Iliad – বাংলা সামারি 

Iliad

সংক্ষিপ্ত জীবনী: হোমার (Homer)

হোমার প্রাচীন গ্রিসের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্যিক কবি হিসেবে পরিচিত। তার জন্ম ও মৃত্যুর নির্দিষ্ট তারিখ নিশ্চিতভাবে জানা যায় না, তবে ধারণা করা হয় তিনি খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতকে জীবিত ছিলেন। অনেকে মনে করেন তিনি এশিয়া মাইনরের (Asia Minor) কোনো অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। হোমারকে প্রাচীন গ্রিক সাহিত্যের জনক বলা হয়, কারণ তার রচনাই পাশ্চাত্য সাহিত্য ও সংস্কৃতির ভিত্তি স্থাপন করে। তার দৃষ্টিহীনতা নিয়ে একটি প্রচলিত কাহিনি আছে, যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত প্রমাণ নেই। হোমারের নামের সঙ্গে যুক্ত দুটি মহাকাব্য Iliad এবং Odyssey। এই দুটি মহাকাব্য শুধু সাহিত্য নয়, গ্রিক সভ্যতার ইতিহাস, সংস্কৃতি, ধর্ম, বীরত্ব এবং নৈতিক মূল্যবোধের প্রতীক। Iliad মূলত ট্রয় যুদ্ধ এবং বীর Achilles-এর ক্রোধকে কেন্দ্র করে লেখা। এখানে যুদ্ধ, বীরত্ব, ভাগ্য ও মানবিক দুর্বলতা তুলে ধরা হয়েছে। অন্যদিকে Odyssey হলো যুদ্ধ শেষে গ্রিক বীর Odysseus-এর দীর্ঘ ১০ বছরের বাড়ি ফেরার কাহিনি। এতে সাহস, বুদ্ধি, অধ্যবসায়, পরিবারপ্রেম ও মানবজীবনের নানা সংগ্রাম ফুটে ওঠে।

হোমারের কবিতা মৌখিকভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্মে প্রচারিত হয়েছে। পরে সেগুলো লিখিত আকারে সংরক্ষিত হয়। তার রচনায় বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়েছে “epic similes”, পুনরাবৃত্তিমূলক বাক্যাংশ, দেবতা ও মানুষের সম্পর্ক এবং গ্রিক পুরাণের সমৃদ্ধ চিত্র। এজন্য তার রচনাকে শুধু সাহিত্য নয়, ইতিহাস ও সংস্কৃতিরও জীবন্ত দলিল বলা হয়। হোমারের প্রভাব পাশ্চাত্য সাহিত্য, দর্শন, নাটক ও শিল্পকলায় গভীরভাবে বিদ্যমান। প্রাচীন গ্রিক শিক্ষায় তার রচনা ছিল প্রধান পাঠ্য। প্লেটো ও এরিস্টটল থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের সাহিত্যিক পর্যন্ত সবাই তার প্রভাবের কথা স্বীকার করেছেন। তার বিখ্যাত রচনাসমূহ:

  • Iliad: ট্রয় যুদ্ধের কাহিনি ও বীর Achilles-এর রোষের মহাকাব্য।
  • Odyssey: Odysseus-এর দীর্ঘ যাত্রা ও সংগ্রামের কাহিনি।

হোমারকে পাশ্চাত্য সাহিত্যের “প্রথম শিক্ষক” বলা হয়। তার কাব্য আজও মানবসভ্যতার নৈতিকতা, বীরত্ব এবং কল্পনার ভাণ্ডার হিসেবে অমর।

আরো পড়ুনঃ Medea – বাংলা সামারি

Key Facts

  • Full Title: The Iliad
  • Author: Homer (traditionally dated c. 8th century BCE)
  • Title of the Author: Ancient Greek Epic Poet; Father of Western Literature
  • Source: Based on the Trojan War legends, part of the Epic Cycle of ancient Greek mythology. Draws from oral tradition and heroic folklore passed down through generations.
  • Written Time: c. 8th century BCE (Archaic Greece)
  • First Published: Not “published” in the modern sense; preserved through oral recitation, later written down (possibly in 6th-century BCE Athens).
  • Genre: Epic Poetry / Mythological Epic / Heroic Literature
  • Form: Dactylic hexameter; 24 books of continuous verse narrative.
  • Structure: Begins in medias res (in the middle of things). Covers a few weeks in the tenth year of the Trojan War. The main focus is on Achilles’ wrath, the quarrel with Agamemnon, Patroclus’ death, Hector’s fall, and funeral rites.
  • Tone: Elevated, tragic, solemn, heroic, and full of pathos.
  • Point of View: Third-person omniscient (narrator invokes the Muse; shifts between gods, heroes, and battlefield scenes).
  • Significance: Foundational text of Western literature; explores fate vs. free will, the nature of heroism, the destructiveness of wrath, the role of gods in human affairs, and the honor-shame culture of ancient Greece.
  • Language: Ancient Greek.
  • Famous Line: “The rage of Achilles – sing it now, goddess.” (Opening line)
  • Setting:
  • Time Setting: During the Trojan War (traditionally dated to the 12th or 13th century BCE).
  • Place Setting: Troy (Ilium) and its surrounding battlefield plains; Greek (Achaean) camp near the shore; Olympus (home of the gods).

Key Notes – The Iliad

  • Epic Tradition (মহাকাব্যের ঐতিহ্য): The Iliad হলো প্রাচীন গ্রিক মহাকাব্য, যা মৌখিক কবিতা থেকে গঠিত। কবিরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে গান ও আবৃত্তির মাধ্যমে এ কাহিনি ছড়িয়েছেন। হোমারের কণ্ঠে এটি লিখিত আকারে আসে। এতে গ্রিক সভ্যতার বীরত্ব, দেব-দেবীর প্রভাব, যুদ্ধ এবং ভাগ্যের প্রতি বিশ্বাস প্রতিফলিত হয়েছে।
  • The Title – Iliad (শিরোনামের তাৎপর্য): “Iliad” শব্দ এসেছে “Ilios” বা “Ilion” থেকে, যা ট্রয় নগরীর আরেক নাম। তাই শিরোনামের অর্থ দাঁড়ায় “ট্রয়ের কাহিনি”। যদিও কাহিনি পুরো যুদ্ধের নয়, বরং ট্রয় যুদ্ধের শেষের দিকে মাত্র কয়েক সপ্তাহের ঘটনা, বিশেষ করে Achilles-এর ক্রোধকে কেন্দ্র করে।
  • Achilles’ Wrath (Achilles এর ক্রোধ): পুরো মহাকাব্যের মূল থিম হলো গ্রিক বীর Achilles-এর রোষ। সে গ্রিক সেনাপতি Agamemnon-এর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে যুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়ায়। তার বন্ধু Patroclus নিহত হলে আবার যুদ্ধে নামে। Hector-কে হত্যা করে প্রতিশোধ নেয়। এই “ক্রোধ” মানব জীবনের ধ্বংসাত্মক শক্তির প্রতীক।

Key Notes – The Iliad

  • Epic Tradition: The Iliad is an ancient Greek epic, formed out of oral poetry. For generations, poets spread the story through song and recitation. In Homer’s voice, it took written form. The poem reflects the heroism of Greek civilization, the influence of gods and goddesses, war, and a deep belief in fate.
  • The Title – Iliad: The word Iliad comes from “Ilios” or “Ilion,” another name for the city of Troy. Thus, the title means “The Story of Troy.” However, the epic is not about the entire war, but only a few weeks toward the end of the Trojan War, focusing especially on the wrath of Achilles.
  • Achilles’ Wrath: The central theme of the entire epic is the wrath of the Greek hero Achilles. He withdraws from battle after a conflict with the Greek commander Agamemnon. When his friend Patroclus is killed, Achilles returns to the battlefield. He kills Hector to take revenge. This “wrath” symbolizes the destructive power of human emotions.

