Brief Biography: সোফোক্লিস (৪৯৬ খ্রিস্টপূর্ব – ৪০৬ খ্রিস্টপূর্ব) ছিলেন একজন বিখ্যাত প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার। তিনি খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকে এথেন্সে বসবাস করতেন এবং পেরিক্লিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বন্ধু ছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ৪৬৮ সালে, তিনি বিখ্যাত হন যখন নাট্য প্রতিযোগিতায় এস্কাইলাসকে পরাজিত করে বিজয় লাভ করেন। সোফোক্লিস ১০০-র বেশি নাটক লিখেছিলেন, কিন্তু তার মধ্যে মাত্র সাতটি নাটক এখনো টিকে আছে— যেগুলোর মধ্যে রয়েছে Antigone, Oedipus Rex, এবং Electra। তিনি গ্রিক নাট্যকলার উন্নয়ন ঘটান, যেমন: নাটকে অতিরিক্ত অভিনেতা যোগ করেন এবং চরিত্রগুলোর আবেগ ও মানসিক অবস্থার উপর বেশি গুরুত্ব দেন। সোফোক্লিস কেবল একজন নাট্যকারই ছিলেন না, তিনি রাজনীতি ও সেনাবাহিনীতেও একজন সম্মানিত নেতা ছিলেন। তার নাটকগুলো আজও মানুষ পছন্দ করে, কারণ এতে মানবজীবন সম্পর্কে গভীর দার্শনিক চিন্তা প্রকাশ পেয়েছে।
Key Facts
- Full Title: Oedipus Rex (English Name: Oedipus the King)
- Playwright: Sophocles (496 BCE- 406 BCE)
- Written Time: 429 BCE
- Written Place: Athens, Greece
- Published Date: 429 BCE
- Literary Period: Classical
- Genre: Tragedy
- Place Setting: In Thebes in front of the royal palace
- Structure: Prologue, Parodos, Episodes, Stasimon, Exodos
- Climax: When Oedipus uproots his eyes
- Protagonist: Oedipus
- Antagonist: Fate
Background: Oedipus Rex নাটকের মূল কাহিনি গ্রিক পুরাণ থেকে নেওয়া। ইডিপাস (Oedipus) ছিল থিবস (Thebes) নামের একটি প্রাচীন শহরের রাজা। থিবস ছিল প্রাচীন গ্রীসের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। তার জন্মের আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল যে সে তার বাবাকে হত্যা করবে এবং নিজের মাকে বিয়ে করবে। যদিও Oedipus Rex-এ বলা ঘটনাগুলো সত্যি ইতিহাস নয় তবে এই কাহিনি গ্রিকদের কাছে খুবই পরিচিত ছিল। সোফোক্লিস এই জনপ্রিয় কাহিনিকে নাট্যরূপ দেন। সোফোক্লিস খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে এথেন্সের (Athens) “গৌরবের যুগে” (Golden Age) এই নাটকটি লিখেছিলেন। এই সময়ে নাটক, রাজনীতি, ও দর্শনের চূড়ান্ত বিকাশ ঘটেছিল। এই নাটকে ধর্ম, রাজনীতি, এবং মানুষের সীমাবদ্ধতার বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে। এটা সেই সময়কার সমাজের গভীর প্রশ্ন এবং চেতনার প্রতিফলন। সে সময়ে প্রাচীন গ্রীসে সত্যিকারের একটি ধর্মীয় স্থান ছিল, যেখানে মানুষ দেবতা অ্যাপোলোর বার্তা পেত। দেবতার এক ভবিষ্যৎ বানীর উপর ভিত্তি করেই এই নাটকটি রছিত। নাটকটিতে মানুষের সীমাবদ্ধতা, অহংকার, এবং ঈশ্বরের পরিকল্পনার মতো বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
Mythical Story: নাটক “Oedipus Rex” (যাকে “Oedipus the King” নামেও ডাকা হয়) মানব ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ট্র্যাজেডি। এটি প্রাচীন গ্রীক নাট্যকার সোফোক্লিস (Sophocles) লিখেছিলেন আনুমানিক ৪২৯ খ্রিস্টপূর্বে। এটি একটি শক্তিশালী ট্র্যাজেডি, যা একটি বিখ্যাত গ্রীক মিথের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ইডিপাস, এই নাটকের প্রধান চরিত্র, (Thebes) থিবসের রাজা লাইয়াস (Laius) এবং রাণী জোকাস্টার (Jocasta) সন্তান।
এই ট্র্যাজেডিতে থিবসের রাজা ইডিপাসের জীবনচক্র বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি না জেনেই ডেলফির দেবতার ভবিষ্যদ্বাণী পূরণ করেন। সেই ভবিষ্যদ্বাণী ছিল— তিনি তাঁর পিতা, রাজা লাইয়াসকে হত্যা করবেন এবং তাঁর মাতা, রাণী জোকাস্টাকে বিয়ে করবেন। ইডিপাস যখন শিশু ছিলেন, তখন তাঁর পিতামাতা রাজা লাইয়াস এবং রাণী জোকাস্টা এই ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী শুনেছিলেন। তারা এই দুর্ঘটনা এড়াতে ছোট্ট ইডিপাসকে ফেলে দেন, তাঁর পায়ে পেরেক গেঁথে (এই কারণেই তাঁর নাম রাখা হয় “Oedipus” মানে “swollen foot”)। কিন্তু একজন রাখাল তাকে বাঁচিয়ে ফেলেন।
সেই রাখাল শিশুটিকে করিন্থের আরেকজন রাখালের হাতে তুলে দেন। পরে ইডিপাস করিন্থের রাজা পলিবাস (Polybus) এবং রাণী মেরোপের (Merope) ঘরে বড় হতে থাকেন। তিনি জানতেন না যে, তাঁর আসল পরিচয় কী। তিনি বিশ্বাস করতেন, পলিবাস এবং মেরোপ-ই তাঁর আসল বাবা-মা। যখন তিনি বড় হন, তখন তিনি আবার ডেলফির দেবতার কাছ থেকে একই ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী শুনতে পান। নিজেকে এমন পাপ থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি করিন্থ ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। ভ্রমণের পথে একদিন, এক রাস্তার লড়াইয়ে তিনি এক ব্যক্তিকে হত্যা করেন। তিনি জানতেন না, ঐ লোকটি তাঁর আসল পিতা লাইয়াস।
