Ode to a Nightingale Bangla Summary

Brief Biography of John Keats: জন কিটস ১৭৯৫ সালে ইংল্যান্ডের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা থমাস কিটস ছিলেন অস্তাবলের (ঘোড়ার রাখার জায়গা) পরিচর্যাকারী। আর তার মা ফ্রান্সেস জেনিংস কিটস একটি শ্রমজীবী পরিবারের মেয়ে। কিটস মাত্র ১৪ বছর বয়সে অনাথ হয়ে যান এবং অভিভাবকদের তত্ত্বাবধানে বড় হন। তিনি এনফিল্ডের ক্লার্ক’স স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং পরে লন্ডনের গাই’স হাসপাতালে একজন সার্জন হওয়ার প্রশিক্ষণ নেন। তবে চিকিৎসাবিদ্যার পথ ছেড়ে তিনি কবিতা লেখার দিকে মনোযোগ দেন। ১৮১৬ সালে তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়।

earn money

তার প্রধান রচনার গুলোর মধ্যে Endymion, Lamia, The Eve of St. Agnes অন্নতম। Ode to a Nightingale ও Ode on a Grecian Urn তার বিখ্যাত ওড। কিটস জীবনে আর্থিক সংকট ও স্বাস্থ্যগত সমস্যার সঙ্গে লড়াই করেছেন। তিনি ফ্যানি ব্রাউনকে ভালোবাসতেন, কিন্তু দুরারোগ্য অসুস্থতার কারণে তাকে বিয়ে করতে পারেননি। ১৮২০ সালে তিনি যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার আশায় ইতালিতে পাড়ি জমান। ১৮২১ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে রোমে তার মৃত্যু হয়। জন কিটসকে রোমান্টিক যুগের শ্রেষ্ঠ কবিদের একজন হিসেবে মনে করা হয়। সমৃদ্ধ চিত্রকল্প এবং গভীর আবেগপ্রবণতার জন্য আজও বিশ্বজুড়ে কিটসের কবিতাগুলো প্রশংসিত।  

Key Facts:

  • Author: John Keats (1795-1821)
  • Original Title: “Ode to a Nightingale”
  • Title of the Author
  • Leading Second Generation Romantic Poet
  • Poet of Sensuousness 
  • Poet of Beauty and Mortality
  • Written Date:  Between 26 April and 18 May 1819
  • Published Date: Published in “Annals of the Fine Arts” in July 1819
  • Form: Ode
  • Meter: Iambic Pentameter
  • Tone: Melancholic, Dreamlike & Reflective
  • Genre: Romantic Poetry
  • Total Lines: 80
  • Stanzas: 8
  • Point of View: First-person (uses “I”)
  • Rhyme Scheme: ABABCDECDE
  • Setting:
  • Time Setting: 1819
  • Place Setting: At the Hampstead house, Keats shared with Brown, possibly while sitting beneath a plum tree in the garden. 

Key Notes 

  • Nightingale (বুলবুলি পাখি): এই কবিতায় নাইটিঙ্গেল বা বুলবুলি একটি প্রতীক, যা চিরন্তন সৌন্দর্য, মুক্তি ও কল্পনার জগৎ-কে তুলে ধরে। কবি এই পাখির গান শুনে বাস্তব জীবনের দুঃখ-কষ্ট ভুলে যেতে চান এবং তার কল্পনায় উড়ে যেতে থাকেন সেই পাখির সঙ্গে।  
  • Escapism (বাস্তবতা থেকে পালায়ন): কবিতার স্পিকার বাস্তব জীবনের দুঃখ, মৃত্যু, ক্লান্তি থেকে পালিয়ে যেতে চান। তিনি নাইটিঙ্গেলের গানের মাধ্যমে এক স্বপ্নময় জগতে প্রবেশ করেন, যেখানে কষ্ট, মৃত্যু বা বয়সের সীমারেখা নেই।
  • Mortality vs. Immortality (মৃত্যু বনাম অমরত্ব): মানুষ মরে যায়, কিন্তু নাইটিঙ্গেলের গান চিরন্তন মনে হয়। এই গানের অমরত্ব আর মানুষের মরণোত্ত কবিতার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। 
  • Imagination (কল্পনা): কবিতায় কিটস কল্পনার জগতে চলে যান, যেখানে নাইটিঙ্গেলের গানের ছন্দে তিনি হারিয়ে যান। কল্পনা হচ্ছে এখানে বাস্তবতা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়। 
  • Hemlock (হেমলক): Hemlock হলো একটি বিষাক্ত গাছ, যার রস বা পানীয় সেবনে মৃত্যু হতে পারে। এটি প্রাচীন গ্রীসে আত্মহত্যা বা মৃত্যুদণ্ডে ব্যবহৃত হতো। সবচেয়ে বিখ্যাত উদাহরণ হলো—সক্রেটিসকে হেমলকের বিষ খাইয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