Background: The Iliad

হোমার রচিত The Iliad প্রাচীন গ্রিক মহাকাব্যগুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ। ধারণা করা হয় এটি খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতকে মৌখিক কবিতা হিসেবে গড়ে উঠেছিল। প্রাচীন গ্রিসে কবিরা যুদ্ধ, বীরত্ব এবং দেবতাদের গল্প গান আকারে আবৃত্তি করতেন। এই মৌখিক ঐতিহ্যের ফলেই The Iliad সৃষ্টি হয়। গল্পটি রচিত হয়েছে ট্রয় যুদ্ধকে কেন্দ্র করে, যা গ্রিক পুরাণ এবং ঐতিহাসিক কাহিনির মিশ্রণ। ট্রয় যুদ্ধ আসলেই হয়েছিল কিনা তা নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে, তবে এটি প্রাচীন গ্রিক কল্পনা ও সাংস্কৃতিক চেতনার গভীরে প্রোথিত। হোমার এই মহাকাব্যে দেখিয়েছেন শুধু যুদ্ধ নয়, বরং মানুষের আবেগ, অহংকার, ভাগ্যের শৃঙ্খল এবং দেবতাদের হস্তক্ষেপ।

অ্যাকিলিস (Achilles), হেক্টর (Hector), অ্যাগামেমনন (Agamemnon), প্রিয়াম (Priam) প্রভৃতি চরিত্ররা বাস্তব ও প্রতীকী উভয় দিক থেকেই অমর হয়ে ওঠে। মূলত অ্যাকিলিসের ক্রোধ ও তার ভয়াবহ পরিণতিই কাহিনির কেন্দ্রবিন্দু। এতে বোঝা যায়, কিভাবে ব্যক্তিগত আবেগ ও অহংকার এক বৃহৎ যুদ্ধকে প্রভাবিত করতে পারে। The Iliad শুধু যুদ্ধের ইতিহাস নয়, বরং প্রাচীন গ্রিক সমাজের বীরত্ব, সম্মানবোধ এবং মৃত্যুর দর্শনের প্রতিফলন। এটি ইউরোপীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতির ভিত্তি স্থাপন করে। হোমার তার সময়ের লোকবিশ্বাস, পুরাণ ও সামাজিক মূল্যবোধকে মিলিয়ে এমন এক কাহিনি রচনা করেন, যা আধা-ঐতিহাসিক, আধা-পুরাণভিত্তিক। এজন্য The Iliad পশ্চিমা সভ্যতার প্রাথমিক সাহিত্যের অন্যতম স্তম্ভ।

চরিত্রসমূহ – Iliad (বাংলায়)

প্রধান চরিত্র (Major Characters)

Achaeans, Greeks or Argonauts Characters (গ্রিক)

  • Achilles – অ্যাকিলিস: গ্রিকদের সর্বশ্রেষ্ঠ বীর। অর্ধ-দেবতা, সমুদ্রদেবী থেটিসের পুত্র। তার ক্রোধই কাহিনির মূল কেন্দ্র। অহংকার, প্রতিশোধ আর বীরত্বের প্রতীক।
  • Agamemnon – অ্যাগামেমনন: গ্রিক সেনাদের প্রধান সেনাপতি। অহংকারী ও ক্ষমতালোভী। ব্রিসেইসকে নিয়ে অ্যাকিলিসের সঙ্গে বিরোধে জড়ান। নেতৃত্ব ও দ্বন্দ্বের প্রতীক।
  • Menelaus – মেনেলাস: অ্যাগামেমননের ভাই, হেলেনের স্বামী। হেলেনকে প্যারিস অপহরণ করলে ট্রোজান যুদ্ধ শুরু হয়। দাম্পত্য সম্মান ও প্রতিশোধের প্রতীক।
  • Odysseus – ওডিসিয়াস: বুদ্ধিমান ও কৌশলী গ্রিক বীর। বক্তৃতায় পারদর্শী, অনেক কৌশল প্রস্তাব করেন। জ্ঞান ও বুদ্ধির প্রতীক।
  • Ajax (Telamonian Ajax) – অ্যাজাক্স: বিশালকায় ও শক্তিশালী যোদ্ধা। সাহসিকতার জন্য বিখ্যাত। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে হেক্টরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লড়েন। শারীরিক শক্তি ও বীরত্বের প্রতীক।
  • Diomedes – ডায়োমেডিস: তরুণ ও সাহসী বীর। এক পর্যায়ে দেবী এথেনার সাহায্যে দেবতাদের সঙ্গেও যুদ্ধ করেন। সাহস, ভাগ্য ও দেবীয় সমর্থনের প্রতীক।
  • Nestor – নেস্টর: বয়োজ্যেষ্ঠ জ্ঞানী যোদ্ধা। পরামর্শদাতা ও মধ্যস্থতাকারী। অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞার প্রতীক।
  • Patroclus – প্যাট্রোক্লাস: অ্যাকিলিসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সঙ্গী। অ্যাকিলিসের বর্ম পরে যুদ্ধে গিয়ে হেক্টরের হাতে নিহত হন। বন্ধুত্ব, ত্যাগ ও অনুপ্রেরণার প্রতীক।
  • Calchas – ক্যালকাস: গ্রিক সেনাদের ভবিষ্যদ্বক্তা। তিনি দেবতাদের ইচ্ছা ব্যাখ্যা করেন। ভাগ্য ও ধর্মীয় আচার–অনুষ্ঠানের প্রতীক।

আরো পড়ুনঃ The Frogs- বাংলা সামারি

গৌণ চরিত্র (Minor Characters) গ্রিক

  • Phoenix – ফিনিক্স: অ্যাকিলিসের শিক্ষক ও অভিভাবকসদৃশ বন্ধু। অ্যাকিলিসকে যুদ্ধক্ষেত্রে ফেরানোর চেষ্টা করেন। বিশ্বস্ততা ও উপদেশের প্রতীক।
  • Idomeneus – আইডোমেনাস: ক্রিট দ্বীপের রাজা। সাহসী যোদ্ধা ও অ্যাগামেমননের অনুগত। বীরত্ব ও নেতৃত্বের প্রতীক।
  • Machaon – মাখাওন: চিকিৎসক ও যোদ্ধা, Asclepius-এর পুত্র। আহত সেনাদের সেবা করেন। চিকিৎসাশক্তি ও জ্ঞানের প্রতীক।
  • Podalirius – পোডালিরিয়াস: মাখাওনের ভাই, দক্ষ চিকিৎসক। আরোগ্য ও স্বাস্থ্য রক্ষার প্রতীক।
  • Thersites – থার্সিটিস: গ্রিক সেনাদের মধ্যে একজন সাধারণ সৈনিক, কদাকার ও বাচাল। নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলে, বিশেষত অ্যাগামেমননকে অপমান করে। বিদ্রোহী মনোভাব ও ব্যঙ্গের প্রতীক।
  • Automedon – অটোমেডন: অ্যাকিলিসের রথচালক। পরে প্যাট্রোক্লাসেরও সহচর। বিশ্বস্ততা ও সেবার প্রতীক।
  • Eurypylus – ইউরিপাইলাস: এক সাহসী গ্রিক যোদ্ধা। যুদ্ধক্ষেত্রে আহত হন। যন্ত্রণা ও ত্যাগের প্রতীক।
  • Protesilaus – প্রোটেসিলাউস: প্রথম গ্রিক যোদ্ধা যিনি ট্রয়ের তীরে অবতরণ করে নিহত হন। ভাগ্য ও পূর্বনির্ধারিত মৃত্যুর প্রতীক।
  • Antilochus – অ্যান্টিলোকাস: নেস্টরের সাহসী পুত্র। যুদ্ধক্ষেত্রে পিতার সহায়ক। তার মৃত্যু নেস্টরকে শোকাহত করে। তরুণ বীরত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতীক।

প্রধান চরিত্র (Major Characters)