পরে তিনি থিবসে পৌঁছান এবং বুদ্ধি ও দ্রুত চিন্তাশক্তি দিয়ে স্পিংক্সের ধাঁধার সমাধান করেন। (Sphinx) স্পিংক্স ছিল একটি পৌরাণিক প্রাণী। তার দেহ ছিল সিংহের মতো এবং মাথা ছিল এক নারীর। সে থিবস শহরের প্রবেশদ্বারে পাহারা দিত এবং যারা শহরে ঢুকতে চাইত তাদের একটি ধাঁধার উত্তর দিতে বলত। যদি তারা ভুল উত্তর দিত তাহলে সে তাদের মেরে ফেলত। ধাঁধাটি ছিল: “সকালে চার পায়ে হাঁটে, দুপুরে দুই পায়ে, আর সন্ধ্যায় তিন পায়ে হাঁটে কে?” ইডিপাস সঠিক উত্তর দেন: “এটি একজন মানুষ।” তিনি ব্যাখ্যা করেন— মানুষ জীবনের সকালে (শৈশবে) চার পায়ে হাঁটে (দুই হাত এবং দুই হাঁটুতে ভর দিয়ে)।
জীবনের দুপুরে (যৌবনে) দুই পায়ে হাঁটে। আর জীবনের সন্ধ্যায় (বৃদ্ধ বয়সে) একটি লাঠি ব্যবহার করে, তাই তিন পায়ে হাঁটে। ইডিপাসের সঠিক উত্তরের ফলে স্পিংক্স পরাজিত হয় এবং নিজেকে পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচে ফেলে হত্যা করে। পুরস্কার হিসেবে থিবসবাসীরা ইডিপাসকে সাদরে স্বাগত জানায় এবং তাঁকে থিবসের রাজা বানায়। তিনি বিধবা রাণী জোকাস্টাকে বিয়ে করেন, যিনি আসলে তাঁর নিজের মা ছিলেন। এইভাবে, না জেনেই ইডিপাস ভবিষ্যদ্বাণী পূরণ করেন।
Characters
Major Characters
- Oedipus: Tragic hero (protagonist), King of Thebes, determined, curious, intelligent, proud, caring towards his people, confident, emotional, suffers from hubris, blind to his fate, solves the riddle of the Sphinx, chasing the truth endlessly, faces a prophecy of killing his father and marrying his mother, unknowingly fulfills the prophecy, tragic flaw leads to downfall, feels self-blame and guilt, accepts responsibility for his actions, experiences intense suffering, ends up blind and exiled, had four children with Jocasta (Sons: Eteocles, Polyneices; Daughters: Antigone, Ismene).
- Laius: Former King of Thebes, father of Oedipus, victim of prophecy, tries to escape fate, orders infant Oedipus to be killed, killed by Oedipus unknowingly, symbol of fate and human error, catalyst of the tragic events, his murder causes the plague in Thebes, represents guilt and hidden sin.
- Jocasta: Queen of Thebes, wife and mother of Oedipus, strong-willed, protective of Oedipus, less believing in prophecies, tries to prevent Oedipus from discovering the truth, ignorant of Oedipus’ identity, experiences a tragic fate, commits suicide after the truth is revealed, symbolizes dramatic irony and tragedy.
- Teiresias/Tiresias (both spellings are right): Blind prophet, experienced gender transformation (male to female and back), knows Oedipus’ fate, advisor to Oedipus, unwilling to reveal the full truth, clashes with Oedipus, represents truth and foresight, symbolizes irony and fate.
- Creon: Brother of Jocasta, uncle of Oedipus, becomes King of Thebes, authoritarian, stubborn, focused on political stability, prideful, has a strong sense of duty, believes in loyalty to the state.
Oedipus Rex Bangla Summary
প্রলোগ
ইডিপাসের রাজ্যে প্লেগ/মহামারি: থিবসের রাজা ইডিপাস (Oedipus) সিংহের দেহ এবং নারীর মাথাওয়ালা দৈত্য স্ফিংক্সের (Spinx) ধাঁধার সমাধান করার পর রাজা হন। স্ফিংক্স শহরটিকে আতঙ্কিত করেছিল, কিন্তু ইডিপাস তার ধাঁধার সমাধান করে থিবস (Thebes) শহরকে রক্ষা করেন। এখন আবার ইডিপাস প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে বড় পুরোহিতের সাথে কথা বলতে আসেন, কারণ থিবস আবার এক ভয়াবহ প্লেগে আক্রান্ত হয়েছে। এই প্লেগ মানুষকে মেরে ফেলছে, ফসল ধ্বংস করছে এবং নারীদের বন্ধ্যা করে দিচ্ছে। পুরোহিত ইডিপাসকে অনুরোধ করেন যেন তিনি আবার শহরকে বাঁচান, ঠিক যেমন তিনি স্ফিংক্সকে পরাজিত করে শহরকে রক্ষা করেছিলেন।
