An Apology for Poetry Bangla Summary
Key Facts about An Apology for Poetry
- Full Title: An Apology for Poetry
- When Written: c. 1580
- Where Written: England
- When Published: 1595
- Literary Period: Elizabethan Period; English Renaissance
- Genre: Essay; Oration
- Climax: Although the essay does not have a narrative climax, Sidney writes an emphatic conclusion in which he condemns poetry’s critics to oblivion.
- Antagonist: The Elizabethan intellectuals who doubted the value of poetry.
- Symbol: The Speaking Picture
Themes about An Apology for Poetry
- Poetry vs. History and Philosophy
- Poetry, Creation, and Imagination
- Defending Poetry
- Poetry in the Vernacular
Characters of An Apology for Poetry
Sir Philip Sidney: Sir Philip Sidney is the author of “An Apology for Poetry,” as well as its narrator, but the narrator is not necessarily the same as the author.
The Poet: The Poet is at the center of Sidney’s “An Apology for Poetry,” the figure whom Sidney defends against the “poet-haters” of the Elizabethan age.
আরো পড়ুনঃ Locksley Hall Bangla Summary
Edward Wotton: Edward Wotton is a courtier and friend of Sidney’s who accompanied him on his European tour.
Giovanni Pietro Pugliano: Giovanni Pietro Pugliano is the esquire, or stablemaster, of Maximilian II’s court, and riding instructor to Sidney and Wotton.
Background
ফিলিপ সিডনি এই গ্রন্থটি লেখেন কবিতার পক্ষে যুক্তি দিতে। তার সময় স্টিফেন গসন নামে একজন ব্যক্তি কবিতার বিরুদ্ধে বই লেখেন—The School of Abuse (১৫৭৯)। সেই বইয়ে গসন কবিতার বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, কবিতা মানুষকে বিভ্রান্ত করে, নৈতিকতা নষ্ট করে এবং সমাজে খারাপ প্রভাব ফেলে। সিডনি এসব অভিযোগকে যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করেন। তিনি কবিতার মূল্য, নৈতিক দিক এবং শিক্ষামূলক শক্তি তুলে ধরেন। এভাবেই তিনি কবিতাকে রক্ষা করার জন্য An Apology for Poetry নামের বইটি লেখেন।
Complete and Point-Based Bangla Summary
সিডনির গল্প ও লেখার উদ্দেশ্য: স্যার ফিলিপ সিডনি তাঁর লেখার শুরু করেন একটি গল্প দিয়ে। তিনি জানান, তিনি এক ইতালিয়ান শিক্ষক জিওভান্নি পিয়েত্রো পুগলিয়ানো-র কাছ থেকে ঘোড়ায় চড়তে শিখেছিলেন। এই শিক্ষক শুধু ঘোড়ায় চড়ার কৌশল শেখাননি, তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন কেন ঘোড়ায় চড়া মহৎ ও উপকারী। সিডনি এই গল্পটি শেয়ার করেন তাঁর মূল বক্তব্য বোঝাতে। তিনি বলেন, তিনি কবিতা লেখার নিয়ম শেখাবেন না, বরং কবিতা কেন গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করবেন। যেমন পুগলিয়ানো ঘোড়ায় চড়ার গভীর তাৎপর্য খুঁজে পেয়েছিলেন, সিডনিও চান পাঠকরা যেন কবিতার গভীর মূল্য বুঝতে পারেন।