Trojan

  • Hector – হেক্টর: ট্রয়ের যুবরাজ ও প্রধান যোদ্ধা। প্রিয়াম ও হেকুবার পুত্র। সাহসী, দায়িত্বশীল ও মানবিক। প্যাট্রোক্লাসকে হত্যা করেন ও পরে অ্যাকিলিসের হাতে নিহত হন। বীরত্ব ও পারিবারিক কর্তব্যের প্রতীক।
  • Priam – প্রিয়াম: ট্রয়ের রাজা, হেক্টর ও প্যারিসের পিতা। দয়ালু ও জ্ঞানী হলেও দুর্বল বৃদ্ধ। হেক্টরের দেহ ফেরত আনতে অ্যাকিলিসের কাছে যান। পিতৃস্নেহ ও মানবিক মর্যাদার প্রতীক।
  • Paris (Alexander) – প্যারিস: ট্রয়ের রাজপুত্র, হেলেনকে অপহরণ করে যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায়। সুদর্শন কিন্তু কাপুরুষ ও ভোগবিলাসী। সৌন্দর্য, কামনা ও কাপুরুষতার প্রতীক।
  • Helen – হেলেন: মেনেলাসের স্ত্রী, প্যারিসের সঙ্গে চলে আসেন। তার জন্যই ট্রয় যুদ্ধের সূচনা। সৌন্দর্য, আকর্ষণ ও দ্বন্দ্বের প্রতীক।
  • Andromache – অ্যান্ড্রোম্যাখি: হেক্টরের স্ত্রী, ছোট ছেলে অ্যাস্ট্যানাক্সের মা। স্বামী ও সন্তানের প্রতি গভীর মমতায় ভরা। পারিবারিক ভালোবাসা ও যুদ্ধের শোকের প্রতীক।
  • Aeneas – এনিয়াস: ট্রোজান বীর, অ্যাফ্রোডাইট এর পুত্র। দেবতাদের রক্ষায় বহুবার বেঁচে যান। পরে রোমান পুরাণে নতুন কাহিনির নায়ক হন। বীরত্ব ও ভবিষ্যতের প্রতীক।
  • Deiphobus – ডেইফোবস: প্রিয়ামের আরেক পুত্র, সাহসী যোদ্ধা। বেশিরভাগ ঐতিহ্যবাহী বিবরণ অনুসারে, প্যারিস মারা গেলে হেলেনকে স্ত্রী হিসেবে পান। যুদ্ধকৌশল ও রাজবংশের প্রতীক।
  • Polydamas – পলিডামাস: হেক্টরের বন্ধু ও উপদেষ্টা। প্রায়ই কৌশলগত পরামর্শ দেন, তবে হেক্টর সব সময় তার কথা মানেন না। বুদ্ধি ও সতর্কতার প্রতীক।
  • Cassandra – ক্যাসান্দ্রা: প্রিয়ামের কন্যা, ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতা ছিল। কিন্তু কেউ তার কথা বিশ্বাস করত না। সত্য ও অবিশ্বাসের প্রতীক।
  • Agenor – এজেনর: ট্রোজান যোদ্ধা, হেক্টরের মৃত্যুর পর অ্যাকিলিসকে কিছুক্ষণের জন্য প্রতিহত করেন। সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক।

গৌণ চরিত্র (Minor Characters) গ্রিক

  • Polites – পলাইটিস: প্রিয়ামের পুত্রদের একজন। যুদ্ধে অ্যাকিলিসের হাতে নিহত হয়। যুবশক্তি ও ট্রোজান বংশের পতনের প্রতীক।
  • Lycaon – লাইকাওন: প্রিয়ামের আরেক পুত্র। আগে গ্রিকদের হাতে বন্দী হয়েছিল, পরে মুক্তি পায়। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে অ্যাকিলিস তাকে হত্যা করে। ভাগ্য ও নির্মম মৃত্যুর প্রতীক।
  • Astyanax – অ্যাস্ট্যানাক্স: হেক্টর ও অ্যান্ড্রোম্যাখির ছোট ছেলে। যুদ্ধের পর গ্রিকরা তাকে হত্যা করে, যাতে ভবিষ্যতে প্রতিশোধ না নিতে পারে। যুদ্ধের নিষ্ঠুরতা ও নির্দোষতার বলিদানের প্রতীক।
  • Glaucus – গ্লকাস: ট্রোজান মিত্র, লাইসিয়ার রাজপুত্র। যুদ্ধে ডায়োমেডিসের সঙ্গে দেখা হলে দু’জন বুঝতে পারে তাদের পূর্বপুরুষেরা বন্ধু ছিলেন। তারা যুদ্ধ না করে বর্ম বদল করে। বন্ধুত্ব ও সম্মানের প্রতীক।
  • Sarpedon – সার্পেডন: জিউসের পুত্র এবং ট্রোজান মিত্র। সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করে, কিন্তু প্যাট্রোক্লাস তাকে হত্যা করে। বীরত্ব, ভাগ্য এবং মৃত্যুর অনিবার্যতার প্রতীক।
  • Antenor – অ্যান্টেনর: ট্রয়ের জ্ঞানী প্রবীণ উপদেষ্টা। প্রায়ই যুদ্ধের বিরুদ্ধে শান্তি প্রস্তাব দেন। বুদ্ধি ও কূটনীতির প্রতীক।
  • Rhesus – রিসাস: থ্রেস থেকে আসা ট্রয়ের মিত্র রাজা। তার বিখ্যাত ঘোড়াগুলি ওডিসিয়াস ও ডায়োমেডিস রাত্রে হঠাৎ আক্রমণে চুরি করে নেয়। অপ্রত্যাশিত দুর্ভাগ্যের প্রতীক।
  • Dolon – ডোলন: ট্রয়ের গুপ্তচর। ওডিসিয়াস ও ডায়োমেডিস তাকে ধরে ফেলে হত্যা করে। প্রতারণা ও ব্যর্থতার প্রতীক।
  • Penthesilea – পেনথেসিলিয়া (অ্যামাজন রাণী): তিনি মূলত পরবর্তী Epic Cycle-এ বেশি উল্লিখিত, কিন্তু ট্রয়ের পক্ষের মিত্র হিসেবে পরিচিত। নারী বীরত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতীক।

Gods and Goddesses 

Gods

  • Zeus (জিউস)- (Neutral / নিরপেক্ষ): দেবতাদের রাজা ও হেরার স্বামী। তিনি সাধারণত নিরপেক্ষ থাকতে চান, তবে মাঝে মাঝে নিজের সন্তানদের জন্য পক্ষ নেন। ভাগ্য ও নিয়তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
  • Apollo (অ্যাপোলো)- (Supports Trojan / ট্রোজানদের পক্ষে): জিউসের পুত্র এবং আর্টেমিসের যমজ ভাই। তিনি সূর্য, সংগীত ও ভবিষ্যদ্বাণীর দেবতা। ট্রোজানদের রক্ষা করেন এবং গ্রিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে সক্রিয় থাকেন।
  • Ares (এরিস)- (Supports Trojan / ট্রোজানদের পক্ষে): যুদ্ধের দেবতা। তিনি ট্রোজানদের পাশে দাঁড়ান। তার যুদ্ধপ্রিয় স্বভাব রক্তপাত ও ধ্বংসের প্রতীক।
  • Poseidon (পসাইডন)- (Supports Achaean / গ্রিকদের পক্ষে): সমুদ্রের দেবতা এবং জিউসের ভাই। তিনি গ্রিকদের সমর্থন করেন এবং অনেক সময় যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে তাদের সাহায্য করেন।
  • Hephaestus (হেফাস্টাস)- (Supports Achaean / গ্রিকদের পক্ষে): আগুন ও লৌহকারিগরের দেবতা। তিনি অ্যাকিলিসের জন্য নতুন বর্ম ও ঢাল তৈরি করেন। তাই গ্রিকদের পক্ষে দাঁড়ান।
  • Hermes (হারমিস)- (Neutral / নিরপেক্ষ, কিন্তু সাহায্যকারী): বার্তাবাহক দেবতা। তিনি প্রিয়ামকে গোপনে গ্রিক শিবিরে পৌঁছে দেন, যাতে প্রিয়াম হেক্টরের দেহ ফেরত নিতে পারেন। শান্তি ও সহানুভূতির প্রতীক।

Goddesses

  • Hera (হেরা)- (Supports Achaean / গ্রিকদের পক্ষে): জিউসের স্ত্রী ও দেবীদের রাণী। তিনি গ্রিকদের প্রতি অনুগত এবং ট্রোজানদের পতন চান। অহংকার ও প্রতিশোধের প্রতীক।
  • Athena (অ্যাথেনা)- (Supports Achaean / গ্রিকদের পক্ষে): জ্ঞানের দেবী ও যুদ্ধকৌশলের দেবী। তিনি গ্রিকদের সব সময় সাহায্য করেন এবং ট্রোজানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। বুদ্ধি ও কৌশলগত শক্তির প্রতীক।
  • Aphrodite (অ্যাফ্রোডাইট)- (Supports Trojan / ট্রোজানদের পক্ষে): প্রেম ও সৌন্দর্যের দেবী। তিনি প্যারিসকে সমর্থন করেন, কারণ সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতায় প্যারিস তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিল। প্রেম ও আকর্ষণের প্রতীক।
  • Thetis (থেটিস)- (Supports Achaean / গ্রিকদের পক্ষে): সমুদ্রদেবী এবং অ্যাকিলিসের মা। তিনি ছেলেকে রক্ষা করার জন্য জিউসের কাছে প্রার্থনা করেন। মাতৃত্ব ও আবেগের প্রতীক।
  • Artemis (আর্টেমিস)- (Supports Trojan / ট্রোজানদের পক্ষে): শিকার ও চন্দ্রের দেবী। অ্যাপোলোর যমজ বোন। তিনি প্রায়শই ট্রোজানদের সমর্থন করেন। প্রকৃতি ও নারীত্বের প্রতীক।

আরো পড়ুনঃ Agamemnon বাংলা সামারি 

The Iliad- বাংলা সামারি

(Books 1–4)- ইলিয়াডের কাহিনি (প্রথম দিক)