ইডিপাস তার জনগণের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন যে তিনি তাদের সাহায্য করতে এবং শহরকে রক্ষা করতে সবকিছু করবেন। তিনি আরও বলেন, শহরের সুস্থতার তুলনায় তার নিজের জীবন ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি যোগ করেন যে, যদি তিনি কিছু না করেন তবে তা নিষ্ঠুরতা হবে। পুরোহিত পরামর্শ দেন যে তারা ভবিষ্যদ্বাণীর দেবতা অ্যাপোলোর (Appollo) কাছে পরামর্শ চায়। ইডিপাস জানান যে তিনি ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছেন। তিনি তার শ্যালক ক্রেয়নকে (Creon) অ্যাপোলোর ওরাকলের কাছে পরামর্শ নিতে পাঠিয়েছেন। কিছুক্ষণ পরে ক্রেয়ন ফিরে এসে ওরাকলের বার্তা দেন। তিনি জানান যে প্লেগের কারণ হলো শহরের প্রাক্তন রাজা লাইয়াসের (Laius) হত্যা। হত্যাকারী শহরের মধ্যেই অবাধে বাস করছে এবং শাস্তি পায়নি। অ্যাপোলোর ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে, লাইয়াসের খুনির সন্ধান করে তাকে শাস্তি না দিলে শহর প্লেগ মুক্ত হবে না। এটা শুনে ইডিপাস প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি লাইয়াসের হত্যার রহস্য উদঘাটন করবেন এবং অপরাধীকে শাস্তি দেবেন। তিনি জনগণকে আশ্বাস দেন যে তিনি তাদের রক্ষা করতে এবং প্লেগের অবসান ঘটাতে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবেন।
Parodos:
গ্রিক ট্রাজেডিতে ‘প্যারোডোস’ হল সেই প্রথম গান যা কোরাস (The Chorus) মঞ্চে প্রবেশ করার সময় গায়। Oedipus Rex নাটকেও প্যারোডোস আছে। এখানে কোরাস থিবসের জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া প্লেগের কারণে তাদের ভয় ও দুঃখের কথা গায়। তারা আশঙ্কা করে যে, প্লেগটি ঘটছে কারণ লাইয়াসের হত্যার সঠিক বিচার হয়নি। তারা দেবতাদের—জিউস, অ্যাপোলো, অ্যাথেনা এবং আর্টেমিসের—কাছে প্রার্থনা করে যেন তারা থিবস শহরকে রক্ষা করেন এবং এই দুর্ভোগের অবসান ঘটান।
Episode 1:
ইডিপাস থিবসের জনগণের সাথে কথা বলেন এবং দাবী করেন যে যারা কিং লাইয়াসের হত্যার বিষয়ে কিছু জানে তারা যেন সামনে আসে। তিনি সবাইকে সতর্ক করেন যাতে কেউ হত্যাকারীকে রক্ষা বা লুকিয়ে না রাখে। যদি কেউ হত্যাকারীকে খুঁজে পেতে সাহায্য করে, তাকে পুরস্কৃত করা হবে। কিন্তু যদি কেউ হত্যাকারীকে আশ্রয় দেয় বা রক্ষা করে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। ইডিপাস দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে তিনি লাইয়াসের মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করবেন। তিনি যেকোন মূল্যে শহরকে প্লেগ থেকে রক্ষা করতে চান।
কোরাস পরামর্শ দেয় যে ইডিপাস যেন টেইরেসিয়াসের (Teiresias) সাহায্য নেন। তিনি একজন জ্ঞানী এবং অন্ধ ভবিষ্যদ্বক্তা। তিনি সত্য দেখার ক্ষমতার জন্য পরিচিত ছিলেন। তারা ইডিপাসকে বলে যে টেইরেসিয়াসের সাথে অ্যাপোলো দেবতার শক্তিশালী যোগসূত্র আছে, যিনি ভবিষ্যদ্বাণী এবং নিরাময়ের দেবতা। অ্যাপোলোর পরামর্শ ইতিমধ্যেই তাদের প্লেগের কারণ বুঝতে সাহায্য করেছে। কোরাস বিশ্বাস করে যে টেইরেসিয়াস লাইয়াসের হত্যার রহস্য সমাধানে সাহায্য করতে পারেন।
শীঘ্রই, টেইরেসিয়াসকে ইডিপাস-এর কাছে আনা হয়। এক তরুণ বালক টেইরেসিয়াসকে সাহায্য করে কারণ তিনি দেখতে পারেন না। ইডিপাস ভবিষ্যদ্বক্তাকে সম্মানজনকভাবে অভিবাদন জানান এবং তার সাহায্য চান। প্রথমে, টেইরেসিয়াস কথা বলতে অস্বীকার করেন। তিনি লাইয়াসের হত্যার সত্য জানেন। কিন্তু তিনি বলেন যে সত্য প্রকাশ করলে অনেক কষ্ট আসবে এবং জীবন ধ্বংস হবে। ইডিপাস রেগে যান এবং টেইরেসিয়াসকে জোর দিয়ে বলেন যেন তিনি সবকিছু জানান।
চাপের মুখে, টেইরেসিয়াস অবশেষে একটি চমকপ্রদ সত্য বলেন: ইডিপাস নিজেই প্লেগের কারণ। কারণ তিনিই কিং লাইয়াসকে হত্যা করেছেন। ইডিপাস এই অভিযোগে প্রচণ্ড রেগে যান। তিনি টেইরেসিয়াসকে মিথ্যা বলার এবং ক্রেয়নের সাথে মিলে সিংহাসন দখলের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ তোলেন।
টেইরেসিয়াস জোর দিয়ে বলেন যে তিনি শুধুমাত্র সত্য বলছেন। কিন্তু ইডিপাস তাকে বিশ্বাস করতে অস্বীকার করেন। তিনি টেইরেসিয়াসকে উপহাস করেন এবং চলে যেতে আদেশ দেন। চলে যাওয়ার আগে, টেইরেসিয়াস আরও একটি সতর্কবার্তা দেন। তিনি বলেন যে লাইয়াসের হত্যাকারী থিবসে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং এখন শহরেই বসবাস করছেন। এই মানুষটি তার দৃষ্টি হারাবে এবং নিজের মায়ের ছেলে এবং স্বামী বলে প্রমাণিত হবে। ইডিপাস টেইরেসিয়াসের কথাগুলো অস্বীকার করেন এবং এগুলোকে মিথ্যা বলে মনে করেন।
Episode 2:
ক্রেয়ন হতবাক এবং ব্যথিত হন যে ইডিপাস তাকে সিংহাসন দখলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। ক্রেয়ন নিশ্চিত করেন যে তিনি রাজা হতে চান না। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে রাজপরিবারের অংশ হিসেবে তিনি সব সুবিধা ভোগ করেন। এছাড়া, শহর শাসনের কঠিন দায়িত্ব তার উপর নেই। ক্রেয়ন শপথ করেন যে তিনি টেইরেসিয়াস কী বলছেন সে বিষয়ে কিছুই জানেন না। তিনি ইডিপাসকে পরামর্শ দেন যে তিনি চাইলে ডেলফির ওরাকলের (The Oracle of Delphi) সাথে বিষয়টি যাচাই করতে পারেন। তবে, ইডিপাস প্রচণ্ড রেগে যান এবং ক্রেয়নকে শাস্তি দিতে চান। তিনি চান হয় ক্রেয়নকে হত্যা করতে অথবা শহর থেকে নির্বাসিত করতে, কারণ তিনি বিশ্বাস করেন ক্রেয়ন রাষ্ট্রদ্রোহ করেছেন। ক্রেয়ন শান্ত থাকেন এবং বলেন যদি তিনি মিথ্যা বলেন তাহলে তিনি মৃত্যুদণ্ড মেনে নিবেন। কিন্তু তিনি দৃঢ়ভাবে তার শপথে অটল থাকেন যে তিনি টেইরেসিয়াসের সাথে কোনো ষড়যন্ত্র করেননি।
জোকাস্টা (Jocasta) প্রবেশ করেন এবং ইডিপাসকে অনুরোধ করেন যেন তিনি ক্রেয়নের শপথ বিশ্বাস করেন। তিনি উভয় পুরুষকেই তিরস্কার করেন যে যখন শহর প্লেগে কষ্ট পাচ্ছে তখন তারা ঝগড়া করে সময় নষ্ট করছেন। ইডিপাস অনিচ্ছাসত্ত্বেও জোকাস্টার কথা শোনেন এবং ক্রেয়নকে কোনো শাস্তি ছাড়াই ছেড়ে দেন। তারপর জোকাস্টা তার স্বামীকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি ইডিপাসকে বলেন যে ভবিষ্যদ্বাণী সবসময় সত্য হয় না। তিনি তার নিজের জীবনের একটি উদাহরণ দেন। তিনি প্রকাশ করেন যে তিনি এবং তার প্রথম স্বামী লাইয়াস একটি ভবিষ্যদ্বাণী পেয়েছিলেন। ভবিষ্যদ্বাণীটি ছিল তাদের সন্তান তার বাবাকে হত্যা করবে এবং তার মাকে বিয়ে করবে। এই ভবিষ্যদ্বাণী থামাতে, লাইয়াস শিশুর পা বেঁধে তাকে মরুভূমিতে ফেলে দিয়েছিলেন। এই কারণে, জোকাস্টা বিশ্বাস করেন যে ভবিষ্যদ্বাণীটি ভুল এবং তাদের সন্তান মারা গেছে। তিনি আরও যোগ করেন যে লাইয়াস তার ছেলের মাধ্যমে মারা যাননি। তিনি একদল ডাকাতের দ্বারা এক তিন-রাস্তার মোড়ে (crossroads) নিহত হয়েছিলেন।
এ কথা শুনে ইডিপাস খুব অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেন এবং চিন্তিত হন। crossroads এবং লাইয়াসের মৃত্যুর বর্ণনা তার কাছে পরিচিত মনে হয়। তিনি জোকাস্টাকে অনুরোধ করেন যেন লাইয়াসের হত্যার সময় জীবিত থাকা একজন সাক্ষীকে ডাকা হয়। তিনি একজন দাস ছিলেন এবং হত্যার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারপর ইডিপাস তার নিজের অতীত সম্পর্কে আরও তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন তিনি করিন্থ (Corinth) শহরের রাজা ও রাণীর পুত্র হিসেবে লালিত-পালিত হন। তিনি জোকাস্টাকে করিন্থে কাটানো তার শৈশব সম্পর্কে বলেন। তবে একদিন, এক মাতাল লোক তাকে বলেছিল যে তার এই বাবা-মা আসলে তার আসল বাবা-মা নন। এই কথা শুনে ইডিপাস বিভ্রান্ত ও ব্যথিত হন এবং গোপনে করিন্থ ছেড়ে চলে যান। তিনি সত্য জানার জন্য ডেলফির ওরাকলের কাছে যান। কিন্তু তার বাবা-মা সম্পর্কে কোনো উত্তর না দিয়ে ওরাকল একটি ভয়ংকর ভবিষ্যদ্বাণী দেন। ভবিষ্যদ্বাণীটি ছিল তিনি তার বাবাকে হত্যা করবেন এবং তার মাকে বিয়ে করবেন। ভয়ে, ইডিপাস করিন্থ ছেড়ে দেন এবং প্রতিজ্ঞা করেন আর কখনো সেখানে ফিরে যাবেন না। আসলে, তিনি চেয়েছিলেন ভবিষ্যদ্বাণীটি সত্যি না হোক।
ইডিপাস বলেন যে ভ্রমণের সময়, তিনি এক crossroads-এ কিছু লোকের সাথে মুখোমুখি হন। একজন ব্যক্তি ছিলেন গাড়িতে এবং তার গাইড ইডিপাসকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। ইডিপাস রেগে যান যখন গাড়ির বৃদ্ধ লোকটি তাকে আঘাত করেন। ফলস্বরূপ, তিনি পাল্টা আঘাত করেন এবং ঐ লোকসহ তার দলের প্রায় সবাইকে হত্যা করেন। ইডিপাস এখন বুঝতে শুরু করেন এই ঘটনাটি হয়তো লাইয়াসের মৃত্যুর সাথে সংযুক্ত। তিনি জোকাস্টার কাছে আরও বিশদ জানতে চান। তিনি জানান যে হত্যার সাক্ষী দাস এখন একজন রাখাল হিসেবে জীবন যাপন করছেন। জোকাস্টা সে দাসকে ডাকার নির্দেশ দেন কিন্তু ইডিপাসকে আশ্বস্ত করেন যে সবকিছু ঠিক থাকবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন ভবিষ্যদ্বাণীটি সত্য হতে পারে না। কারণ দাস বলেছিল লাইয়াস ডাকাত দলের হাতে নিহত হয়েছিলেন, কোনো এক ব্যক্তির হাতে নয়। এছাড়াও, তিনি এবং লাইয়াস নিশ্চিত করেছিলেন যে তাদের সন্তান অনেক আগেই মরুভূমিতে ফেলে দেয়াতে মারা গেছে।
Episode 3:
জোকাস্টা অ্যাপোলোর বেদীতে যান এবং একটি প্রার্থনা করেন। তিনি চান ইডিপাস শান্ত হোক এবং তার ভবিষ্যদ্বাণী ও অতীত নিয়ে চিন্তা করা বন্ধ করুক। তিনি চান ইডিপাস তার মনকে যেসব চিন্তা বিচলিত করছে সেগুলো ভুলে যাক। যখন তিনি সেখানে ছিলেন তখন করিন্থ থেকে একজন মেসেঞ্জার খবর নিয়ে আসে। সে জোকাস্টাকে জানায় যে পলিবাস (Polybus) স্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন। জোকাস্টা স্বস্তি পান কারণ এটি প্রমাণ করে যে ইডিপাস তার বাবাকে হত্যা করার বিষয়ে যে ভবিষ্যদ্বাণী ছিল তা মিথ্যা। তিনি বিশ্বাস করেন যে পলিবাস যদি স্বাভাবিকভাবে মারা যান তাহলে ইডিপাস তার মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়।