কবিতার হারানো সম্মান ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব: সিডনি বলেন, তাঁর সময়ে অনেকেই কবিতা নিয়ে খারাপ কথা বলতেন। তারা কবিদের নিয়ে হাসাহাসি করতেন এবং বলতেন কবিতা শিশুসুলভ। কিন্তু সব সময় এমন ছিল না। অতীতে মানুষ কবিতাকে খুব সম্মান করত। সিডনি মনে করেন, এখন কবিতার পক্ষে কথা বলা জরুরি। তিনি কবি হিসেবে নিজেই কবিতার পক্ষে সওয়াল করতে চান। তিনি কবিতার হারানো সম্মান ফিরিয়ে আনতে চান। তিনি বলেন, এখন বিভিন্ন শিল্পকলার মধ্যে যেন গৃহযুদ্ধ চলছে। অথচ তাদের একে অপরকে সহায়তা করা উচিত।
সিডনির মতে, যারা কবিতার বিরোধিতা করে, তারা অকৃতজ্ঞ। ইতিহাসের শুরু থেকে কবিতা শিক্ষা ব্যবস্থায় সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। প্রাচীনকালে কবিতার মাধ্যমেই শিশুদের শিক্ষা দেওয়া হতো। হোমার ও হেসিওডের মতো গ্রিক কবিরা কবিতাকে শিক্ষাকে আকর্ষণীয় করে তুলেছিলেন। দান্তে, চসারের মতো কবিরা তাঁদের ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছিলেন কবিতার মাধ্যমে। জ্ঞান ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার প্রথম উপায়ই ছিল কবিতা।
প্রাচীন শিক্ষায় কবিতার স্থান: আগে কবিতা ও অন্যান্য বিষয় একে অপরের থেকে আলাদা ছিল না। থেলস, পিথাগোরাস-এর মতো বিজ্ঞানী ও দার্শনিকরাও কবিতার ছন্দে লিখতেন। এমনকি প্লেটো, যিনি কবিতার সমালোচনা করেছিলেন, তিনিও অনেকসময় কাব্যিক ভাষা ব্যবহার করেছেন। হেরোডোটাসের মতো ইতিহাসবিদরাও যেসব ঘটনা নিজেরা দেখেননি, তা লিখতে কবিতার ভাষা ব্যবহার করতেন। এসব প্রমাণ করে যে, একসময় কবিতা শিক্ষার অঙ্গ ছিল, আলাদা কিছু ছিল না।
কবিতার সর্বজনীন আকর্ষণ ও গভীর শিকড়: সিডনি বলেন, কবিতা সব সংস্কৃতিতে শক্তিশালী ছিল। এমনকি তুরস্ক, আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলসের মতো দেশে, যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কম ছিল, সেখানেও কবিদের সম্মান দেওয়া হতো। বিদেশি শাসকরা স্থানীয় সংস্কৃতি ধ্বংসের চেষ্টা করলেও কবিতা বেঁচে থেকেছে। সিডনি ইউরোপে ভ্রমণ করে দেখেছেন, সাধারণ মানুষও কবিতাকে ভালোবাসে। এ থেকে বোঝা যায়, কবিতার এক প্রাকৃতিক আকর্ষণ রয়েছে যা সময়ের সাথে টিকে থাকে।
আরো পড়ুনঃ Tithonus Bangla Summary