Background

ইউটিউবে ভিডিও লেকচার দেখুনঃ


John Keats তার জীবনে অনেক দুঃখ-কষ্ট, রোগ এবং আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তাই তিনি কল্পনা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর দুঃখ দুর্দশাকে ভুলতে নাইটেঙ্গেলের পৃথিবীতে ক্ষণিকের জন্য চলে গিয়েছিলেন। জন কিটস এই কবিতাটি একদিনের মধ্যে লিখেন। তিনি Plum গাছের নিচে বসে ছিলেন। ওই সময়টাই তিনি গাছের পাতার ভেতরে নাইটেঙ্গেল পাখিকে দেখেছিলেন। তিনি দেখেন নাইটেঙ্গেল পাখি মিষ্টি সুরে গান করছে। তার নেই কোন দুঃখ, নেই কোন কষ্ট, নেই কোন সীমাবদ্ধতা। আর নাইটেঙ্গেলের পৃথিবী কবির কাছে আদর্শ জায়গা বলে মনে হয়েছে। 

Ode to a Nightingale Bangla Summary

“Ode to Nightingale” কবিতাটি রোমান্টিক কবি জন কিটস লিখেছেন। এটি ১৮১৯ সালে প্রকাশিত হয়। এই কবিতায় কবি জাগতিক জীবনের সমস্যাগুলো থেকে দূরে যাওয়ার জন্য তিনি তার কল্পনাশক্তির আশ্রয় নিয়েছেন। 

নাইটেঙ্গেল এর গান শুনতে পাওয়া এবং প্রশংসা করা: কবিতার শুরুতেই কবি বলেন, তিনি অবচেতন অনুভব করছেন এবং তার বুকে ব্যথা হচ্ছে। কারণ একটু আগেই তিনি মাদক সেবন করেছেন। সেই মুহূর্তেই তিনি দূরে বনে নাইটিঙ্গেলের গান শুনতে পান। নাইটিঙ্গেলের এই গ্রীষ্মের গান তাকে আনন্দিত করে এবং তিনি তার মেলোডিয়াস গানের প্রশংসা করেন। 

নাইটেঙ্গেলের পৃথিবীতে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করা: এরপর কবি এমন এক ধরনের মাদক সেবনের ইচ্ছা পোষণ করেন, যা তাকে সবকিছু ভুলিয়ে দিবে। সকল সীমাবদ্ধতা দূর করে দেবে। কবি পৃথিবীর সবকিছু ভুলে নাইটিঙ্গেলের সাথে ঘন জঙ্গলে যেতে চান, যেতে চান নাইটেঙ্গেলের পৃথিবীতে। তৃতীয় স্ট্যাঞ্জাতে কবি হারিয়ে যেতে চান। জীবনের যাবতীয় সমস্যা যা নাইটিঙ্গেলের নেই সেগুলো থেকে মুক্তি পেতে চান। তিনি জানেন কোনো কিছুই স্থায়ী না। সৌন্দর্য একদিন ম্লান হয়ে যাবে। চতুর্থ স্ট্যাঞ্জায় কবি নাইটিঙ্গেলকে উড়ে যেতে বলেন এবং তিনি তার অনুসরণ করবেন। তিনি মাদক সেবনের মাধ্যমে না হারিয়ে কবিতার মাঝে হারাতে চান। তিনি কল্পনা করেন যে তিনি নাইটিঙ্গেলের সাথে জঙ্গলে উড়ছেন। সে জঙ্গলে গাছের আড়ালে চাঁদের আলো ঢাকা পড়েছে।

নাইটেঙ্গেলের গান হৃদয় স্পর্শ করা: এবার কবি জানান যে তিনি এই আলোছায়ায় ফুলগুলোকে দেখতে পাচ্ছেন না, কিন্তু তাদের সৌন্দর্য আন্দাজ করতে পারছেন। ষষ্ঠ স্ট্যাঞ্জায় কবি অন্ধকারের মাঝে নাইটিঙ্গেলের গান শুনতে থাকেন। এই গান তাকে এতটাই স্পর্শ করে যে এই গানের মাঝে মৃত্যু হলেও তিনি পরমানন্দ অনুভব করবেন।