ইডিপাস যখন এই খবর শোনেন তখন তিনি কিছুটা আশ্বস্ত বোধ করেন। তারপর তিনি ওরাকলগুলোর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করে্ন (আসলেই তারা সত্য বলতে পারে কি না এ বিষয়ে)। তবে তিনি এখনও ভবিষ্যদ্বাণীর দ্বিতীয় অংশ নিয়ে চিন্তিত। ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে যে তিনি তার মা মেরোপকে (Merope) বিয়ে করবেন এবং তার সাথে সন্তান জন্ম দিবেন। ইডিপাস চিন্তিত হন কারণ মেরোপ এখনো জীবিত। তিনি এখনও ভয় পান যে ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়ে যেতে পারে। জোকাস্টা তাকে বলে চিন্তা না করতে এবং তার ভয় ছেড়ে দিতে।
এরপর মেসেঞ্জার এমন একটি সংবাদ দেয় যা তার কাছে মনে হয় আরও ভালো। সে ইডিপাসকে বলে যে তার করিন্থে ফিরে যাওয়ার জন্য ভয়ের কিছু নেই। কারণ পলিবাস এবং মেরোপ তার প্রকৃত বাবা-মা নন। মেসেঞ্জার ব্যাখ্যা করে যে অনেক বছর আগে একজন রাখাল তাকে একটি ছেলে শিশু দিয়েছিল। শিশুটির পা বাঁধা ছিল এবং সে শিশুটিকে পলিবাস ও মেরোপর কাছে নিয়ে গিয়েছিল। কারণ তারা সন্তান নিতে পারছিল না, তাই তারা শিশুটিকে নিজেদের ছেলে হিসেবে লালন-পালন করেছিল। মেসেঞ্জার জানায় যে সে শিশুটির পায়ের পিন খুলে দিয়েছিল। তারপর সে শিশুটিকে পলিবাস ও মেরোপের কাছে দিয়েছিল, কিন্তু সে নিজে শিশুটিকে খুঁজে পায়নি।
ইডিপাস হতবাক হয়ে মেসেঞ্জারকে জিজ্ঞাসা করে যে কে তাকে শিশুটিকে দিয়েছিল। মেসেঞ্জার বলে যে আরেকজন রাখাল, যে ছিল রাজা লাইয়াসের একজন সেবক। এটি শুনে কোরাস নেতা বলেন যে যাকে তারা খুঁজছে সে রাখাল আর এ একই ব্যক্তি। সে (রাখাল) সেই দিন সবকিছু দেখেছিল যেই দিন লাইয়াস মারা গিয়েছিলেন। তারা ইতিমধ্যে তাকে ডেকে পাঠিয়েছে ব্যাখ্যা করার জন্য।
এই মুহূর্তে, জোকাস্টা ইডিপাসের পরিচয় সম্পর্কে ভয়ংকর সত্য উপলব্ধি করতে শুরু করেন। তিনি মরিয়া হয়ে ইডিপাসকে আরও প্রশ্ন করা থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করে্ন। তিনি তার সাথে তর্ক করে বিষয়টি ছেড়ে দিতে বলেন। তিনি ইডিপাসকে বলেন যে গভীরে গিয়ে না খোঁজা ভালো হবে। কিন্তু ইডিপাস তার আকুলতার ভুল ব্যাখ্যা করেন। তিনি ধরে নেন জোকাস্টা ভয় পাচ্ছে যে ইডিপাস কোনো নিচু পরিবারের সন্তান হতে পারে। তিনি তার সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেন এবং তার জন্মের সত্য জানতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন। জোকাস্টা তাকে শেষবারের মতো অনুরোধ করেন এবং বলেন তিনি তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ইডিপাস কথা না শুনলে, জোকাস্টা হতাশায় প্রাসাদে দৌড়ে চলে যান। যাওয়ার আগে তিনি ঘোষণা করেন যে তিনি আর কখনো কথা বলবেন না। এখন তিনি সত্য জানেন, কিন্তু তা প্রকাশ করতে পারছেন না।
Episode 4:
ইডিপাসের কাছে প্রশ্ন করার জন্য রাখালকে আনা হয় (যে আগে রাজা লাইয়াসের জন্য কাজ করতো)। এই রাখালই সেই ব্যক্তি যে মাউন্ট সিথেরন (Mount Cithaeron) এলাকায় ভেড়া চরাতো। এটাই সেই জায়গা যেখানে শিশু অবস্থায় ইডিপাসকে পাওয়া গিয়েছিল। শুরুতে রাখাল দাবি করে যে সে ইডিপাসকে মনে করতে পারছে না, এমনকি মেসেঞ্জার তাকে সেই শিশুর কথা মনে করিয়ে দিলেও (মনে করতে পারছে না) যাকে তারা দুজনেই চিনত। রাখাল প্রতিরক্ষামূলক হয়ে ওঠে এবং এ বিষয়ে কথা বলা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। সে মেসেঞ্জারকে “busybody/ঝামেলা পাকানো ব্যক্তি” বলে অভিহিত করে।
ইডিপাস হতাশ হয়ে পড়েন। তিনি রাখালকে সতর্ক করেন যে তাকে সত্য বলতে হবে। তাকে কথা বলাতে বাধ্য করতে, ইডিপাস আদেশ দেন রাখালের হাত বাঁধতে এবং হুমকি দে্ন যদি সে উত্তর না দেয় তাহলে আঘাত করবেন। অবশেষে রাখাল স্বীকার করে যে সে বহু বছর আগে শিশুটিকে মেসেঞ্জারের হাতে দিয়েছিল। কিন্তু সে বলতে চায় না শিশুটি কোথা থেকে এসেছে। রাখাল স্পষ্টতই ভীত এবং ইডিপাসকে অনুরোধ করে যেন প্রশ্ন করা বন্ধ করে।
ইডিপাস পিছু হটতে অস্বীকার করেন এবং সত্য জানার জন্য জোর দে্ন। তিনি এমনকি রাখালকে হত্যার হুমকি দেন যদি সে নীরব থাকে। চাপে পড়ে রাখাল ভয়ংকর সত্য প্রকাশ করে যে শিশুটি ছিল লাইয়াস এবং জোকাস্টার রাজপ্রাসাদে জন্ম নেওয়া। সে স্বীকার করে যে শিশুটি তাদের সন্তান ছিল। তাকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল শিশুটিকে একটি পাথরের উপর ফেলে রেখে মারা যেতে দিতে। জোকাস্টা এই আদেশ দিয়েছিলেন কারণ তিনি একটি ভয়ংকর ভবিষ্যদ্বাণী এড়াতে চেয়েছিলেন। ভবিষ্যদ্বাণী ছিল তার পুত্র তার পিতাকে হত্যা করবে এবং তাকে বিয়ে করবে।