কাহিনি শুরু হয় মিউজ (Muse) দেবীর উদ্দেশে আহ্বান দিয়ে। ঘটনাগুলো ঘটে ট্রোজান যুদ্ধের (Trojan War) শেষদিকে। ট্রোজানরা ও আখেয়ানরা (গ্রিক সেনারা) যুদ্ধে লিপ্ত। আখেয়ান (Achaeans) বাহিনী অনেক গ্রিক রাজ্য ও রাজপুত্রদের নিয়ে গঠিত। এদের সর্বাধিনায়ক অ্যাগামেমনন (Agamemnon), মাইসিনির রাজা (Mycenae)। ক্রাইসেস (Chryses), অ্যাপোলোর (Apollo) পুরোহিত, অ্যাগামেমননের কাছে তার কন্যা ক্রাইসেইসকে (Chryseis) ফেরত চাইলো এবং বিপুল ধনসম্পদ দিতে চাইল। অনেক আখেয়ান রাজা এতে রাজি ছিল, কিন্তু অ্যাগামেমনন অস্বীকার করল। অপমানিত হয়ে ক্রাইসেস অ্যাপোলো কাছে প্রার্থনা করল। অ্যাপোলো রাগে গ্রিক শিবিরে প্লেগ ছড়িয়ে দিল।

নয় দিন ধরে মহামারি চললো। তখন অ্যাকিলিস (Achilles), মাইর্মিডনদের (Myrmidon) নেতা, সভা ডাকল। চাপের মুখে অ্যাগামেমনন রাজি হলো ক্রাইসেইসকে ফেরত দিতে। কিন্তু প্রতিশোধ নিতে সে অ্যাকিলিসের পুরস্কার ব্রিসেইসকে (Briseis) কেড়ে নিল। এতে অ্যাকিলিস অপমানিত হলো। সে ঘোষণা দিল, আর যুদ্ধ করবে না। ওডিসিয়াস (Odysseus) ক্রাইসেইসকে তার বাবার কাছে ফিরিয়ে দিল। অ্যাপোলো খুশি হয়ে মহামারি থামাল। এদিকে অ্যাগামেমননের দূতেরা ব্রিসেইসকে অ্যাকিলিসের কাছ থেকে নিয়ে গেল। কষ্টে ভেঙে পড়ে অ্যাকিলিস। সে তার মা থেটিসের (Thetis) কাছে প্রার্থনা করল। থেটিস জিউসকে (Zeus) অনুরোধ করল ট্রোজানদের জিতিয়ে দিতে, যেন গ্রিকরা অ্যাকিলিসের প্রয়োজন বুঝতে পারে। জিউস এতে রাজি হলো।

জিউস ইচ্ছে করে অ্যাগামেমননকে ভুল স্বপ্ন পাঠান। স্বপ্নে বলা হয়, “আজ আক্রমণ করলে ট্রয় জেতা যাবে।” স্বপ্নকে সত্যি ভেবে অ্যাগামেমনন সকালে সৈন্যদের পরীক্ষা করতে চাইল। পরীক্ষা মানে, সে ইচ্ছে করে বলল, “চলো, সবাই ঘরে ফিরে যাই।” সে দেখতে চেয়েছিল, সৈন্যরা আসলেই যুদ্ধ করতে চায় কি না। সে বলল, সবাই ঘরে ফিরুক। কিন্তু সৈন্যরা সত্যিই দৌড়ে জাহাজে যেতে লাগল। তখন এথেনার (Athena) প্রেরণায় ওডিসিয়াস (Odysseus) সবাইকে থামাল। এক সাধারণ সৈন্য থার্সাইটিস (Thersites) আপত্তি করলে, ওডিসিয়াস তাকে প্রহার করে চুপ করাল। এরপর গ্রিক সেনারা দলবদ্ধ হয়ে সাজল। খবর পেয়ে ট্রোজানরা বেরিয়ে এলো। যুদ্ধের আগে প্যারিস (Paris) প্রস্তাব দিল, সে মেনেলাসের (Menelaus) সঙ্গে একক যুদ্ধে লড়বে। এভাবেই যুদ্ধের আসল কারণ বোঝানো হলো: হেলেন (Helen), মেনেলাসের স্ত্রী ও পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী নারী, প্যারিস তাকে স্পার্টা (Sparta) থেকে নিয়ে গিয়েছিল।

মেনেলাস ও প্যারিস দ্বন্দ্বযুদ্ধে রাজি হলো। শর্ত ছিল, যে জিতবে, হেলেন তার হবে। যুদ্ধে মেনেলাস জয়ী হতে চলেছিল, কিন্তু দেবী অ্যাফ্রোডাইট (Aphrodite) প্যারিসকে বাঁচিয়ে হেলেনের কাছে নিয়ে গেলেন। এদিকে দেবতারা পরামর্শ করছিলেন যুদ্ধ শেষ হবে কি না। কিন্তু হেরা জিউসকে রাজি করালেন, যুদ্ধ চলতে হবে যতক্ষণ না ট্রয় ধ্বংস হয়। তখন এথেনা (Athena) ট্রোজান ধনুকধারী প্যান্ডারাসকে (Pandarus) উসকে দিলেন। সে মেনেলাসকে তীর ছুঁড়ল। মেনেলাস আহত হলো, আর যুদ্ধবিরতি ভেঙে গেল। আবার ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হলো।

(Books 5–7)- ডায়োমিডস ও হেক্টরের কাহিনি

যুদ্ধে ডায়োমিডস (Diomedes) বহু ট্রোজানকে হত্যা করল। সে প্যান্ডারাসকে মেরে ফেলল এবং এইনিয়াসকে (Aeneas) হারাল। অ্যাফ্রোডাইট এসে এইনিয়াসকে বাঁচাতে চাইলে ডায়োমিডস দেবীকে আক্রমণ করে তার হাতে আঘাত করল। তারপর অ্যাপোলো ডায়োমিডসকে সতর্ক করলো, দেবতাদের সঙ্গে লড়াই কোরো না। কিন্তু ডায়োমিডস মানল না। তখন অ্যাপোলো যুদ্ধদেবতা এরেসকে (Ares) পাঠালেন তাকে হারাতে। দেবতারা উভয় পক্ষকে সাহায্য করতে নামলেন। এথেনার সাহসে ডায়োমিডস এরেসকেও আঘাত করে যুদ্ধের বাইরে সরিয়ে দিল। এদিকে হেক্টর (Hector) ট্রোজানদের একত্র করলেন এবং তাদের ভেঙে পড়তে দিলেন না।

ডায়োমিডস ও ট্রোজান বীর গ্লাউকস (Glaucus) যুদ্ধক্ষেত্রে মুখোমুখি হয়ে লড়াই থামাল। গ্লাউকস তার পূর্বপুরুষ বেলারোফন-এর (Bellerophon) গল্প বলল। তারা দুজন আত্মীয়তার সম্পর্ক খুঁজে পেয়ে একে অপরকে উপহার দিল, কিন্তু গ্লাউকস সোনার বর্ম দিয়ে ডায়োমিডসের ব্রোঞ্জের বর্ম নিল, যা অসম বিনিময় ছিল। হেক্টর শহরে ফিরে গেলেন। তিনি তার মা হেকুবাকে (Hecuba) বললেন দেবীদের উদ্দেশে প্রার্থনা ও বলি দিতে। তারপর তিনি প্যারিসকে যুদ্ধ করতে উসকে দিলেন। শহরের প্রাচীরে স্ত্রী অ্যান্ড্রোমাখে (Andromache) ও শিশু অ্যাস্টিয়ানাক্সকে (Astyanax) বিদায় জানালেন। পরে তিনি আবার যুদ্ধে ফিরে গেলেন।

হেক্টর ও আজাক্স (Ajax) দ্বন্দ্বযুদ্ধে লড়লেন। কিন্তু রাত নামায় যুদ্ধ থেমে গেল। উভয় পক্ষ নিজ নিজ শিবিরে ফিরল। এরপর ট্রোজানরা আলোচনা করল, হেলেনকে ফেরানো উচিত কি না। অনেকে রাজি হলেও প্যারিস শুধু ধনরত্ন ফিরিয়ে দিতে চাইল, হেলেনকে নয়। আখেয়ানরা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল। অবশেষে, উভয় পক্ষ মৃতদের দাফনের জন্য একদিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো। আখেয়ানরা সেই ফাঁকে তাদের শিবির ও জাহাজ রক্ষায় দেয়াল ও খাল তৈরি করল।