সিডনি আরও বলেন, বিভিন্ন ভাষায় “poet” শব্দের অর্থ কী ছিল। ল্যাটিনে “vates” মানে কবি এবং ভবিষ্যদ্বক্তা, দুটোই। মানুষ বিশ্বাস করত কবিরা ভবিষ্যৎ দেখতে পারে। ইংরেজি “charm” শব্দ এসেছে ল্যাটিন “carmen” থেকে, যার মানে কবিতা। ডেলফির ওরাকলের মতো ধর্মীয় বার্তাও কবিতার ছন্দে বলা হতো। এসব থেকে বোঝা যায়, প্রাচীন মানুষ কবিতাকে খুব গুরুত্ব দিত।
কবি: একটি আদর্শ জগতের নির্মাতা: গ্রিক ভাষায় “poietes” শব্দের মানে হলো “maker” বা সৃষ্টিকর্তা। সিডনি এই মানেটি খুব পছন্দ করেন। তিনি বলেন, কবিরা শুধু প্রকৃতিকে নকল করে না। তারা কল্পনার মাধ্যমে আরও ভালো এবং নিখুঁত জগত তৈরি করে। অন্যান্য লেখকদের বাস্তব অনুসরণ করতে হয়, কিন্তু কবিরা আদর্শ বীর যেমন এনিয়াস বা সাইরাস-এর মতো চরিত্র কল্পনা করতে পারে। এই বীরেরা আমাদের সাহস, জ্ঞান এবং বিশ্বস্ততা শেখায়। কবিরা ঈশ্বরের মতো কল্পনায় উন্নত জগত সৃষ্টি করে।
সিডনি বলেন, প্রকৃত কবিতা কেবল ছন্দে শব্দ লেখার বিষয় নয়। কবির প্রধান গুণ হলো মহান চিন্তা কল্পনা করা। লেখার আগে কবি মনের চোখে নৈতিকতার নিখুঁত ছবি কল্পনা করেন। এই কল্পনার শক্তিই কবিতাকে বিশেষ করে তোলে। কিছু সাহিত্য যেমন জেনোফনের গল্প, ছন্দে লেখা না হলেও, তা কবিতা কারণ তাতে কল্পনার শক্তি আছে। ছন্দ কেবল একটি মাধ্যম, কবিতার মূল নয়।
কবিতার সংজ্ঞা ও এর শিক্ষামূলক শক্তি: সিডনি এরপর কবিতার একটি স্পষ্ট সংজ্ঞা দেন। তিনি বলেন, কবিতা হলো “অনুকরণের শিল্প”। এটি বাস্তব জীবনের অনুকরণ করে, কিন্তু তাতে উন্নতি আনে। অ্যারিস্টটল এটিকে “mimesis” বলেন। সিডনি বলেন, কবিতা হলো “কথায় আঁকা ছবি”। এটি শিক্ষা দেয় এবং আনন্দও দেয়। তিনি কবিতাকে তিন ভাগে ভাগ করেন—
১. ধর্মীয় কবিতা: যেমন গীতসংহিতা, যা ঈশ্বরকে প্রশংসা করে।
২. দার্শনিক কবিতা: যা প্রকৃতি ও নীতিশিক্ষা দেয়।
৩. যথার্থ কবিতা: এটি সবচেয়ে উত্তম। এটি নতুন ও আদর্শ জগত সৃষ্টি করে।
সিডনি বলেন, সেরা কবিরাই সবচেয়ে সৃষ্টিশীল। তারা ইতিহাসবিদ বা দার্শনিকের মতো বাস্তব বর্ণনা করে না। বরং ভালো চিত্রকরদের মতো, তারা নৈতিকতার নিখুঁত উদাহরণ কল্পনা করে। তারা শুধু যা আছে তা নয়, যা হওয়া উচিত তা দেখায়। এই কবিরা পাঠকদের অনুপ্রাণিত করে ভালো মানুষ হতে। এ কারণেই তারা “vates” বা ভবিষ্যদ্বক্তা উপাধি পাওয়ার যোগ্য।
আরো পড়ুনঃ Oenone Bangla Summary
সিডনি নানা ধরণের কবিতার কথা বলেন: বীরত্বগাথা, গীতিকবিতা, ট্র্যাজেডি, কমেডি, ব্যঙ্গ, পল্লীকবিতা ইত্যাদি। তিনি বলেন, বেশিরভাগ কবিতা ছন্দে লেখা হয়, কিন্তু হেলিওডোরাস-এর গল্পের মতো কিছু অসাধারণ কবিতাও গদ্যে লেখা। ছন্দ লেখাকে সুন্দর ও মনে রাখার উপযোগী করে তোলে। কিন্তু প্রকৃত কবিতা থাকে কল্পনায়, ছন্দ বা তাল-লয়ে নয়। কবিতার ভাষাশৈলী তার ভাবনার মহত্ব অনুযায়ী হওয়া উচিত।