রাখাল আরও ব্যাখ্যা করে যে সে সাহস করে শিশুটিকে হত্যা করতে পারেনি। এর পরিবর্তে, সে শিশুটির প্রতি করুণা দেখিয়ে তাকে মেসেঞ্জারের হাতে তুলে দেয়। মেসেঞ্জার শিশুটিকে করিন্থে নিয়ে যায়। ইডিপাস আতঙ্কিত হয়ে সত্য শুনতে থাকেন। তিনি এখন উপলব্ধি করেন যে তিনি-ই সে শিশু যার মারা যাওয়ার কথা ছিল। ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হয়েছে: তিনি তার পিতা লাইয়াসকে হত্যা করেছেন এবং তার মা জোকাস্টাকে বিয়ে করেছেন।
আরো পড়ুনঃ As You Like It Bangla Summary (বাংলায়)
এই মুহূর্তে, রাখাল এবং ইডিপাস উভয়েই ভয়ঙ্কর বাস্তবতা পুরোপুরি উপলব্ধি করে। তাদের সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও, ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়েছে।
Episode 5:
দ্বিতীয় মেসেঞ্জার প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে আসে এবং ভয়ঙ্কর সংবাদ দেয়। সে ব্যাখ্যা করে যে জোকাস্টা শোক এবং হতাশায় ছিলেন। তিনি তার প্রথম স্বামী লাইয়াসকে স্মরণ করে চিৎকার করেছিলেন এবং তারপর নিজেকে ফাঁসি দিয়েছেন। ইডিপাস পাগলের মতো জোকাস্টাকে খুঁজছিলেন, তলোয়ার চাচ্ছিলেন, এবং শেষ পর্যন্ত তাকে খুঁজে পান। যখন তিনি তার ঘরের দরজা ভেঙে ফেলেন, তখন তিনি জোকাস্টার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান্।
দোষী অনুভব করে, ইডিপাস জোকাস্টার পোশাকের ব্রোচ খুলে নেন এবং সেগুলো দিয়ে নিজের চোখ উপড়ে ফেলেন। মেসেঞ্জার ব্যাখ্যা করে যে ইডিপাস একবার আঘাত করে থামেননি। তিনি বারবার তার চোখে আঘাত করেছিলেন যেন তিনি সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যান। ইডিপাস বলেছিলেন যে তিনি আর তার জীবনের ভয়ঙ্কর দৃশ্য সহ্য করতে পারবেন না। এখন, ইডিপাস প্রাসাদের দরজা খুলে দিতে আদেশ দেন। তিনি জনগণের সামনে ঘোষণা করতে চান যে তিনিই লাইয়াসকে হত্যা করেছেন এবং নিজের মাকে বিয়ে করেছেন।
কোরাস বিস্ময় এবং করুণায় প্রতিক্রিয়া জানায়। কিছু সদস্য বলে যে অন্ধ হয়ে বেঁচে থাকার পরিবর্তে ইডিপাসের উচিত ছিল জীবন শেষ করে দেয়া। কিন্তু কোরাস নেতা তার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। ইডিপাস কোরাস নেতার কণ্ঠস্বর চিনতে পারেন এবং কথা বলা শুরু করেন। তিনি অ্যাপোলোকে তার ভাগ্যের জন্য দোষ দেন। তিনি বলেন দেবতাই এই ঘটনাগুলোর কারণ। তবে তিনি নিজের অন্ধত্বের জন্য সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেন। ইডিপাস বোঝেন না কেন দেবতারা তাকে এত ভয়ঙ্কর পরিণতি ভোগ করতে দিল।
আরো পড়ুনঃ Arms and the Man Bangla Summary (বাংলায়)
শীঘ্রই, ক্রেয়ন ইডিপাসকে সাহায্য করতে আসেন। ক্রেয়ন সদয় আচরণ করেন যদিও ইডিপাস আগে তাকে বিশ্বাসঘাতকতার মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছিল। ক্রেয়ন জানেন যে ইডিপাস সবসময় তার মেয়েদের (Antigone, Ismene) ভালবাসতেন এবং তাদের সঙ্গেই সান্ত্বনা পেতেন। তাই ক্রেয়ন তাদের ইডিপাসের কাছে নিয়ে আসেন। ইডিপাস গভীর দুঃখে তাদের তার মেয়ে এবং বোন বলে ডাকেন। তিনি বলেন, তিনি একইসঙ্গে তাদের বাবা এবং ভাই। তিনি ক্রেয়নকে তাদের যত্ন নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কারণ কেউ চিরকাল তার পাপের কলঙ্ক বহন করবে না। তিনি উল্লেখ করেন যে তার দুই পুত্র, Eteocles এবং Polyneices, নিজের মতো করে বেঁচে থাকতে পারবে।
ইডিপাস তারপর ক্রেয়নের কাছে অনুরোধ করেন তাকে থিবস থেকে দূরে পাঠিয়ে দিতে যেখানে কেউ আর তাকে দেখতে পাবে না। ক্রেয়ন তার প্রতি দয়া অনুভব করেন এবং তাকে প্রাসাদে থাকার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ইডিপাস জোর দিয়ে বলেন যে তাকে নির্বাসনে যেতে হবে এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে বাঁচতে হবে। শেষ পর্যন্ত, ক্রেয়ন তাকে চলে যেতে দেন। তবে তিনি ইডিপাসকে জানিয়ে দেন যে তিনি তার মেয়েদের সঙ্গে নিতে পারবেন না। এখন থেকে, ইডিপাসের আর তার সন্তানদের উপর কোনো ক্ষমতা থাকবে না।
এক্সোডোস (শেষ দৃশ্য):
কোরাস ইডিপাসের করুণ কাহিনী নিয়ে গান গায়। তারা ভাবে কিভাবে একজন মহান রাজা দুর্দশায় পতিত হলো। তারা থিবসবাসীদের বলে যে জীবন দুঃখে ভরা। সত্যিকারের সুখ কেবল মৃত্যুর মাধ্যমেই আসে। এই গল্প সবাইকে সতর্ক করে দেয় যে কেউই ব্যথা থেকে রেহাই পায় না, এমনকি সবচেয়ে শক্তিশালীরাও না। মানুষের জীবন ব্যথা ও কষ্টে পরিপূর্ণ।
Figures of Speech
1. Dramatic Irony: Dramatic Irony means the audience will understand the event’s truth, but the characters will not understand that at the time.
- Oedipus searches for Laius’ killer – But the audience knows he is the murderer.
- He curses the killer – Unknowingly cursing himself.
- He fears marrying his mother – While already married to her.
- Jocasta dismisses prophecies – Not realizing they have come true.
- The blind prophet “sees” the truth – While sighted Oedipus is blind to it.
2. Symbol: A symbol is something that represents a symbolic meaning. In Oedipus Rex, Oedipus’ swollen feet symbolize his fate. His name, “Oedipus,” means “swollen foot” because his feet were tied when he was a baby. This shows that he was trapped by fate from birth. Another symbol is the crossroads, where Oedipus unknowingly kills his father. The crossroads represent choices in life, but also show that no one can escape destiny.
১. Dramatic Irony: Dramatic Irony হলো (যখন নাটকের মধ্যে) দর্শকরা ঘটনার সত্যতা বুঝতে পারে, কিন্তু চরিত্রগুলি (অর্থাৎ যারা অভিনয় করছে তারা) ঘটনার সত্যতা বুঝতে পারে না। উদাহরণ:
- ইডিপাস লাইয়াসের খুনিকে খোঁজে – কিন্তু দর্শকরা জানে সে নিজেই খুনি।
- সে খুনিকে অভিশাপ দেয় – কিন্তু অজান্তে নিজেকেই অভিশাপ দিচ্ছে।
- সে মায়ের সাথে বিয়ে করার ভয় পায় – অথচ ইতিমধ্যেই মায়ের সাথে বিয়ে হয়েছে!
- জোকাস্টা ভবিষ্যদ্বাণী উপেক্ষা করে – আসলে বুঝতে পারে না সেগুলো সত্য হয়ে গেছে।
- অন্ধ ভবিষ্যদ্বক্তা সত্য “দেখতে পান” – কিন্তু চোখওয়ালা ইডিপাস সত্য দেখতে অক্ষম।
২. প্রতীক (Symbol): প্রতীক এমন কিছু যা বড় কোনো ধারণা বোঝায়। ইডিপাসের ফুলে থাকা পা তার ভাগ্যের প্রতীক। “ইডিপাস” নামের অর্থ “ফোলা পা,” কারণ শিশুকালে তার পা বাঁধা ছিল। এটি দেখায় যে জন্ম থেকেই সে তার ভাগ্যে বাঁধা ছিল। তিন রাস্তার মোড় (crossroads) আরেকটি প্রতীক। ইডিপাস এই মোড়ে নিজের বাবাকে হত্যা করেছিল, কিন্তু সে তা জানত না। এটি জীবনের সিদ্ধান্তকে বোঝায়, কিন্তু এটি দেখায় যে কেউই ভাগ্য থেকে পালাতে পারে না।
Classical Tragedy and Tragic Hero
Oedipus Rex is a classical tragedy because it exhibits several key features: tragic hero, hamartia (tragic flaw), hubris (excessive pride), nemesis (retribution), peripeteia (reversal of fate), anagnorisis (recognition), and catharsis (pity and fear). Oedipus is a tragic hero because he is noble by birth. He has a tragic flaw (pride and anger), and his hubris leads him to defy the prophecy. His nemesis comes as a result of his actions, causing his inevitable downfall. He suffers a reversal of fortune (peripeteia). He realizes his mistake (anagnorisis). He faces his downfall due to fate and his flaws. He brings pity and fear (catharsis) to the audience. His story perfectly matches Aristotle’s definition of tragedy.
Oedipus Rex একটি ক্ল্যাসিক্যাল ট্র্যাজেডি কারণ এটি কিছু মূল বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে: ট্র্যাজিক হিরো, হ্যামারশিয়া (ভাগ্যনির্দিষ্ট ত্রুটি), হাব্রিস (অতিরিক্ত অহংকার), নেমেসিস (প্রতিশোধ), পেরিপেটিয়া (ভাগ্যের বিপর্যয়), এবং অ্যানাগনোরিসিস (সত্যের উপলব্ধি), ক্যাথারসিস (করুনা ও ভয়)। Oedipus একজন ট্র্যাজিক হিরো কারণ তিনি জন্মগতভাবে অভিজাত (থিবসের রাজা)। তার ট্র্যাজিক ফ্ল (অহংকার ও রাগ) রয়েছে, এবং তার হাব্রিস (অতিরিক্ত অহংকার) তাকে ভবিষ্যদ্বাণীকে অগ্রাহ্য করতে প্ররোচিত করে। তার নেমেসিস আসে তার কর্মের ফলস্বরূপ, যা তার অপ্রতিরোধ্য পতন ঘটায়। তিনি ভাগ্যের বিপর্যয়ে পতিত হন (পেরিপেটিয়া)। তিনি তার ভুল উপলব্ধি করেন (অ্যানাগনোরিসিস)। ভাগ্য এবং তার নিজস্ব ত্রুটির কারণে তার পতন ঘটে। তিনি দর্শকদের মধ্যে করুণা ও ভয়ের সৃষ্টি করেন (ক্যাথারসিস)। তার গল্পটি অ্যারিস্টটলের ট্র্যাজেডির সংজ্ঞার সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
The Role of Chorus
The Chorus in Oedipus Rex mainly does these things in Stasimon:
- Comments on the action (after important scenes, through Stasimons).
- Reflects the feelings of the citizens of Thebes.
- Warns about the dangers of pride (hubris) and ignoring the gods.
- Prays to the gods for help and justice.
- Teaches moral lessons by connecting the events to bigger ideas like fate, justice, and human weakness.
Stasimon: The Chorus sang in the Episodes which are called Stasimon. These are:
- First Stasimon — After Teiresias and Oedipus argue, the chorus prays to the gods for help and warns against pride.
- Second Stasimon — After Creon is accused, the chorus warns that pride (hubris) leads to downfall.
- Third Stasimon — After Jocasta tells about Laius’s murder, the chorus wonders about Oedipus’s true birth and fears fate.
- Fourth Stasimon — After the truth is revealed, the chorus mourns Oedipus’s tragic fall and the pain of human life.
Selected Quotations
1. “Upon the murderer I invoke this curse—whether he is one man or many, may he drag out his life in misery.” (“যেই ব্যক্তি খুন করেছে, সে একজন হোক বা একাধিক—আমি তাকে অভিশাপ দিচ্ছি, সে যেন দুঃখ-কষ্টে তার জীবন কাটায়।”)
Explanation: Oedipus says that the killer of King Laius should live a sad and painful life. But he does not know that he is the killer. So, he is cursing himself without knowing it. This is an example of dramatic irony—the people watching the play know the truth, but Oedipus does not.
2. “I will bring it all to light,” (“আমি সব কিছু প্রকাশ করব।”)
Explanation: Oedipus promises to find the truth about who killed King Laius. He wants to uncover everything, no matter how dark the secret is. This shows his strong desire for justice and truth, but it also leads to his downfall.
3. “You have your eyesight, and you do not see how miserable you are.” (“তোমার চোখ আছে, কিন্তু তুমি বুঝতে পারো না তুমি কত কষ্টে আছো।”)
Explanation: The blind prophet Teiresias says this to Oedipus. This means that Oedipus can physically see, but he is blind to the truth about himself. He doesn’t realize the pain and sin in his life.
4. “I was doomed to be married to my mother and to shed my father’s blood with my own hands.” (“নিজের মাকে বিয়ে করাটা এবং নিজের হাতে বাবার রক্ত ঝরানো আমার ভাগ্যে লেখা ছিল।”)
Explanation: Oedipus says this after learning the terrible truth. He realizes he killed his father and married his mother. He says it was his cruel fate from the beginning—something he could never escape.
5. “You have no power or truth. You are blind, your ears and mind as well as eyes.” (“তোমার নেই কোনো শক্তি বা সত্য। তুমি অন্ধ—তোমার চোখ, কান আর মন—সবই অন্ধ।”)
Explanation: Oedipus gets angry and says Teiresias is useless because he is blind and doesn’t know the truth. But the truth is, Teiresias really knows everything, and Oedipus doesn’t, even though he can see. This is irony—the blind man knows the truth, and the man with eyes is blind to it.
6. “What walks on four legs in the morning, two legs at noon, and three legs in the evening?” (“সকালে চার পায়ে, দুপুরে দুই পায়ে আর সন্ধ্যায় তিন পায়ে হেঁটে বেড়ায়—এটা কী?”)
Explanation: This is the riddle of the Sphinx, which Oedipus solved. The answer is “a human”—as a baby (four legs), an adult (two), and an old person with a cane (three). It shows Oedipus’ intelligence, but also hints at the stages of his own tragic life.
7. “O light, let me look at you one final time, a man who stands revealed as cursed by birth.” (“ও আলো, শেষবারের মতো তোমাকে দেখতে দাও, আমি সেই ব্যক্তি—যার জন্ম থেকেই অভিশাপ লেগে আছে।”)
Explanation: Just before he blinds himself, Oedipus says goodbye to the light. Now he knows the terrible truth—that he was cursed from birth. He feels deep shame and pain, so he doesn’t want to see anything anymore. His life is full of sorrow.
8. “Why should I have eyes when there was nothing sweet for me to see?” (“চোখ রেখে কী লাভ, যখন দেখার মতো সুখের কিছুই ছিল না আমার জীবনে?”)
Explanation: Oedipus explains why he blinded himself. He says there is nothing good left in his life to look at—not his parents, his wife, or his children. So, there is no reason for him to see anymore.
9. “You yourself are the pollution of this land.” (“তুমি নিজেই এই দেশে বিপদ ও কলঙ্কের কারণ।”)
Explanation: Teiresias tells Oedipus that he is the reason for the plague in Thebes. Oedipus had promised to find the killer and save the city, but he is the one causing the city’s pain. This is a surprising and sad truth.
10. “No human being has skill in prophecy.” (“কোনো মানুষই ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতা রাখে না।”)
Explanation: Jocasta says this because she believes the old prophecy about her son killing Laius is false. She tries to comfort Oedipus by saying that prophecies cannot be trusted. But she’s wrong—the prophecy is true.
11. “Oh god—all come true, all burst to light!” (“হে ঈশ্বর—সব কিছু সত্যি হয়ে উঠল, সব কিছু স্পষ্ট হয়ে উঠল!”)
Explanation: Oedipus cries out when he finally realizes the truth—that he killed his father and married his mother. All the old prophecies have come true. The truth, which was hidden before, is now completely clear and impossible to ignore.
12. “I have sent… Creon… to inquire Of Pythian Phoebus at his Delphic shrine, / How I might save the State by act or word.” (“আমি ক্রেওনকে পাঠিয়েছি… পিথিয়ান ফোবাসের ডেলফিক মন্দিরে, / কীভাবে আমি কাজ বা কথা দিয়ে রাষ্ট্রকে বাঁচাতে পারব, তা জানার জন্য।”)
Explanation: At the beginning of the play, Oedipus says he sent Creon to ask the Oracle how to stop the plague in Thebes. This shows he wants to be a good king and save his people, but he doesn’t know that he himself is the cause of the plague.
13. “You are the curse, the corruption of the land!” (“তুমি হলে এই দেশের অভিশাপ, পাপের উৎস!”)
Explanation: Teiresias tells Oedipus that he is the reason Thebes is suffering. Though Oedipus wants to find and punish the killer of Laius, he is actually the guilty one. This line reveals the terrible truth Oedipus is trying to avoid.
14. “Blind who now has eyes, beggar who now is rich.” (” যার চোখ ছিল, এখন অন্ধ, ভিখারি, যে এখন ধনী।”)
Explanation: Teiresias predicts Oedipus’ future downfall. Oedipus, who can now see and is a powerful king, will become blind and poor. This is a prophecy about the tragic changes that are coming because of his hidden sins.
15. “I struck him in my rage…I killed him. I killed them all.” (“আমি রেগে গিয়ে তাকে আঘাত করেছিলাম…আমি তাকে মেরেছিলাম। আমি তাদের সবাইকে মেরেছি।”)
Explanation: Oedipus remembers how he killed a man during an argument on the road. He now realizes that man was Laius, his real father. This moment is when Oedipus begins to accept the truth of the prophecy.
16. “Here I am myself…/ the world knows my fame: / I am Oedipus.” (“এখানে আমি নিজেই…/ পৃথিবী আমার খ্যাতি জানে: / আমি ইডিপাস।”)
Explanation: Oedipus proudly introduces himself as a famous hero and king. At this point, he feels strong and admired. But the line is ironic—soon, his fame will turn into shame as the truth about his past is revealed.
Moral lesson
No one can escape fate, no matter how wise or powerful they are. Pride and the uncompromising search for truth may bring destruction. True strength lies in accepting responsibility.
Thanks brother for this effort
thanks brother It’s really helpful
This is the updated summary of the play ‘Oedipus Rex.’ To read the English summary of ‘Oedipus Rex’, please visit our other website, literaturexpres.com