দোষারোপ করে। তারা নিজেদের আলোচনা করে ক্লাইটেমনেসস্ট্রার তথ্য ট্রয়ের পরাজয়ের ব্যাপারে সঠিক হতে পারে। এখানে একজন দূত আসে এবং ট্রয় এর পরাজয় হয়েছে এটা বলে।
অ্যাগামেমনন এর আর্গসে ফিরে আসা: ক্লাইটেমনেসস্ট্রা সিদ্ধান্ত নেয় গ্রিকদের বিজয়ে বড় ধরনের উদযাপন করার জন্য। সে তার স্বামী অ্যাগামেমননকে বীরত্বের জন্য অভ্যর্থনা জানাতে চায়। এরপরে কোরাস- হেলেন এবং প্যারিসের কাহিনীটা বলে। তারা দূতের কাছে মেনিলাস সম্পর্কে জানতে চায়। দূত জানায় মেনিলাস সমুদ্রে হারিয়ে গেছে। সে তার কিছু সৈন্যদের নিয়েই সমুদ্রীক ঝড়ের কারণে হারিয়ে গেছে। অ্যাগামেমনন নিরাপদে আর্গস এ আসে ক্যাসেন্দ্রাকে নিয়ে। ক্যাসেন্দ্রা হচ্ছে ট্রয়ের রাজা কিং প্রিয়ামের সবচেয়ে সুন্দরী কন্যা। অ্যাগামেমনন দেবতাদের ধন্যবাদ জানায় এই যুদ্ধে তাকে রক্ষা করার জন্য। তিনি বলেন Argos-এ দেবতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে একটি সভা আহ্বান করবেন এবং রাষ্ট্র পরিচালনা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। ক্লাইটেমনেসস্ট্রা তাকে উষ্ণভাবে অভ্যর্থনা জানায়। সে ক্যাসেন্দ্রা কেউ অভ্যর্থনা জানায়। এরপরে ক্লাইটেমনেসস্ট্রা লালগালিচা বিছিয়ে দেয় অ্যাগামেমনন এর জন্য। অ্যাগামেমনন বলে এই মর্যাদা শুধুমাত্র দেবতাদের মানায়, তার নয়। ক্লাইটেমনেস্ট্রা বারবার জোর দেন এবং তাকে প্রলুব্ধ করেন। অবশেষে অ্যাগামেমনন লাল গালিচার ওপর দিয়ে হেঁটে প্রাসাদে প্রবেশ করে।
অ্যাগামেমননকে হত্যার ভবিষ্যৎবাণী: ক্যাসেন্দ্রা ভবিষ্যৎ বাণী করে যে, কিছু একটা খারাপ হতে চলেছে। সে কোরাসকে বলে। কিন্তু কেউ তার ভবিষ্যৎ বাণী বিশ্বাস করে না, দেবতা অ্যাপোলো এর অভিশাপের কারণে। ক্যাসেন্দ্রা ভবিষ্যৎবাণী করতে পারতো। কিন্তু সে দেবতা অ্যাপোলো এর ভালোবাসা গ্রহণ না করায়, অ্যাপোলো তাকে এই বলে অভিশাপ দিয়েছিল যে, কেউ তার ভবিষ্যৎবাণী বিশ্বাস করবে না। এদিকে কোরাস ভবিষ্যদ্বাণী করে যে অ্যাগামেমনন এর সাথে খারাপ কিছু হতে চলেছে। কারণ সে লালগালিচা এর উপর দিয়ে হেঁটে পাপ করেছে। তারা এটাও বলে যে, অতিরিক্ত অহংকার (hubris) দেবতাদের ক্রোধ ডেকে আনে। আর তাই দেবতা অবশ্যই ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবেন। এরপরে ক্লাইটেমনেসস্ট্রা এবং কোরাস, ক্যাসেন্দ্রাকে রাজপ্রাসাদে প্রবেশের জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু সে প্রবেশ করতে চায় না। রাগান্বিত হয়ে ক্লাইটেমনেসস্ট্রা ওই জায়গা ত্যাগ করে। ক্যাসেন্দ্রা তখন চিৎকার করে বলে, তাকে ও অ্যাগামেমননকে হত্যা করা হবে। ক্যাসেন্দ্রা কোরাসকে বলে তাদের হত্যাকারী হবে একজন মহিলা, খুব সম্ভবত ক্লাইটেমনেসস্ট্রাই হবে। এরপর কোরাস তাকে বিশ্বাস করেনা। তাই ক্যাসেন্দ্রা হতাশ হয় এবং তার ভাগ্যকে মেনে নেয়। কোরাস আলোচনা করছিল ক্যাসেন্দ্রা এর ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে।