(Books 8–15)- যুদ্ধের নতুন ধাপ

পরের সকালে জিউস দেবতাদের আদেশ দিলেন, কেউ যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করবে না। আবার যুদ্ধ শুরু হলো। এবার ট্রোজানরা শক্তি পেয়ে আখেয়ানদের প্রাচীর পর্যন্ত ঠেলে দিল। হেরা (Hera) আর এথেনা (Athena) নিষিদ্ধ থাকলেন। রাত নামায় ট্রোজানরা আক্রমণ থামিয়ে দিল। তারা মাঠে ক্যাম্প করল। তাদের আগুনগুলো আকাশের তারার মতো জ্বলছিল। এদিকে আখেয়ানরা হতাশ। অ্যাগামেমনন নিজের ভুল স্বীকার করলেন। তিনি দূত হিসেবে ওডিসিয়াস, আজাক্স আর ফিনিক্সকে (Phoenix) পাঠালেন। তারা অ্যাকিলিসকে ব্রিসেইসসহ অনেক ধনরত্ন ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিল। কিন্তু অ্যাকিলিস রাগে তা প্রত্যাখ্যান করল। সে বলল, শুধু তখনই যুদ্ধ করবে যদি ট্রোজানরা তার জাহাজে আগুন ধরাতে আসে। দূতেরা ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেল।

রাতে ওডিসিয়াস আর ডায়োমিডস শত্রু শিবিরে প্রবেশ করল। তারা ট্রোজান গুপ্তচর ডোলনকে (Dolon) হত্যা করল এবং থ্রেসীয় (Thrace) মিত্র শিবিরে তাণ্ডব চালাল। সকালে যুদ্ধ শুরু হলো। অ্যাগামেমনন, ডায়োমিডস, আর ওডিসিয়াস সবাই আহত হলেন। তখন অ্যাকিলিস তার বন্ধু প্যাট্রোক্লাসকে (Patroclus) পাঠালেন আখেয়ানদের খোঁজ নিতে। নেস্টর (Nestor) তাকে অনুরোধ করলেন, যদি অ্যাকিলিস না আসে, তবে প্যাট্রোক্লাস যেন অ্যাকিলিসের বর্ম  (Armor) পরে সৈন্যদের নেতৃত্ব দেয়।

এদিকে ট্রোজানরা আখেয়ানদের প্রাচীরে আক্রমণ করল। হেক্টর ভয়ঙ্কর যুদ্ধে নেতৃত্ব দিল। অশুভ লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও সে আক্রমণ চালাল। ট্রোজানরা প্রাচীর ভেঙে ঢুকে পড়ল। আখেয়ানরা পিছু হটে জাহাজের কাছে আশ্রয় নিল। পোসাইডন (Poseidon) আখেয়ানদের প্রতি দয়া করে গোপনে সাহায্য করলেন। তিনি তাদের সাহস বাড়ালেন। লড়াইয়ে অনেকেই নিহত হলো। পোসাইডনের নাতি (পোসাইডনের ছেলে Cteatus-এর সন্তান) অ্যামফিম্যাকাস (Amphimachus) মারা গেল। পোসাইডন ইডোমেনিউসকে (Idomeneus) দেবশক্তি দিলেন। ট্রোজান ভবিষ্যদ্বক্তা পলিডামাস (Polydamas) হেক্টরকে সতর্ক করল, কিন্তু হেক্টর তা মানল না।

এদিকে হেরা জিউসকে প্রলুব্ধ করে ঘুম পাড়ালেন। তখন পোসাইডন গ্রিকদের আরও সাহায্য করলেন। তারা ট্রোজানদের পিছু হটিয়ে সমতলে ঠেলে দিল। আজাক্স হেক্টরকে আহত করল। হেক্টরকে শহরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো। জিউস ঘুম থেকে উঠে রেগে গেলেন। তিনি হেরাকে আশ্বস্ত করলেন, ট্রয় ধ্বংস হবে, তবে আগে হেক্টর প্যাট্রোক্লাসকে হত্যা করবে। এরপর পোসাইডনকে যুদ্ধ থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হলো। জিউস এবার অ্যাপোলোকে ট্রোজানদের সাহায্যে পাঠালেন। অ্যাপোলোর সহায়তায় ট্রোজানরা আবার আখেয়ানদের প্রাচীর ভেঙে ঢুকে পড়ল। যুদ্ধ এবার জাহাজ আখেয়ানদের পর্যন্ত পৌঁছে গেল।

(Books 16–18)- প্যাট্রোক্লাসের মৃত্যু ও অ্যাকিলিসের শোক

প্যাট্রোক্লাস আর সহ্য করতে পারছিল না। সে কাঁদতে কাঁদতে অ্যাকিলিসের কাছে গেল। সে তাকে একগুঁয়েমির জন্য দোষ দিল এবং বললো, যদি তুমি না লড়ো, তবে আমাকে যেতে দাও। আমি তোমার বর্ম পরে যুদ্ধ করব, যাতে সবাই ভাবে আমি অ্যাকিলিস। অ্যাকিলিস রাজি হলো, কিন্তু সতর্ক করল, শুধু শত্রুদের জাহাজ থেকে সরিয়ে দিও, শহরের ভেতর পর্যন্ত যেয়ো না। অ্যাকিলিস আশা করল, যুদ্ধ শেষ হলে সে আর প্যাট্রোক্লাস মিলে ট্রয় দখল করবে। প্যাট্রোক্লাস মাইর্মিডনদের নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপাল। তখন ট্রোজানরা গ্রিক জাহাজে আগুন দিচ্ছিল। হঠাৎ আক্রমণে ট্রোজানরা পালাতে শুরু করল। প্যাট্রোক্লাস ভয়ংকর লড়াই করল এবং জিউসের পুত্র সারপেডনকে (Sarpedon) হত্যা করল।

কিন্তু সে অ্যাকিলিসের নির্দেশ মানল না। সে ট্রয়ের ফটক পর্যন্ত ধাওয়া করল। সেখানে দেবতা অ্যাপোলো তাকে থামালেন। এরপরও প্যাট্রোক্লাস হেক্টরের রথচালক সেব্রিওনেসকে (Cebriones) হত্যা করল। কিন্তু অ্যাপোলো ও ইউফর্বোস (Euphorbos) তাকে দুর্বল করে দিল। শেষ পর্যন্ত হেক্টর প্যাট্রোক্লাসকে হত্যা করল। হেক্টর মৃত প্যাট্রোক্লাসের কাছ থেকে অ্যাকিলিসের বর্ম নিয়ে নিল। ট্রোজানরা দেহ টেনে নিতে চাইলে আখেয়ানরা মরিয়া হয়ে লড়ল। তখন অ্যান্টিলোকাস (Antilochus) দৌড়ে অ্যাকিলিসকে খবর দিল এবং সাহায্য চাইলো। 

খবর শুনে অ্যাকিলিস ভেঙে পড়ল। তার কান্না সমুদ্রতল থেকে তার মা থেটিস শুনতে পেলেন। থেটিস জানলেন, হেক্টরকে হত্যা করলে অ্যাকিলিসেরও মৃত্যু অবধারিত। তবু অ্যাকিলিস শপথ করল, সে প্রতিশোধ নেবে। কিন্তু তার বর্ম নেই। তাই এথেনা তাকে এক অদ্ভুত আলোয় ঘিরে রাখলেন। অ্যাকিলিস আখেয়ান প্রাচীরের পাশে দাঁড়িয়ে গর্জন করল। তার চিৎকারে ট্রোজানরা ভয়ে পালাল। ফলে আখেয়ানরা প্যাট্রোক্লাসের দেহ উদ্ধার করতে পারল। ভবিষ্যদ্বক্তা পলিডামাস (Polydamas) হেক্টরকে বলল শহরে ফিরতে, কিন্তু হেক্টর অস্বীকার করল। ট্রোজানরা সমতলে শিবির করল। অ্যাকিলিস দেহভারে শোকে ভেঙে পড়ল। তখন থেটিস দেবতা হেফাইস্টাসকে (Hephaestus) অনুরোধ করলেন নতুন বর্ম বানাতে। হেফাইস্টাস এক দারুণ বর্ম ও অসাধারণ এক ঢাল বানালেন অ্যাকিলিসের জন্য।