নাইটেঙ্গেলকে অমরত্ব দান এবং বাস্তবতায় ফিরে আসা: সপ্তম স্ট্যাঞ্জায় কবি বলেন, নাইটিঙ্গেল মরণশীল নয়। সে মারা যাওয়ার জন্য জন্ম নেয়নি। তার গান সেই প্রাচীনকাল থেকে সবাই শুনে আসছে। তার গান উত্তাল সমুদ্রে বা পরীদের রাজ্যেও শোনা যায়। এরপর একটি শব্দে কবির চেতনা ফিরে আসে আর নাইটিঙ্গেল তার থেকে দূরে উড়ে যায়। নাইটিঙ্গেল তার কল্পনা ছিলো নাকি স্বপ্ন তিনি তা মনে করতে পারেন না। তাই তিনি আক্ষেপ করতে থাকেন। তিনি এটাও মনে করতে পারেন না যে, তিনি কি আদৌ জেগে ছিলেন, নাকি ঘুমাচ্ছিলেন।

Read More: Ode to a Nightingale English Summary

Characters

  • The Nightingale: A real bird, but in the poem, it becomes a symbol of eternal beauty, freedom, and the ideal world. 
  • The Speaker (Narrator): The poet himself, deeply emotional and reflective. He listens to the bird’s song and is drawn into a dreamlike state. He is trying to escape the sadness of real life.
  • Death (Personified): Death appears almost like a comforting presence in the poem. At one point, the speaker wishes to die gently while hearing the bird’s song. Death is imagined as peaceful, not fearful.
  • Bacchus: Bacchus (known as Dionysus in Greek mythology) is the Roman god of wine, festivity, and ecstasy. He is often associated with drunken joy, emotional release, and wild celebration.
  • ফ্লোরা (Flora): গ্রিক পুরাণে তাঁর নাম ছিল বোট্রিস (Botros), কিন্তু রোমান পুরাণে ফ্লোরা নামে পরিচিত। তিনি ফুলের দেবী। 
  • Ruth: হিব্রু বাইবেলের (ওল্ড টেস্টামেন্ট) “Book of Ruth”-এ বর্ণিত একটি নারী চরিত্র, যিনি ইস্রায়েলীয় না হয়েও ঈশ্বরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আনুগত্য দেখিয়েছেন।

Quotations

“Thou wast not born for death, immortal Bird!”

Explanation: This line emphasizes the eternal nature of the nightingale’s song and its ability to transcend mortality.

“মৃত্যুবরন করার জন্য তোমার জন্মা হয়নি, চিরন্তন পাখি!”

ব্যাখ্যা: এই লাইনটি নাইটিঙ্গেলের গানের চিরন্তন প্রকৃতি এবং তার অমরত্বের ক্ষমতাকে বিশেষভাবে তুলে ধরে।

“Away! away! for I will fly to thee,

         Not charioted by Bacchus and his pards,

But on the viewless wings of Poesy,”

Explanation: The speaker wants to fly to the nightingale, not through physical means like Bacchus’s wine-fueled celebrations, but by the spiritual power of poetry.

“দূরে, দূরে! আমি তোমার কাছে যাব,

বাক্কাস এবং তার সঙ্গী প্রাণীদের গাড়িতে না চড়ে,

কিন্তু কাব্যিক শব্দের অদৃশ্য ডানা দিয়ে।”

ব্যাখ্যা: বক্তা নাইটিঙ্গেলের কাছে যেতে চায়, কিন্তু বাক্কাসের মদ্যপান বা উৎসবের মাধ্যমে নয়, বরং কাব্যিক শক্তি দিয়ে যেতে চায়।

“Forlorn! the very word is like a bell.” 

Explanation: This line conveys that the word “forlorn” has a melancholic and resonant quality. It illustrates the power of language in evoking emotions.

“অবসাদ! এই শব্দটি যেন একটি ঘণ্টার মতো বাজে।”

ব্যাখ্যা: এই লাইনটি দেখায় যে “forlorn” (অবসাদ) শব্দটি একটি দুঃখজনক ও সুরেলা গুণধর শব্দ। এখানে ভাষার শক্তি দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করা হয়েছে।

“Was it a vision, or a waking dream?

Fled is that music:—Do I wake or sleep?”

Explanation: In these lines from John Keats’ questions whether the experience of hearing the nightingale’s music was a vivid vision or a dream and whether their current state is one of wakefulness or sleep.