কবিতা বনাম দার্শনিক ও ইতিহাস: সিডনি বলেন, শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য মানুষকে ভালো বানানো। জ্যোতির্বিদ্যা বা গাণিতিক বিষয় ব্যবহারিক জ্ঞান দেয়, কিন্তু চরিত্র গঠন করে না। নৈতিক দর্শন ভালো ব্যবহার শেখাতে চায়, কিন্তু তা প্রায়ই বোঝা কঠিন। ইতিহাস সত্য ঘটনা বলে, কিন্তু আদর্শ আচরণ দেখায় না। কেবল কবিতা-ই এমন একটি বিষয় যা শিক্ষা দেয় এবং হৃদয়কে নড়চড় করে। এটি মানুষকে বদলে দেয় এবং ভালো করে তোলে।
দার্শনিকেরা কঠিন ও বিমূর্ত শব্দ ব্যবহার করে। সাধারণ মানুষ তা বোঝে না। তারা যুক্তির সাহায্যে মানুষের ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, কিন্তু তাতে ব্যর্থ হয়। ইতিহাসবিদরা অতীতের সত্য ঘটনা বলেন। কিন্তু তারা ভালো এবং খারাপ—দুই ধরনের উদাহরণ দেখান, তাই তা থেকে পরিষ্কার শিক্ষা পাওয়া যায় না। দার্শনিক নিয়ম দেয়, উদাহরণ নয়। ইতিহাস উদাহরণ দেয়, কিন্তু নিয়ম নয়।
কবিতা এই দুই সমস্যারই সমাধান করে। এটি গল্প ও চরিত্রের মাধ্যমে ভাবনা শেখায়। যেমন, এনিয়াস সম্পর্কে পড়লে বিশ্বস্ততার পাঠ পাওয়া যায়, যা একটি দর্শনের ক্লাসের চেয়ে স্পষ্ট। আমরা আজও “লোভী মিদাসের মতো” বলি—নৈতিক শিক্ষা দিতে। কবিতা জটিল চিন্তা সহজ ও মনে রাখার মতো করে তোলে।
কেউ কেউ বলে, কবিতা মিথ্যা গল্প বলে। কিন্তু সিডনি বলেন, সেই গল্পগুলোও শিক্ষা দেয়। ইতিহাসবিদরাও তো বক্তৃতা বা কিছু বিবরণ নিজের মতো বানিয়ে লেখেন ঘটনাকে বোঝাতে। কবিরা আদর্শ চরিত্র যেমন সাইরাস বা এনিয়াস তৈরি করেন, যাদের কাছ থেকে বাস্তব জীবনের চেয়ে ভালো শিক্ষা পাওয়া যায়। ইতিহাস সত্যে সীমাবদ্ধ, কিন্তু কবিতা দেখায় কী হওয়া উচিত।
কবিতার প্রভাব, সমালোচনা ও চূড়ান্ত সমাধান: ইতিহাস ভালো ও খারাপ দুই দিকই দেখাতে বাধ্য, তাই মানুষ বিভ্রান্ত হয়। খারাপ লোকও ইতিহাসে সাফল্য পায়। কিন্তু কবিতা স্পষ্ট নৈতিক বার্তা দেয়। সিডনি রসিকতা করে বলেন, ইতিহাস হলো “মূর্খ সত্যের বন্দী”, আর কবিতা হলো “নিখুঁত সত্যের মুক্ত উপস্থাপক”। এমনকি আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটও কবিতাকে ভালোবাসতেন এবং অ্যারিস্টটলের পাঠের চেয়ে হোমারের কবিতা থেকে নৈতিকতা শিখতে পছন্দ করতেন।
সিডনি বলেন, কবিতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো এর আবেগের শক্তি। অ্যারিস্টটল বলেছেন, প্রকৃত শিক্ষা মানুষকে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে। দর্শন কেবল কিছু মানুষকে ভালো আচরণ শেখায়, কিন্তু কবিতা সবাইকে স্পর্শ করে। কবিতা আবেগ দিয়ে শিক্ষা দেয়। যেমন, সুস্বাদু খাবারে ওষুধ মেশালে ওষুধ খাওয়াটা সহজ হয়, তেমনি কবিতা আনন্দদায়ক গল্পে শিক্ষার বার্তা লুকিয়ে দেয়। বাইবেলের উপমা ও পুরনো রূপকথা প্রমাণ করে গল্প বক্তৃতার চেয়ে ভালো শিক্ষা দেয়।