অ্যাগামেমননকে হত্যা: হঠাৎ করে কোরাস শুনতে পায় অ্যাগামেমনন এর চিৎকার। অ্যাগামেমনন এবং ক্যাসেন্দ্রা উভয়কে হত্যা করা হয়। কোরাস বলে, ক্যাসেন্দ্রা এবং অ্যাগামেমনন এর হত্যাকারী আর্গসকে নিজের দখলে নেবে। তারপর রাজপ্রাসাদের সদর দরজা খোলা হয় এবং ক্লাইটেমনেসস্ট্রা রক্তমাখা হাত নিয়ে বের হয়। সে বলে তার মেয়ে ইফিজিনিয়াকে অ্যাগামেমনন হত্যা করেছিল। তাই সে প্রতিশোধ নিয়েছে। সে ক্যাসেন্দ্রা কেউ হত্যা করে। কারন সে অ্যাগামেমনন এর প্রণয়িনী ছিল। কোরাস শোক প্রকাশ করে অ্যাগামেমনন এর মৃত্যুতে।
অ্যাগামেমননকে হত্যায় এজিসথাসের সাহায্য ও তার সাহায্যের কারণ: এরপরে এজিসথাস (অ্যাগামেমনন এর চাচাতো ভাই) আসে, যে ছিল ক্লাইটেমনেস্ট্রার প্রেমিক। সে প্রকাশ করে যে, সে ক্লাইটেমনেস্ট্রাকে সাহায্য করেছে, অ্যাগামেমনন কে হত্যা করার জন্য। সে আরো বলে যে, পারিবারিক কলহের কারণে সে অ্যাগামেমননকে হত্যা করতে সাহায্য করেছে। অনেক আগে এজিসথাসের বাবা থাইস্টেস এর সাথে প্রতারণা করেছিলো অ্যাক্ট্রিয়াস (অ্যাগামেমনন এর বাবা)। অ্যাক্ট্রিয়াস ছলনা করে থাইস্ট্রেসকে তার নিজের সন্তানের মাংস খাইয়েছিল এবং তাকে বনবাসে দেয়। এজিসথাসকে সাথে নিয়ে থাইস্ট্রেস, আর্গস নগরী ত্যাগ করে। সে অ্যাক্ট্রিয়াসকে এই অভিশাপ দেয় যে, তার পরিবারের কোনো সদস্য ভালোভাবে মৃত্যুবরণ করবে না। এরপর থেকেই শুরু হয় হেরাডিটোরি গিল্ট।
আরো পড়ুনঃ The Frogs- বাংলা সামারি
এজিসথাস রাগান্বিত ভাবে কোরাসকে বলে তার সেবা করতে। কিন্তু কোরাস তাকে অপমান করে। তারা বলে, তারা মারা যাবে কিন্তু তারা তার কথা মেনে নেবে না। তারা বলে অ্যাগামেমনন এর নির্বাসিত পুত্র Orestes আসবে এবং পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেবে। নাটকটি এভাবে শেষ হয় যে, ক্লাইটেমনেসস্ট্রা এবং এজিসথাস, আর্গস শাসন করছে। প্রহরীরা দরজা পাহারা দেওয়া শুরু করে এবং কোরাস রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করে।
থিমসমূহ
Revenge (প্রতিশোধ): Agamemnon–এ প্রতিশোধই মূল চালিকা শক্তি। ক্লাইটেমনেস্ট্রা স্বামীর উপর প্রতিশোধ নেয়, কারণ তিনি কন্যা ইফিজেনিয়াকে বলি দিয়েছিলেন। আবার এই প্রতিশোধ কেবল ব্যক্তিগত নয়, বরং পরিবারের দীর্ঘস্থায়ী অভিশাপের অংশ। অ্যাগামেমননকে হত্যা করে ক্লাইটেমনেস্ট্রা মনে করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু এই প্রতিশোধ আবার নতুন প্রতিশোধ ডেকে আনে, অরেস্টেসের হাতে ক্লাইটেমনেস্ট্রার মৃত্যু। এভাবে নাটক দেখায়, প্রতিশোধের চক্র থামানো কঠিন।
War (যুদ্ধ): নাটকের পটভূমি ট্রয় যুদ্ধের সমাপ্তি। বিজয়ী অ্যাগামেমনন Argos-এ ফেরে, কিন্তু যুদ্ধ শুধু জয় নয়, ভয়াবহ ধ্বংসও বয়ে আনে। কোরাস বলে, ট্রয় ধ্বংস হলেও অসংখ্য গ্রীক সৈন্য নিহত হয়েছে, পরিবারগুলো শোকে ভেঙে পড়েছে। যুদ্ধ শুধু বীরত্ব নয়, মানবিক দুঃখ, রক্তপাত এবং অশুভ শক্তির প্রতীক। এতে বোঝানো হয়, যুদ্ধ বিজয় আনে, কিন্তু তার মাশুল হয় ভয়াবহ।
Fate (ভাগ্য): নাটকে ভাগ্য অপ্রতিরোধ্য শক্তি হিসেবে আসে। অ্যাগামেমননের ভাগ্য ছিল পতন, যা এড়ানো যায়নি। লাল গালিচা দিয়ে হাঁটা ছিল অহংকারের কাজ, কিন্তু আসলে সেটি ভাগ্যের নির্দেশিত পদক্ষেপ। ক্যাসান্দ্রা ভবিষ্যৎবাণী করে, কিন্তু তার সতর্কতা কেউ মানে না, কারণ ভাগ্য নির্ধারিত। এখানে দেখা যায়, দেবতাদের আইন ও ভাগ্যের নিয়ম থেকে কেউ মুক্ত নয়।