(Books 19–24)- অ্যাকিলিস ও হেক্টরের চূড়ান্ত যুদ্ধ এবং শেষকথা

ভোরে থেটিস নতুন বর্ম নিয়ে এলেন অ্যাকিলিসের কাছে। কিন্তু তিনি দেখলেন, অ্যাকিলিস এখনও প্যাট্রোক্লাসের দেহের পাশে কাঁদছে। এরপর অ্যাকিলিস বর্ম পরে সৈন্যদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করল। অ্যাগামেমনন তার প্রতিশ্রুত ধনরত্ন ও ব্রিসেইস ফিরিয়ে দিল। কিন্তু অ্যাকিলিস সবকিছুর প্রতি নিরাসক্ত রইল। সবাই খেতে বসলেও সে খায়নি। তার ঘোড়া জ্যানথোস (Xanthos) ভবিষ্যদ্বাণী করল, অ্যাকিলিস শিগগিরই মরবে। তবু অ্যাকিলিস উদাসীন থাকল। যুদ্ধে নামল অ্যাকিলিস। জিউস দেবতাদের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন। দেবতারা দুই পক্ষেই সাহায্য করল। অ্যাকিলিস ক্রোধে অসংখ্য ট্রোজান হত্যা করল। নদী রক্তে ভরে গেল। নদীদেবতা স্কামান্ডার (Scamander) তাকে থামাতে এলেন, কিন্তু অ্যাকিলিস লড়াই চালাল। পরে হেফাইস্টাসের আগুনে নদীদেবতা পরাস্ত হলো। দেবতাদের মধ্যেও সংঘর্ষ শুরু হলো।

শহরের দরজা খোলা হলো, ট্রোজানরা ভেতরে পালাল। অ্যাপোলো এক ট্রোজানের ছদ্মবেশে অ্যাকিলিসকে শহর থেকে দূরে সরিয়ে নিল। যখন সত্য প্রকাশ পেল, তখন সবাই শহরে ঢুকে পড়েছে, শুধু হেক্টর বাদে। প্রিয়াম (Priam) ও হেকুবা (Hecuba) হেক্টরকে মিনতি করে বললেন শহরে ঢুকতে, কিন্তু হেক্টর লড়ার সিদ্ধান্ত নিল। তবে অ্যাকিলিস আসতেই সে ভয় পেয়ে পালাল। অ্যাকিলিস হেক্টরকে শহরের চারপাশে তিনবার দৌড় করিয়ে তাড়া করেছিল। শেষে এথেনা তার ভাই ডেইফোবাসের (Deiphobus) ছদ্মবেশে তাকে ধোঁকা দিলেন। হেক্টর দাঁড়িয়ে লড়াই শুরু করল।

সংক্ষিপ্ত দ্বন্দ্ব শেষে অ্যাকিলিস হেক্টরকে গলায় আঘাত করে হত্যা করল। মৃত্যুর আগে হেক্টর স্মরণ করাল, অ্যাকিলিসও শিগগির মরবে। অ্যাকিলিস হেক্টরের বর্ম খুলে নিল এবং দেহকে অসম্মান করে রথে বেঁধে শহরের চারপাশে টেনে নিয়ে গেল। প্রিয়াম, হেকুবা আর অ্যান্ড্রোমাখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন। রাতে প্যাট্রোক্লাসের আত্মা স্বপ্নে এসে বললো, তাকে দাহ করো, যেন সে পাতালে শান্তি পায়। অ্যাকিলিস প্রতিশ্রুতি দিল তার অস্থি নিজের সঙ্গে এক কুম্ভে রাখবে। প্যাট্রোক্লাসকে দাহ করা হলো, এবং আখেয়ানরা খেলাধুলা প্রতিযোগিতা আয়োজন করল।

কিন্তু অ্যাকিলিস শোকে ভেঙে পড়ল। প্রতিদিন সে হেক্টরের দেহ টেনে বেড়াতে লাগল। এতে দেবতারা ক্ষুব্ধ হলেন। জিউস সিদ্ধান্ত নিলেন, হেক্টরের দেহ ফিরিয়ে দিতে হবে। হারমিসের (Hermes) সাহায্যে বৃদ্ধ প্রিয়াম উপহারভর্তি গাড়ি নিয়ে শিবিরে এলেন। তিনি অ্যাকিলিসের হাঁটু জড়িয়ে ছেলের দেহ ভিক্ষা করলেন। অ্যাকিলিস কেঁদে ফেলল। শত্রু হলেও তারা একসঙ্গে নিজেদের দুঃখ ভাগ করল। শেষে অ্যাকিলিস হেক্টরের দেহ ফিরিয়ে দিল এবং বারো দিনের যুদ্ধবিরতির অনুমতি দিল। প্রিয়াম দেহ নিয়ে ট্রয়ে ফিরলেন। হেক্টরের দাহ ও সমাধি হলো। পুরো শহর কেঁদে উঠল।

থিমসমূহ

Religion (ধর্ম): Iliad–এ দেবতা ও দেবীদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধ শুধু মানুষের হাতে নয়, দেবতাদের ইচ্ছাতেও চলে। জিউস, হেরা, এথেনা, অ্যাপোলো, অ্যাফ্রোডাইট, সবাই কোনো না কোনো পক্ষ নেয়। কেউ গ্রিকদের সাহায্য করে, কেউ ট্রোজানদের। যুদ্ধক্ষেত্রে তারা সরাসরি নামে, বর্শা ঠেলে দেয়, যোদ্ধাদের রক্ষা করে কিংবা দুর্বল করে দেয়। যেমন, অ্যাপোলো প্লেগ পাঠান, এথেনা অ্যাকিলিসকে শান্ত করেন, আবার পরে তাকে শক্তি দেন। দেবতারা কখনও প্রতিশোধ, কখনও পক্ষপাত, কখনও ভালোবাসার কারণে হস্তক্ষেপ করে। ধর্ম এখানে মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যোদ্ধারা যুদ্ধ শুরু করার আগে বলি দেয়, দেবতার কাছে জয় চায়। কিন্তু হোমার দেখান, দেবতারা সবসময় ন্যায়পরায়ণ নন, তারা নিজেদের মতো কাজ করেন। তাই ধর্ম মানে শুধু প্রার্থনা নয়, বরং ভাগ্য ও নিয়তির উপর দেবতাদের নিয়ন্ত্রণ। এটি প্রাচীন গ্রিক বিশ্বাসকে ফুটিয়ে তোলে, যেখানে দেবতা ছাড়া কোনো কাজ সম্ভব নয়।

Fate (ভাগ্য): Iliad–এ ভাগ্যকে এড়ানো অসম্ভব শক্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে। মানুষ যতই চেষ্টা করুক, শেষপর্যন্ত ভাগ্যের সিদ্ধান্তই কার্যকর হয়। অ্যাকিলিস জানত, সে যদি হেক্টরকে মারে, তবে তার নিজের মৃত্যু দ্রুত আসবে। তবু সে থামেনি। হেক্টরও জানত শহরের প্রাচীরের বাইরে তার মৃত্যু নির্ধারিত, তবুও সম্মুখযুদ্ধ বেছে নিল। দেবতারা চাইলেও ভাগ্য পাল্টাতে পারে না। যেমন, জিউস তার প্রিয় পুত্র সারপেডনকে রক্ষা করতে চাইলেও পারেননি। ভাগ্য তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। এটি এই শিক্ষা দেয়, মানুষ সাহসী হতে পারে, কিন্তু শেষ সত্য তার হাতে নেই। হোমার দেখান, ভাগ্যকে মেনে নেওয়াই বীরত্ব। কারণ মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী হলেও একজন যোদ্ধা গৌরব অর্জন করতে পারে। ভাগ্য তাই একদিকে কঠিন নিয়তি, অন্যদিকে মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য ঠিক করে দেয়। Iliad শেখায়, মানুষ দেবতা ও ভাগ্যের খেলায় এক ছোট চরিত্র মাত্র।

Pride (গর্ব): অহংকার বা গর্ব Iliad–এর অন্যতম প্রধান থিম। যুদ্ধের শুরুতেই অ্যাগামেমনন ও অ্যাকিলিসের ঝগড়া হয় সম্মান ও গর্বের কারণে। অ্যাগামেমনন ক্রাইসেসের কন্যাকে ছাড়তে বাধ্য হলে অপমানিত বোধ করে। প্রতিশোধে সে অ্যাকিলিসের পুরস্কার ব্রিসেইস কেড়ে নেয়। এতে অ্যাকিলিসের গর্বে আঘাত লাগে, আর সে যুদ্ধ ছাড়ে। এই দ্বন্দ্বই পুরো মহাকাব্যের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হেক্টরও গর্বিত, সে শহর রক্ষার দায়িত্ব ছাড়েনি, যদিও পালাতে পারত। তার গর্বই তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। গর্ব মানুষকে বীরত্বপূর্ণ কাজ করতে উৎসাহিত করে, কিন্তু একই সঙ্গে ধ্বংসও আনে। হোমার দেখান, গর্ব মানুষের হৃদয় কঠিন করে দেয়, তাকে ক্রোধ ও প্রতিশোধের দিকে ঠেলে দেয়। অ্যাকিলিসের মতো যোদ্ধা গর্বের কারণে বন্ধু প্যাট্রোক্লাসকে হারায় এবং শেষে নিজের মৃত্যুর পথ তৈরি করে।