“এটি কি একটি দর্শন, নাকি একটি জাগরিত স্বপ্ন?

সে সুর চলে গেছে:—আমি কি জেগে আছি, না ঘুমাচ্ছি?”

ব্যাখ্যা: এই লাইনগুলোতে জন কিটস প্রশ্ন করছেন, যে নাইটিঙ্গেলের সুর শোনা যাচ্ছিল একটি উজ্জ্বল দর্শন নাকি একটি স্বপ্ন, এবং তিনি বর্তমানে কি জেগে আছেন না ঘুমাচ্ছেন?

Themes

  • Escapism: The speaker wants to escape life’s pain and death through the nightingale’s song.
  • Mortality vs. Immortality: Humans are mortal, but the nightingale represents eternal life through its song.
  • The Power of Imagination: Imagination allows the speaker to transcend reality and experience freedom.
  • The Role of Art: The nightingale’s song symbolizes how art can offer immortality and timeless beauty.
  • Nature’s Beauty: The nightingale represents the pure, unchanging beauty of nature.
  • Suffering and Joy: The poem contrasts joy from the nightingale’s song with human suffering.
  • Illusion vs. Reality: The speaker questions whether his experience is a dream or reality.

Literary Terms

  • Ode → The poem is a type of ode, which means it is a serious, thoughtful poem about a deep subject.

Figures of Speech:

  • Imagery: Descriptive language that appeals to the senses to create vivid pictures in the reader’s mind. Example: “Thou wast not born for death, immortal Bird!”
  • Metaphor: A comparison between two things without using “like” or “as.” Example: “Thou wast not born for death, immortal Bird!” Here, the nightingale is a metaphor for eternal beauty and immortality, as it is “not born for death.”
  • Personification: Giving human qualities to non-human things. The nightingale is personified as a bride, suggesting purity and beauty.
  • Hyperbole: An exaggerated statement or claim. Example: “Thou wast not born for death, immortal Bird!” The nightingale is exaggeratedly described as immortal, as if it cannot die. It represents idealised beauty.

Symbolism/Symbols: Using objects or images to represent bigger ideas. Examples:

    • The Nightingale: Symbol of Eternal Beauty and Freedom.
    • Wine/Bacchus: Symbol of Earthly pleasure and escapism.
    • The Forest (Nature): Symbol of Escape from Reality.
    • The “Eternal” Song of the Nightingale: Symbol of Timeless Art and Imagination.
    • Hemlock: Symbol of death or poison.

    Main Message:

    • Art offers escape, but death is inevitable.

    Line by Line Analysis

    “My heart aches, and a drowsy numbness pains

    My sense, as though of hemlock I had drunk,”

    আমার হৃদয় ব্যথিত, এবং এক ধরনের নিস্তেজ অবস্থা আমাকে কষ্ট দেয়, যেন আমি হেমলক (বিষাক্ত গাছ) পান করেছি।

    “Or emptied some dull opiate to the drains

    One minute past, and Lethe-wards had sunk:”

    অথবা আমি যেন কোনো বিষাক্ত মাদক খেয়ে, এক মিনিট আগেই Lethe- এর (ভুলে যাওয়ার নদী) দিকে নেমে গেছি।

    “‘Tis not through envy of thy happy lot,

    But being too happy in thine happiness,”

    এটা তোমার (Nightingale) সুখী অবস্থার প্রতি ঈর্ষা থেকে নয়, বরং তোমার সুখের মধ্যে নিজেকে অতিরিক্ত সুখী অনুভব করার কারণে।

    “That thou, light-winged Dryad of the trees

    In some melodious plot

    Of beechen green, and shadows numberless,”

    তুমি, হে গাছের হালকা-ডানাওয়ালা ড্রায়াড (পরীসদৃশ আত্মা),

    সবুজ গাছপালা ও অসংখ্য ছায়ায় ভরা এক সুরেলা জায়গায়

    “Singest of summer in full-throated ease.”