Pride (অহংকার): অ্যাগামেমননের অহংকারই তার পতন ডেকে আনে। ট্রয়ে বিজয়ের পর তিনি দেবতাদের সমান মর্যাদা পান, লাল গালিচার উপর দিয়ে হাঁটেন, যা অতিরিক্ত গর্ব বা hubris। গ্রিক ট্র্যাজেডিতে অহংকার সবসময় ধ্বংস ডেকে আনে। ক্লাইটেমনেস্ট্রারও অহংকার আছে, সে নিজেকে ন্যায়প্রতিষ্ঠাকারী মনে করে, অথচ আসলে সে হত্যাকারী। নাটক দেখায়, অহংকার মানুষকে নিজের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।
Hereditary Guilt (বংশগত অভিশাপ): Agamemnon শুধু একজন রাজাকে হত্যার নাটক নয়, বরং পুরো House of Atreus পরিবারের অভিশাপের গল্প। আগের প্রজন্মে Atreus তার ভাই Thyestes-কে নিজের সন্তানের মাংস খাওয়ায়। এই ভয়ংকর অপরাধ থেকে শুরু হয় রক্তঋণ ও অভিশাপের চক্র। Aegisthus (Thyestes-এর ছেলে) এই অভিশাপের অংশ হয়ে অ্যাগামেমননের পতন ঘটায়। এভাবে নাটক প্রমাণ করে, পূর্বপুরুষের অপরাধও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবনে প্রতিফলিত হয়।
Quotes
- “The scales of Justice move to show wisdom comes through suffering.” – (Agamemnon)
“ন্যায়ের দাঁড়িপাল্লা নড়ে ওঠে, প্রমাণ করে জ্ঞান আসে দুঃখের মাধ্যমে।”
Explanation: The chorus declares that humans cannot achieve true wisdom without enduring pain. Suffering teaches justice, humility, and respect for divine order. It reflects the tragic belief that learning comes not from joy, but from hardship.
ব্যাখ্যা: কোরাস বলে, দুঃখ-কষ্ট ছাড়া মানুষ প্রকৃত জ্ঞান পায় না। কষ্ট মানুষকে ন্যায়, বিনয় ও দেবতাদের প্রতি শ্রদ্ধা শেখায়। এটি গ্রিক ট্র্যাজেডির মূল শিক্ষা, মানুষ আনন্দে নয়, বরং দুঃখে শিক্ষা পায়।
- “Old violent aggression loves to generate new troubles among evil men.” – (Agamemnon)
“পুরোনো হিংস্র আক্রমণ পাপী মানুষের মাঝে নতুন বিপদ সৃষ্টি করে।”
Explanation: Violence breeds more violence. The chorus emphasizes the endless cycle of bloodshed in the House of Atreus, where old crimes lead to new ones. This theme of hereditary guilt is central to the Oresteia trilogy.
ব্যাখ্যা: হিংস্রতা নতুন হিংস্রতা জন্ম দেয়। কোরাস দেখায়, অ্যাট্রিয়াস পরিবারের পুরোনো অপরাধ নতুন অপরাধ সৃষ্টি করে। এই বংশের রক্তঋণ ও প্রতিশোধের চক্র কখনো থামে না।
- “Sing out the song of sorrow, song of grief, but let the good prevail.” – (Agamemnon)
“গাও শোকের গান, দুঃখের গান, তবে ভালো যেন জয়ী হয়।”
Explanation: The chorus calls upon both grief and hope. While tragedy and sorrow dominate the play, there remains a yearning for goodness and justice to prevail over evil. This shows the moral struggle at the heart of the play.