Glory (গৌরব): গ্রিক সংস্কৃতিতে “ক্লেওস” বা মৃত্যুর পর খ্যাতি সবচেয়ে বড় আদর্শ ছিল। Iliad–এর প্রতিটি বীর যুদ্ধ করে মর্যাদা ও গৌরবের জন্য। অ্যাকিলিস জানত, দীর্ঘ জীবন চাইলে তাকে যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে হবে। কিন্তু সে গৌরবের জীবন বেছে নেয়, যদিও এতে তার অল্পদিন বাঁচা নিশ্চিত। হেক্টরও গৌরবের জন্য নিজের পরিবার ছেড়ে যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়ায়। সে জানে মৃত্যু আসন্ন, তবুও শহরের গৌরব রক্ষায় আত্মত্যাগ করে। গৌরবের এই আকাঙ্ক্ষাই গ্রিক বীরদের চালিত করেছে। তাদের জন্য মৃত্যুর পর স্মরণীয় হওয়া জীবিত থাকার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। হোমার শেখান, যোদ্ধার সত্যিকারের সাফল্য ধনসম্পদে নয়, বরং তার নাম প্রজন্মের পর প্রজন্মে বেঁচে থাকা। এ কারণে Iliad–এ মৃত্যুর ভয় নেই, আছে শুধু গৌরব অর্জনের প্রতিযোগিতা।

Heroism (বীরত্ব): Iliad–এ বীরত্বের চিত্র খুব উজ্জ্বল। বীর মানে শুধু শক্তিশালী হওয়া নয়, বরং আত্মত্যাগে প্রস্তুত থাকা। অ্যাকিলিস অপ্রতিরোধ্য যোদ্ধা হলেও ব্যক্তিগত গর্বে যুদ্ধ ছাড়ে। অন্যদিকে হেক্টর শহর, স্ত্রী ও সন্তানের প্রতি ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে যায় না। সে জানে মৃত্যু আসবে, তবুও লড়াই করে। প্যাট্রোক্লাসও বীরত্বের প্রতীক, সে বন্ধুর সম্মান রক্ষায় প্রাণ দেয়। ডায়োমিডসও অসাধারণ সাহস দেখায়, এমনকি দেবতাদের পর্যন্ত আঘাত করে। বীরত্ব এখানে শারীরিক শক্তির পাশাপাশি মানসিক দৃঢ়তা। হোমার শেখান, সত্যিকারের বীরত্ব হলো মৃত্যুর ভয় উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করা। তাই Iliad–এ বীররা শুধু যোদ্ধা নয়, তারা আদর্শ সাহসের প্রতীক হয়ে ওঠে।

War (যুদ্ধ): Iliad–এর মূল প্রেক্ষাপটই যুদ্ধ। এখানে যুদ্ধের ভয়ংকরতা ও গৌরব পাশাপাশি ফুটে ওঠে। যুদ্ধ আনে মৃত্যু, কান্না, ধ্বংস, তবুও যোদ্ধারা এটাকে গৌরব অর্জনের পথ হিসেবে দেখে। যুদ্ধ মানুষের গর্ব, প্রতিশোধ ও দেবতাদের ইচ্ছার ফল। অ্যাপোলো প্লেগ পাঠান, এথেনা যোদ্ধাকে শক্তি দেন, হেরা ট্রোজানদের ক্ষতি করতে চান, সবই যুদ্ধকে আরও তীব্র করে। আখেয়ান ও ট্রোজান উভয়েই পরিবার হারায়, শহর ভাঙে, কিন্তু তারা লড়াই থামায় না। হোমার দেখান, যুদ্ধ মানুষের জীবনের নির্মম বাস্তবতা। এর মধ্যে আছে দুঃখ, রক্তপাত, কিন্তু একই সঙ্গে বীরত্ব ও গৌরবের আলো। তাই Iliad যুদ্ধকে শুধু ধ্বংস নয়, মানুষের চরিত্র পরীক্ষা করার ক্ষেত্র হিসেবেও দেখায়।

Quotes

  1. “The rage of Achilles – sing it now, goddess.” – (The Iliad, Book 1)

“অ্যাকিলিসের ক্রোধ – গাও হে দেবী।”

Explanation: The poet begins the epic with an invocation to the Muse, asking her to sing about Achilles’s rage. This rage is the central theme of the Iliad and causes countless sorrows and deaths in the Trojan War.

ব্যাখ্যা: মহাকাব্য শুরু হয় দেবীর কাছে আহ্বান দিয়ে। কবি চান তিনি অ্যাকিলিসের রাগের কাহিনি শুনান। এই রাগই Iliad–এর মূল বিষয়। অ্যাকিলিসের ক্রোধ বহু মৃত্যু ও দুঃখের কারণ হয় ট্রোজান যুদ্ধে।

  1. “I will not stop killing Trojans until . . . I meet Hector and fight him man to man, and he kills me or I kill him.” – (The Iliad, Book 20)

“আমি ট্রোজান হত্যা থামাব না, যতক্ষণ না হেক্টরের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই করি, সে আমাকে হত্যা করবে, অথবা আমি তাকে হত্যা করবো।”

Explanation: Achilles declares his determination. His rage and desire for revenge drive him to fight Hector, even though he knows his own death is near. This shows the theme of fate, glory, and revenge.

ব্যাখ্যা: অ্যাকিলিস প্রতিজ্ঞা করে যে হেক্টরের সঙ্গে না লড়া পর্যন্ত সে থামবে না। প্রতিশোধের আগুন তাকে চালিত করছে। যদিও জানে নিজের মৃত্যুও কাছে, তবুও সে গৌরব আর প্রতিশোধের জন্য লড়াই করবে। এখানে ভাগ্য, গৌরব ও প্রতিশোধের থিম ফুটে ওঠে।

  1. “But the more Achilles kept looking, the more his rage at Hector grew.” – (The Iliad, Book 22)

“কিন্তু যতই অ্যাকিলিস তাকাল, ততই হেক্টরের প্রতি তার রাগ বাড়ল।”

Explanation: Achilles, burning with grief for Patroclus, becomes more furious seeing Hector. His grief turns into uncontrollable rage. This shows how personal loss fuels destructive anger.

ব্যাখ্যা: প্যাট্রোক্লাসের মৃত্যুশোকে জ্বলছিল অ্যাকিলিস। হেক্টরকে দেখে তার রাগ আরও বাড়ল। ব্যক্তিগত ক্ষতি তার ক্রোধকে অসীম করে তোলে। এটি দেখায়, দুঃখ কিভাবে ধ্বংসাত্মক রূপ নেয়।

  1. “Have pity on me; remember your father.” – (The Iliad, Book 24, Priam to Achilles)

“আমার প্রতি দয়া করো; তোমার বাবাকে স্মরণ করো।”

Explanation: Priam begs Achilles for Hector’s body. He reminds Achilles of his own father to stir compassion. This moment shows human suffering breaking the barrier of enmity.

আরো পড়ুনঃ The Frogs- বাংলা সামারি

ব্যাখ্যা: প্রিয়াম অ্যাকিলিসের কাছে হেক্টরের দেহ ভিক্ষা করেন। তিনি অ্যাকিলিসকে তার বাবার কথা স্মরণ করান। এতে শত্রুতার দেয়াল ভেঙে মানবিক বেদনা সামনে আসে।

  1. “Like the generations of leaves, the lives of mortal men.” – (The Iliad, Book 6, Glaucus to Diomedes)

“পাতার প্রজন্মের মতোই মানুষের জীবন।”

Explanation: Glaucus explains the brevity of human life. Just like leaves fall and grow again, human lives appear and vanish. This shows the theme of mortality.

ব্যাখ্যা: গ্লাউকস জীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব বোঝান। যেমন পাতা ঝরে যায় আর নতুন পাতা গজায়, তেমনই মানুষের জীবন আসে আর চলে যায়। এখানে মৃত্যুর অনিবার্য সত্য ফুটে ওঠে।

  1. “You … were their greatest glory while you lived—now death and fate have seized you.” – (The Iliad, Book 17, Menelaus to Patroclus)

“তুমি জীবিত থাকাকালীন তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ গৌরব ছিলে—এখন মৃত্যু ও ভাগ্য তোমায় গ্রাস করেছে।”

Explanation: Menelaus mourns Patroclus, acknowledging his heroism. He was a source of glory, but death and fate end all human greatness. This blends glory with the inevitability of fate.