    তুমি পূর্ণ গলায় গ্রীষ্মকালে গান গাচ্ছো, খুব সহজভাবে।

    (এই অংশে কবি বলেন—তার হৃদয় ব্যথায় ভরা, আর মনে হচ্ছে তিনি বিষ পান করেছেন বা নেশার ঘোরে আছেন। তবে এটা ঈর্ষা থেকে নয়, বরং বুলবুলির গান শুনে তিনি এত সুখে ডুবে গেছেন যে নিজেই ঘোরে চলে গেছেন। তিনি বুলবুলিকে এক ড্রায়াড (পরীসদৃশ আত্মা) বলেন, যে সবুজ গাছপালা আর ছায়াময় পরিবেশে বসে, খুব সহজভাবে ও সুন্দরভাবে গ্রীষ্মের গান গাইছে।)

    “O, for a draught of vintage! that hath been

    Cool’d a long age in the deep-delved earth,”

    আহ! যদি আমি এক পাত্র পুরনো মদ পেতাম—

    যেটা বহু বছর ধরে মাটির গভীরে ঠান্ডা হয়ে আছে,

    “Tasting of Flora and the country green,

    Dance, and Provençal song, and sunburnt mirth!”

    যার স্বাদে থাকত ফুলের সুবাস, গ্রামের সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্য,

    নৃত্য, প্রোভঁস অঞ্চলের গান, আর রোদে পুড়ে যাওয়া হাসির আনন্দ!

    “O for a beaker full of the warm South,

    Full of the true, the blushful Hippocrene,”

    আহ! আমি চাই একটি গরম দক্ষিণী মদ, যা সত্যিকার, লালচে রঙের হিপোক্রিন (কাব্যিক মদ) দিয়ে পূর্ণ।

    “With beaded bubbles winking at the brim,

    And purple-stained mouth;”

    যার মুখে ছোট ছোট বুদবুদ চিকচিক করত,

    আর যার কিনারা বেগুনি দাগে রঙিন হত।

    “That I might drink, and leave the world unseen,

    And with thee fade away into the forest dim:”

    আমি তা পান করে এই পৃথিবীকে ভুলে যেতে চাই,

    আর তোমার (বুলবুলি পাখির) সঙ্গে মিশে যেতে চাই গভীর বনভূমির মাঝে।

    (এই অংশে কবি বলেন— তিনি এমন এক পুরনো, সুগন্ধি মদ চাইছেন, যা বহু বছর ধরে মাটির নিচে ঠান্ডা হয়ে আছে। সেই মদের মধ্যে থাকবে ফুলের ঘ্রাণ, গ্রামের প্রকৃতির স্বাদ, নৃত্য, গান, আর খুশির আমেজ। তিনি আরও বলেন, তিনি এমন এক মদ খেতে চান যা দক্ষিণ দেশের উষ্ণতা ও কল্পনার ঝরনা ‘হিপোক্রিনে’-এর মতো, যার উপর ফেনা ওঠা বুদবুদ থাকবে, আর যার মুখ বেগুনি রঙে রাঙানো থাকবে। এই মদ তিনি পান করতে চান যেন এই পৃথিবীকে ভুলে যেতে পারেন এবং বুলবুলির সঙ্গে এক হয়ে হারিয়ে যেতে পারেন গভীর বনে নিঃশব্দে।)

    “Fade far away, dissolve, and quite forget

    দূরে কোথাও মিলিয়ে যেতে চাই, গলে যেতে চাই, আর পুরোপুরি ভুলে যেতে চাই সেই সব কষ্টের কথা—

    What thou among the leaves hast never known,”

    যা তুমি (বুলবুলি পাখি) গাছের পাতার মধ্যে বসে কখনও অনুভব করোনি।

    “The weariness, the fever, and the fret

    এই পৃথিবীতে মানুষ ক্লান্ত, জ্বরে ভোগে, চিন্তায় কষ্ট পায়;

    Here, where men sit and hear each other groan;”

    এখানে মানুষ বসে থাকে আর একে অন্যের হাহাকার শোনে।

    “Where palsy shakes a few, sad, last gray hairs,

    কখনও বুড়ো মানুষের কাঁপা হাত আর কিছু শেষ রুপালি চুল দুলতে থাকে,

    Where youth grows pale, and spectre-thin, and dies;”

    তরুণরা রোগা, বিবর্ণ আর ভূতের মতো হয়ে যায়—শেষে মৃত্যুবরণ করে।

    “Where but to think is to be full of sorrow

    এখানে শুধু ভাবলেই যেন মন বিষণ্ণতায় ভরে যায়,

    And leaden-eyed despairs,”

    চোখে ভরে ওঠে সীসার মতো ভারী হতাশা।

    “Where Beauty cannot keep her lustrous eyes,

    এখানে সৌন্দর্যও তার দীপ্তিময় চোখ টিকিয়ে রাখতে পারে না,

    Or new Love pine at them beyond to-morrow.”