ব্যাখ্যা: কোরাস শোকগাথা গাওয়ার আহ্বান জানায়, তবুও আশা করে ভালো যেন জেতে। দুঃখ আর ধ্বংসে ভরা হলেও নাটকের ভেতরে ন্যায় প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা জেগে থাকে।
- “The man who sins is sinned against, the killer pays the price.” – (Agamemnon)
“যে পাপ করে, সে-ই পাপের শিকার হয়; হত্যাকারীও শাস্তি পায়।”
Explanation: This line captures the principle of justice in Greek tragedy: crime never goes unpunished. Even kings are not above divine law. Agamemnon’s killing of Iphigenia brings his own death, showing justice as inevitable.
ব্যাখ্যা: গ্রিক ট্র্যাজেডির মূল শিক্ষা, অপরাধের শাস্তি হবেই। রাজাও ন্যায়ের ঊর্ধ্বে নয়। অ্যাগামেমনন ইফিজেনিয়াকে হত্যা করেছিলেন, আর সেই অপরাধের ফলেই তিনি নিহত হন।
- “A house that hates the gods… house full of death, kinsmen butchered… heads chopped off…” – (Agamemnon)
“এক ঘর, যে দেবতাদের ঘৃণা করে… মৃত্যুর ভরে থাকা ঘর, যেখানে আপনজনরা খুন হয়… মাথা কাটা পড়ে…”
Explanation: This line refers to the cursed House of Atreus. The chorus describes the horrific crimes of the past, brothers killing brothers, children sacrificed, kin butchered. The house is stained with divine hatred and endless blood.
ব্যাখ্যা: এটি অভিশপ্ত “অ্যাট্রিয়াস পরিবারের” কথা। কোরাস বলে, এখানে আত্মীয়রা আত্মীয়কে হত্যা করেছে, সন্তান বলি দেওয়া হয়েছে, রক্ত ঝরেছে। দেবতারা এই ঘরকে ঘৃণা করে। এ এক অভিশপ্ত বংশের চিত্র।
- “Another man will come and will avenge us, a son who’ll kill his mother, then pay back his father’s death.” – (Agamemnon)
“আরেকজন আসবে, প্রতিশোধ নেবে, এক পুত্র যে নিজের মাকে হত্যা করবে, তারপর পিতার মৃত্যুর প্রতিশোধ দেবে।”
Explanation: The chorus foreshadows the coming of Orestes, son of Agamemnon and Clytemnestra. He will avenge his father by killing his own mother. This prophecy reveals the cycle of revenge in the House of Atreus, where justice and crime overlap.
ব্যাখ্যা: কোরাস ভবিষ্যৎ বলে দেয়, অ্যাগামেমননের পুত্র অরেস্টেস ফিরে আসবে। সে নিজের মাকে হত্যা করে পিতার প্রতিশোধ নেবে। এভাবে অ্যাট্রিয়াস বংশে প্রতিশোধ আর রক্তের চক্র চলতেই থাকে।
- “It’s a house that hates gods!” – (Agamemnon)
“এ এক ঘর, যে দেবতাদের ঘৃণা করে!”
Explanation: The chorus laments the cursed House of Atreus. The crimes of past generations, betrayal, child sacrifice, and cannibalism, have angered the gods. This house stands as a symbol of hereditary guilt and divine punishment.
ব্যাখ্যা: কোরাস অভিশপ্ত অ্যাট্রিয়াস বংশের কথা বলে। এই পরিবারে বিশ্বাসঘাতকতা, সন্তানের বলি, হত্যার মতো পাপ দেবতাদের রোষ এনেছে। তাই এই ঘর দেবতাদের শত্রু হয়ে উঠেছে।
- “Let his path be covered with purple.” – (Agamemnon)
“তার পথ বেগুনি রঙের কাপড়ে ঢেকে দাও।”
Explanation: Clytemnestra orders purple tapestries to be spread for Agamemnon’s return. Purple cloth, a luxury for gods, symbolizes pride and hubris. By walking on it, Agamemnon shows arrogance, unknowingly sealing his fate.
ব্যাখ্যা: ক্লাইটেমনেস্ট্রা আদেশ দেয় লাল/বেগুনি কাপড় বিছিয়ে অ্যাগামেমননকে স্বাগত জানাতে। এত বিলাসিতা মানুষের জন্য নয়, দেবতাদের জন্য। তবুও তিনি হাঁটেন। এতে তার অহংকার প্রকাশ পায় এবং তার ধ্বংস নিশ্চিত হয়।
আরো পড়ুনঃ Phaedra- বাংলা সামারি
- “…house full of death, kinsmen butchered.” – (Agamemnon)
“…মৃত্যুতে ভরা ঘর, যেখানে আত্মীয়রা খুন হয়েছে।”
Explanation: This line describes the bloody history of the House of Atreus. The family is cursed with murder, betrayal, and revenge. Generations have been slaughtered, making the house a symbol of endless death and tragedy.
ব্যাখ্যা: অ্যাট্রিয়াস পরিবারের রক্তাক্ত ইতিহাস এখানে ধরা পড়ে। এই পরিবারে খুন, প্রতিশোধ আর বিশ্বাসঘাতকতা প্রজন্ম ধরে চলেছে। ঘরটি মৃত্যু আর অভিশাপের প্রতীক।
ভাষার অলংকার – Agamemnon
- Metaphor (রূপক): সংজ্ঞা: যখন একটি জিনিসকে অন্য কিছুর সঙ্গে সরাসরি তুলনা করা হয়, কিন্তু like বা as ব্যবহার করা হয় না। উদাহরণ: “A house full of death” (মৃত্যুতে ভরা ঘর)। ব্যাখ্যা: এখানে আর্গসের রাজবংশ (House of Atreus)–কে “মৃত্যুতে ভরা ঘর” বলা হয়েছে। এটি বোঝায়, এ পরিবার বারবার হত্যাকাণ্ড, প্রতিশোধ ও অভিশাপে কলুষিত। পরিবারের ইতিহাস যেন মৃত্যুর প্রতীক হয়ে উঠেছে।
- Irony (বিদ্রূপ): সংজ্ঞা: প্রত্যাশিত ঘটনার উল্টো কিছু ঘটলে বিদ্রূপ তৈরি হয়। উদাহরণ: অ্যাগামেমনন ট্রয় যুদ্ধ থেকে বিজয়ী হয়ে ফেরেন, কিন্তু বিজয়ী হয়েও তিনি নিজের প্রাসাদে নিহত হন। ব্যাখ্যা: যিনি দশ বছর যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছিলেন, তিনি শান্তির ঘরে ফিরে নিরাপত্তা পাবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু বিদ্রূপ হলো, তিনি নিহত হলেন নিজের স্ত্রী ক্লাইটেমনেস্ট্রার হাতে। এটি গ্রিক ট্র্যাজেডির চরম বিদ্রূপ, বিজয়ীর পতন।
- Symbolism (প্রতীকবাদ): সংজ্ঞা: কোনো বস্তু, চরিত্র বা স্থান যখন গভীর অর্থ বা ধারণা প্রকাশ করে।
- লাল/বেগুনি গালিচা (Purple Carpet): অহংকার (hubris)–এর প্রতীক। অ্যাগামেমনন হাঁটতে অস্বীকার করলেও অবশেষে হাঁটেন, যা তার পতন নিশ্চিত করে।
- Beacon Fire (সংকেত আগুন): ট্রয়ের পতন ও বিজয়ের বার্তা বহন করে, কিন্তু একই সঙ্গে এটি নতুন অশান্তি ও রক্তপাতের সূচক।
- House of Atreus (অ্যাট্রিয়াস বংশ): বংশগত অভিশাপের প্রতীক। এখানে প্রজন্ম ধরে প্রতিশোধ আর হত্যার চক্র চলে।
- Cassandra: ভবিষ্যৎ জানার ক্ষমতা থাকলেও বিশ্বাস না পাওয়ার প্রতীক। মানুষের সীমাবদ্ধতা ও নিয়তির শক্তি বোঝায়।
- Agamemnon: অহংকার, ক্ষমতা ও অন্যায়ের প্রতীক। বিজয়ের পরও তিনি নিজের অপরাধ (ইফিজেনিয়ার বলি) থেকে রক্ষা পান না।
- Clytemnestra: প্রতিশোধ ও নারীর শক্তির প্রতীক। তিনি পরিবার ধ্বংসের ভেতরে দাঁড়িয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠার দাবিদার হলেও নিজেই হত্যাকারী।
- Chorus: সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর ও নৈতিকতার প্রতীক। তারা দেবতাদের ন্যায়, মানুষের পাপ ও ভাগ্যের শক্তি স্মরণ করায়।
Moral Lessons from Agamemnon
- Revenge breeds endless revenge.
- Hubris leads to downfall.
- Fate cannot be escaped.
- Inherited guilt destroys generations.
- Justice comes with suffering.

Fine