সিডনি উদাহরণ দেন—রোমান নেতা মেনেনিয়াস বিদ্রোহ থামাতে একটি গল্প বলেন। তিনি রাষ্ট্রকে শরীরের সঙ্গে তুলনা করেন, যেখানে সব অঙ্গের একসাথে কাজ করতে হয়। নবী নাথান রাজা ডেভিডকে দোষী বোধ করাতে একটি চুরি হওয়া মেষশিশুর গল্প বলেন। এই গল্পগুলো সাধারণ বক্তৃতার চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছিল। এটি প্রমাণ করে কবিতা মানুষকে সত্যিকারের পরিবর্তন করতে পারে।
সাধারণ প্রশংসার পর সিডনি বিভিন্ন কবিতার ধরন ব্যাখ্যা করেন। মেষপালকদের নিয়ে লেখা পল্লীকবিতা সাধারণ মনে হলেও গভীর তাৎপর্য রয়েছে। শোকগীতি দুঃখ প্রকাশ করে এবং আমাদের জীবন বুঝতে সাহায্য করে। ব্যঙ্গ ও কমেডি মানুষের বোকামি নিয়ে হাসায়। আমরা যখন মঞ্চে হাস্যকর চরিত্র দেখি, তখন নিজেদের ভুল নিয়েও হাসি এবং ভালো হতে চাই।
আরো পড়ুনঃ Sociolinguistics Bangla Summary
ট্র্যাজেডি করুণা ও ভয় জাগিয়ে শিক্ষা দেয়। এটি দেখায় কিভাবে ভালো মানুষও ছোট ভুলে দুর্ভোগে পড়ে। এটি অহংকারীদের বিনয়ী হতে শেখায়। গীতিকবিতা মহৎতা ও ঈশ্বরের প্রশংসা করে। এটি সাহস দেয়, যেমন স্পার্টানদের যুদ্ধগান। বীরত্বপূর্ণ কবিতা যেমন অ্যাকিলিস-এর গল্প, সেরা নৈতিক শিক্ষা দেয়। সিডনি বলেন, এটিই সবচেয়ে ভালো ধরণের কবিতা।
সিডনি কবিতার সমালোচকদের কথার উত্তরও দেন। কেউ বলেন কবিতা মিথ্যে বলে। কিন্তু কবিরা তো কখনো বলেন না তাদের গল্প সত্য। কেউ ভাবেন না ঈসপের গল্প ইতিহাস। কেউ বলেন কবিতা নীতিশিক্ষা নষ্ট করে। কিন্তু সমস্যা কবিতায় নয়, খারাপ কবিতে। তলোয়ার খারাপ না, খারাপ লোক তা খারাপ কাজে ব্যবহার করে। কেউ বলেন প্লেটো কবিতার বিরোধিতা করেছেন। কিন্তু সিডনি বলেন, প্লেটো নিজেও কাব্যিক ভাষায় লিখেছেন। সম্ভবত তিনি কবিতাকে ভয় পেয়েছিলেন, কারণ এটি এত শক্তিশালী ছিল।
সিডনি স্বীকার করেন, আধুনিক ইংরেজি কবিতায় কিছু সমস্যা আছে। অনেক লেখক শাস্ত্রীয় নিয়ম মানে না। তারা রাজাদের সঙ্গে জোকারের মতো চরিত্র মিশিয়ে ফেলে। এক কবিতায় বহু বছর ও দেশের ঘটনা রাখে। কেউ কেউ বড় বড় শব্দ ব্যবহার করে যেগুলোর বাস্তব মানে নেই। কিন্তু এসব দোষ খারাপ কবির, কবিতার নয়। চসারের কবিতার মতো ভালো লেখা প্রমাণ করে ইংরেজি ভাষাও মধুর ও মহৎ হতে পারে।
সবশেষে, সিডনি বলেন কবিতাকে সম্মান করা উচিত। এটি মানুষের চরিত্র গঠন করার সেরা উপায়। এটি দর্শনের জ্ঞান, ইতিহাসের উদাহরণ ও আনন্দদায়ক গল্পকে একত্রিত করে। খারাপ কবিরা হয়তো কবিতার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে, কিন্তু প্রকৃত কবিতা এখনো মহৎ। যারা কবিতার সমালোচনা করে, তারা এর প্রকৃত মূল্য বোঝে না। কবিতা শিক্ষার জন্য ও সমাজের জন্য এক অসাধারণ হাতিয়ার।
হয়েছিল ১৫৭৯ সালের শেষে অথবা ১৫৮০ সালে। এবং এই বইটি প্রকাশ করা হয়েছিল ১৫৯৫ সালে।