    আর নতুন প্রেমও আগামীকাল পর্যন্ত সেই চোখের জন্য আকুল থাকতে পারে না।

    (এই অংশে কবি বলেন—তিনি চাইছেন দূরে কোথাও মিলিয়ে যেতে, যেন সব কষ্ট ভুলে যেতে পারেন। এই কষ্টগুলো সেই পাখি (বুলবুলি) কখনও জানে না, কারণ সে গাছের পাতার আড়ালে নিরাপদে থাকে। কবি বলেন, মানুষ এই দুনিয়ায় ক্লান্ত, অসুস্থ, আর দুঃখে ভোগে। তারা বসে থাকে আর একে অন্যের কষ্টের শব্দ শোনে। বুড়ো মানুষদের দেহ কাঁপে, মাথায় গুটিকয়েক সাদা চুল পড়ে থাকে। তরুণরাও রোগা, ফ্যাকাশে হয়ে পড়ে এবং দ্রুত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। এখানে শুধু চিন্তা করলেই মন ভরে ওঠে দুঃখে। চোখে জমে ওঠে ভারী, হতাশার ছায়া। এমন এক দুনিয়া, যেখানে সৌন্দর্যও বেশিদিন টেকে না, আর নতুন প্রেমও আগামীকাল পর্যন্তই টিকে—তারপর তা হারিয়ে যায়।)

    Away! away! for I will fly to thee,

    দূরে চলে যাই! চলে যাই! আমি তোমার (বুলবুলির) কাছে উড়ে যেতে চাই।

    Not charioted by Bacchus and his pards,

    আমি বাক্কাস (মদের দেবতা) ও তার চিতাবাঘ টানা রথে করে যাচ্ছি না,

    But on the viewless wings of Poesy,

    বরং যাচ্ছি কাব্যের অদৃশ্য ডানায় ভর করে।

    Though the dull brain perplexes and retards:

    যদিও আমার ক্লান্ত মস্তিষ্ক বিভ্রান্ত করে আর গতি বাধা দেয়।

    Already with thee! tender is the night,

    তবুও আমি যেন ইতিমধ্যেই তোমার সঙ্গে আছি! রাতটা মায়াময় আর কোমল।

    And haply the Queen-Moon is on her throne,

    সম্ভবত চাঁদের রানী তার সিংহাসনে বসে আছেন,

    Cluster’d around by all her starry Fays;

    আর তার চারপাশে জড়ো হয়েছে অসংখ্য তারা-পরিরা।

    But here there is no light,

    কিন্তু এখানে (পৃথিবীতে) কোনো আলো নেই।

    Save what from heaven is with the breezes blown

    শুধু যে আলোটা স্বর্গ থেকে হাওয়ার সঙ্গে ভেসে আসে,

    Through verdurous glooms and winding mossy ways.

    সবুজ ছায়া আর প্যাঁচানো শ্যাওলা-মোড়া পথ দিয়ে।

    (এই অংশে কবি বলেন—তিনি বুলবুলির কাছে উড়ে যেতে চান, তবে মদের দেবতার রথে নয়, বরং কাব্যের অদৃশ্য ডানায় ভর করে। যদিও তার মাথা ক্লান্ত আর ধীর, তবুও মনে হয় তিনি এখনই বুলবুলির সঙ্গে আছেন। রাতটা শান্ত, কোমল—চাঁদের রানী আকাশে তারার পরিদের মাঝে সিংহাসনে বসে আছেন। কিন্তু পৃথিবীতে কোনো আলো নেই, শুধু একটু স্বর্গীয় আলো, যা হাওয়ার সঙ্গে ছায়াময় বন আর শ্যাওলা-মোড়া পথে ভেসে আসে।)

    I cannot see what flowers are at my feet,

    আমি দেখতে পারছি না আমার পায়ের কাছে কী ফুল আছে,

    Nor what soft incense hangs upon the boughs,

    আর দেখতে পারছি না কোন কোমল সুগন্ধি গাছের ডালে ঝুলে আছে।

    But, in embalmed darkness, guess each sweet

    কিন্তু এই সুগন্ধে ভরা অন্ধকারে আমি প্রতিটি মিষ্টি ঘ্রাণ কল্পনা করি,

    Wherewith the seasonable month endows

    যেগুলো এই ঋতু অনুযায়ী মাস প্রকৃতিকে উপহার দিয়েছে—

    The grass, the thicket, and the fruit-tree wild;

    ঘাস, ঝোপঝাড় আর বুনো ফলের গাছে।

    White hawthorn, and the pastoral eglantine;

    সাদা হথর্ন ফুল, আর গ্রামের ধারে জন্মানো ইগলানটাইন (বুনো গোলাপ)।

    Fast fading violets cover’d up in leaves;

    পাতার নিচে ঢাকা দ্রুত ম্লান হয়ে যাওয়া বেগুনি ভাইওলেট ফুল,

    And mid-May’s eldest child,

    আর মে মাসের মাঝামাঝির প্রথম সন্তান,

    The coming musk-rose, full of dewy wine,

    যেটা হলো সুগন্ধি-রোজ—যার মধ্যে শিশিরের মতো মদভরা ঘ্রাণ।

    The murmurous haunt of flies on summer eves.

    যেখানে গ্রীষ্ম সন্ধ্যায় মাছিরা গুনগুন করে ঘোরে।

    (এই অংশে কবি বলেন—তিনি দেখতে পাচ্ছেন না তার পায়ের কাছে কী ফুল আছে বা গাছের ডালে কী সুগন্ধি ঝুলছে। তবে এই অন্ধকারে তিনি কল্পনা করেন সেই সব ফুলের সুগন্ধ, যা ঋতু অনুযায়ী প্রকৃতিতে ফুটে উঠেছে— যেমন ঘাস, ঝোপঝাড়, বুনো গাছ, সাদা হথর্ন ফুল, বুনো গোলাপ, দ্রুত ম্লান হওয়া বেগুনি ভাইওলেট ফুল, আর মে মাসের সুগন্ধি-রোজ ফুল, যা শিশিরের মতো সুগন্ধে ভরা। এবং গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় মাছির গুনগুন করা শব্দ শোনা যায়।)

    Darkling I listen; and, for many a time

    অন্ধকারে বসে আমি তোমার গান শুনছি; আর বহুবার এমন হয়েছে—

    I have been half in love with easeful Death,

    আমি যেন সহজ ও শান্ত মৃত্যুর প্রেমে অর্ধেক পড়ে গিয়েছিলাম।

    Call’d him soft names in many a mused rhyme,

    অনেক ভাবনাভরা কবিতায় আমি মৃত্যুকে কোমল নামে ডেকেছি,

    To take into the air my quiet breath;

    যেন সে এসে বাতাসের সঙ্গে আমার নিঃশব্দ নিঃশ্বাস নিয়ে যায়।

    Now more than ever seems it rich to die,

    এখন আগের চেয়ে আরও বেশি মনে হচ্ছে—মৃত্যু যেন এক দারুণ আরাম।

    To cease upon the midnight with no pain,

    মধ্যরাতে কোনো যন্ত্রণা ছাড়াই জীবনের ইতি টানা যেন শান্তি।

    While thou art pouring forth thy soul abroad

    ঠিক তখন, যখন তুমি (বুলবুলি) তোমার আত্মা ঢেলে দিচ্ছো গানের মাধ্যমে—

    In such an ecstasy!

    এক দারুণ উচ্ছ্বাসের মধ্যে!

    Still wouldst thou sing, and I have ears in vain—

    তুমি তখনও গেয়ে যাবে, আর আমার কানে তা শোনা হবে না—সব বৃথা।

    To thy high requiem become a sod.

    তোমার সেই মহিমান্বিত বিদায়গানের সময় আমি হয়ে যাব মাটির একটি দলা।

    (এই অংশে কবি বলেন— তিনি অন্ধকারে বসে বুলবুলির গান শোনেন, এবং বহুবার মনে হয়েছে মৃত্যুর কাছে শান্তি পেতে চান। তিনি মৃত্যুকে কোমল নামে ডাকতেন, যেন শান্তভাবে তার নিঃশ্বাস চলে যায়। এখন, তিনি মনে করেন, মৃত্যুর সময় আসা শান্তি আরও বেশি আকর্ষণীয়, বিশেষ করে যখন বুলবুলি তার গান গেয়ে আত্মা প্রকাশ করছে। তবে সে গান আর তার উচ্ছ্বাস তিনি শুনতে পাবেন না, কারণ তখন তিনি মাটির মধ্যে মিশে যাবেন, এক নিঃসঙ্গ, শীতল অবস্থায়।)

    Thou wast not born for death, immortal Bird!

    তুমি মৃত্যুর জন্য জন্মাওনি, তুমি অমর পাখি!

    No hungry generations tread thee down;

    কোনো ক্ষুধার্ত প্রজন্ম তোমাকে ধ্বংস করতে পারে না।

    The voice I hear this passing night was heard

    আমি আজ রাতে যে কণ্ঠ শুনছি,

    In ancient days by emperor and clown:

    তা বহু প্রাচীনকালে রাজা-বাদশা ও সাধারণ মানুষ—সবাই শুনেছে।

    Perhaps the self-same song that found a path

    সম্ভবত এই একই গান পথ খুঁজে পেয়েছিল

    Through the sad heart of Ruth, when, sick for home,

    রূথের দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে, যখন সে নিজ দেশের জন্য কষ্টে কাঁদছিল,

    She stood in tears amid the alien corn;

    আর সে অচেনা দেশে শস্যক্ষেতের মাঝে দাঁড়িয়ে কাঁদছিল।

    The same that oft-times hath

    এই একই গান বহুবার

    Charm’d magic casements, opening on the foam

    জাদুকরী জানালার কাচে মোহ ছড়িয়েছে, যা খোলা হতো ঢেউ-ভরা সাগরের দিকে,

    Of perilous seas, in faery lands forlorn.

    ভয়ংকর সমুদ্র আর পরীদের মতো পরিত্যক্ত জাদুর দেশে।

    (এই অংশে কবি বলেন— বুলবুলি পাখি মৃত্যুর জন্য জন্মায়নি, সে অমর। কোনো প্রজন্ম তাকে ধ্বংস করতে পারবে না। আজ রাতে যে কণ্ঠ তিনি শুনছেন, তা বহু প্রাচীনকালে রাজা ও সাধারণ মানুষদেরও শোনা ছিল। এটি হয়তো সেই একই গান, যা রূথের হৃদয়ে দুঃখের সৃষ্টি করেছিল, যখন সে তার নিজ দেশকে মিস করছিল। এটি বহুবার জাদুকরী জানালার কাচে মোহ সৃষ্টি করেছে, যা ঢেউ-ভরা সাগরের দিকে খুলত, এমনকি ভয়ানক সমুদ্র ও পরী-রাজ্যের মতো জায়গায়।)

    Forlorn! the very word is like a bell

    “বিষণ্ণ!”—এই শব্দটা যেন ঘণ্টার মতো বাজে,

    To toll me back from thee to my sole self!

    যা আমাকে তোমার (বুলবুলির) জগত থেকে টেনে ফিরিয়ে আনে আমার একাকী বাস্তবতায়।

    Adieu! the fancy cannot cheat so well

    বিদায়! কল্পনা আর আমাকে ততটা ধোঁকা দিতে পারে না,

    As she is fam’d to do, deceiving elf.

    যেমনটা সে আগে দিত—একটা ধোঁকাবাজ পরির মতো।

    Adieu! adieu! thy plaintive anthem fades

    বিদায়! বিদায়! তোমার করুণ গান ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে,

    Past the near meadows, over the still stream,

    সামনের সবুজ মাঠ পেরিয়ে, শান্ত নদীটার উপর দিয়ে,

    Up the hill-side; and now ’tis buried deep

    পাহাড়ের ঢালে উঠে—এবং এখন তা গভীরভাবে হারিয়ে গেছে

    In the next valley-glades:

    পরের উপত্যকার ঘন ছায়ায়।

    Was it a vision, or a waking dream?

    এটা কি কোনো দর্শন ছিল, না জেগে থাকা অবস্থার স্বপ্ন?

    Fled is that music:—Do I wake or sleep?

    সেই সংগীত তো উড়ে গেছে—আমি কি জেগে আছি, না ঘুমিয়ে পড়েছি?

    (এই অংশে কবি বলেন— “বিষণ্ণ!” শব্দটি তাকে বুলবুলির জগত থেকে টেনে এনে একাকী বাস্তবতায় ফিরিয়ে আনে। তিনি বলেন বিদায়, কল্পনা আর তাকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে না যেমন আগে করত। বিদায়! বুলবুলির করুণ গান ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে, মাঠ আর নদী পেরিয়ে পাহাড়ের ঢালে, গভীরভাবে মাটির মধ্যে মিশে যাচ্ছে। এটি কি একটা দর্শন ছিল, না জেগে থাকা অবস্থার কোনো স্বপ্ন? সেই গান উড়ে গেছে—এখন তিনি জানেন না, তিনি কি জেগে আছেন নাকি ঘুমাচ্ছেন।)

    Shihabur Rahman
    Shihabur Rahman
    Hey, This is Shihabur Rahaman, B.A (Hons) & M.A in English from National University.

    1 COMMENT

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    ফেসবুক পেইজ

    কোর্স টপিক