ব্যাখ্যা: মেনেলাস প্যাট্রোক্লাসের মৃত্যুতে শোক করে। সে জীবিত অবস্থায় গৌরবের প্রতীক ছিল, কিন্তু মৃত্যু আর ভাগ্য তাকে শেষ করে দিয়েছে। এখানে গৌরবের সঙ্গে ভাগ্যের কঠিন সত্য মিলেছে।

  1. “Even the gods themselves can bend and change.” – (The Iliad, Book 16)

“দেবতারাও নিজেদের বদলাতে ও নমনীয় হতে পারে।”

Explanation: The Iliad shows that the gods are not fixed or unchanging. They, too, feel anger, pity, and desire, and can shift sides in war. This reflects human-like qualities in the divine.

ব্যাখ্যা: Iliad শেখায় দেবতারাও অপরিবর্তনীয় নন। তারাও রাগ, দয়া, কামনা অনুভব করেন এবং যুদ্ধে পক্ষ পরিবর্তন করেন। দেবতাদের এ মানবিক রূপ গ্রিক বিশ্বাসকে স্পষ্ট করে।

  1. “And fate? No one alive has ever escaped it, neither brave man nor coward, I tell you—it’s born with us the day that we are born.” – (The Iliad, Book 6, Hector to Andromache)

“আর ভাগ্য? কেউই তা এড়াতে পারেনি—না বীর, না ভীরু। জন্মের দিন থেকেই ভাগ্য আমাদের সঙ্গে জন্মায়।”

Explanation: Hector comforts Andromache, saying no one can escape fate. Bravery or cowardice cannot change destiny. This highlights the Iliad’s theme of the inevitability of fate.

ব্যাখ্যা: হেক্টর অ্যান্ড্রোমাখেকে সান্ত্বনা দেয়, বলে—কেউ ভাগ্য এড়াতে পারে না। সাহসী হোক বা ভীতু, নিয়তি সবার জন্য একই। এখানে ভাগ্যের অনিবার্য সত্য ফুটে ওঠে।

  1. “Come, friend, you too must die. … Even Patroclus died, a far, far better man than you.” – (The Iliad, Book 21, Achilles to Lycaon)

“এসো বন্ধু, তোমাকেও মরতে হবে… এমনকি প্যাট্রোক্লাসও মারা গেছে, যে তোমার চেয়ে অনেক শ্রেষ্ঠ ছিল।”

Explanation: Achilles tells Lycaon that death spares no one. Even Patroclus, noble and strong, died. This shows Achilles’s merciless mood and the theme of universal mortality.

ব্যাখ্যা: অ্যাকিলিস লাইকাওনকে বলে, মৃত্যু কাউকেই ছাড়ে না। এমনকি মহৎ প্যাট্রোক্লাসও মারা গেছে। এখানে অ্যাকিলিসের নির্মম রূপ ও মৃত্যুর সার্বজনীন সত্য ফুটে ওঠে।

  1. “Shall then the Grecians fly! O dire disgrace! … No: let my Greeks, unmoved by vain alarms.” – (The Iliad, Book 5, Diomedes to the Greeks)

“তাহলে কি গ্রিকরা পালাবে! কী ভীষণ লজ্জা! … না: আমার গ্রিকরা ভয়ে নড়বে না।”

Explanation: Diomedes inspires the Greek warriors, calling retreat a disgrace. He urges them to fight bravely without fear. This reflects heroism and the importance of honor in battle.

ব্যাখ্যা: ডায়োমিডস সৈন্যদের সাহস দেয়। সে বলে পালানো লজ্জার, গ্রিকরা যেন ভয়ে না নড়ে। এখানে বীরত্ব আর যুদ্ধের সম্মানের গুরুত্ব ফুটে ওঠে।

ভাষার অলংকার

  • Metaphor (রূপক): সংজ্ঞা: যখন একটি জিনিসকে অন্য কিছুর সঙ্গে সরাসরি তুলনা করা হয়, কিন্তু like বা as ব্যবহার করা হয় না। উদাহরণ: অ্যাকিলিসকে বারবার “সিংহ” বা “অগ্নিশিখা” বলা হয়। ব্যাখ্যা: অ্যাকিলিস আসলে মানুষ, কিন্তু তাকে রূপকের মাধ্যমে ভয়ংকর শক্তি ও ধ্বংসাত্মক আগুনের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এতে বোঝানো হয়, অ্যাকিলিসের ক্রোধ ও শক্তি মানুষের সীমার বাইরে, যেন সে প্রকৃতির ভয়াল শক্তির প্রতীক। এটি গ্রিক বীরত্ব ও যুদ্ধের ভয়াবহতাকে রূপকের মাধ্যমে প্রকাশ করে।
  • Irony (বিদ্রূপ) সংজ্ঞা: প্রত্যাশিত ঘটনার উল্টো কিছু ঘটলে বিদ্রূপ তৈরি হয়। উদাহরণ: হেক্টর ভেবেছিল ট্রয়কে রক্ষা করবে, কিন্তু শহরের দরজার বাইরে একাই দাঁড়িয়ে সে মৃত্যুবরণ করে। ব্যাখ্যা: বিদ্রূপ হলো, যে নায়ক নিজের পরিবার, শহর আর দেশের জন্য সর্বস্ব দিল, শেষ পর্যন্ত শহরও রক্ষা পেল না আর তিনিও বাঁচলেন না। আবার অ্যাকিলিস প্রতিশোধে হেক্টরকে হত্যা করল, কিন্তু সে জানত এতে তার নিজের মৃত্যুও নিশ্চিত। এই বিদ্রূপ দেখায়, যুদ্ধ গৌরব আনে বটে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যু ও ধ্বংসই সত্য।
  • Symbolism (প্রতীকবাদ) সংজ্ঞা: কোনো বস্তু, চরিত্র বা স্থান যখন গভীর অর্থ বা ধারণা প্রকাশ করে।
  • অ্যাকিলিসের ক্রোধ (Rage of Achilles): যুদ্ধের মূল চালিকা শক্তি। এটি মানবিক আবেগের ধ্বংসাত্মক দিকের প্রতীক।
  • অ্যাকিলিসের ঢাল (The Shield of Achilles): হেফাইস্টাস নির্মিত এই ঢাল শুধু অস্ত্র নয়, পৃথিবীর প্রতীক। এতে যুদ্ধ, শান্তি, কৃষি, নৃত্য সবই খোদাই ছিল। এটি মানবজীবনের পূর্ণ চিত্র ও ভাগ্যের প্রতীক।
  • হেক্টরের দেহ টেনে নেওয়া: অসম্মান ও প্রতিশোধের প্রতীক। অ্যাকিলিসের ক্রোধে মানবিকতা হারানোর চিহ্ন।
  • ট্রোজান প্রাচীর: মানুষের স্বপ্ন ও নিরাপত্তার প্রতীক, কিন্তু ভাগ্যের হাতে তা ভেঙে যায়।
  • প্যাট্রোক্লাসের মৃত্যু: বীরত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতীক, আবার অ্যাকিলিসকে বদলে দেওয়ার মোড় ঘোরানোর মুহূর্ত।
  • দেবতাদের হস্তক্ষেপ: মানবজীবনে নিয়তির প্রতীক। মানুষ লড়াই করলেও দেবতারা ভাগ্য ঠিক করে দেয়।
  • অ্যাকিলিস চরিত্র: মানবিক বীরত্ব ও ক্রোধের প্রতীক। সে গৌরব চায়, কিন্তু নিজের মৃত্যু ডেকে আনে।
  • হেক্টর চরিত্র: দায়িত্ব, পরিবারপ্রেম, আর আত্মত্যাগের প্রতীক। শহর রক্ষার জন্য মৃত্যুকেও বরণ করে।
  • প্রিয়াম চরিত্র: পিতার ভালোবাসা ও মানবিক আবেদন। শত্রুর কাছে গিয়েও ছেলের দেহ ফেরত আনার সাহস করে।
  • হেলেন চরিত্র: সৌন্দর্য ও ধ্বংসের প্রতীক। তার জন্যই যুদ্ধ, তার জন্যই রক্তপাত।

Moral Lessons from The Iliad

  • Rage leads to ruin.
  • Fate is inescapable.
  • Pride invites destruction.
  • Revenge destroys peace.
Share your love
Mottaleb Hossain
Mottaleb Hossain

This is Mottaleb Hossain, a researcher in English Language and Literature as well as Theology. I serve as an instructor at Literature Xpres, a global online educational institution.
Educational Qualifications:
B.A. (Honours) and M.A. in English from National University
BTIS under IAU (Islamic Arabic University)
Kamil in Tafsir and Hadith from IAU.

Articles: 48

2 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *