Phaedra
সংক্ষিপ্ত জীবনী: সেনেকা (Seneca)
সেনেকা (Seneca), যিনি Lucius Annaeus Seneca বা Seneca the Younger নামেও পরিচিত, ছিলেন প্রাচীন রোমের বিখ্যাত দার্শনিক, নৈতিক শিক্ষক, এবং ট্র্যাজেডি নাট্যকার। তার জন্ম খ্রিস্টপূর্ব ৪ খ্রিস্টাব্দে স্পেনের কর্ডুবা (বর্তমান Córdoba)-তে, এবং মৃত্যু ঘটে খ্রিস্টাব্দ ৬৫ সালে রোমে। তিনি ছিলেন Stoic দর্শনের অন্যতম প্রধান প্রতিনিধি। সেনেকা ছিলেন সম্রাট Nero-র শিক্ষক ও উপদেষ্টা। কিন্তু রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণে তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়। Stoic দর্শনের নীতির মতো তিনি শান্তভাবে মৃত্যুবরণ করেন। তার দার্শনিক রচনাগুলো মূলত নৈতিক শিক্ষা, জীবনের অনিত্যতা, আত্মসংযম, এবং মানুষের মানসিক শক্তির উপর জোর দেয়। সেনেকার ট্র্যাজেডি নাটকগুলো গ্রীক ট্র্যাজেডির অনুকরণে লেখা হলেও, এগুলোতে রোমান বাস্তবতা, নৈতিক দ্বন্দ্ব, প্রতিশোধ, এবং ভয়ের পরিবেশ প্রাধান্য পেয়েছে। তার নাটকে ভাগ্যের নিয়ন্ত্রণ, মানুষের দুর্বলতা, এবং মৃত্যুর ভয় বিশেষভাবে ফুটে ওঠে। এজন্যই তাকে রোমান ট্র্যাজেডির জনক বলা হয়। তার নাটকগুলো ইউরোপীয় রেনেসাঁস নাটকের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে Shakespeare, Marlowe, এবং অন্যান্য এলিজাবেথীয় নাট্যকাররা সেনেকার নাটক থেকে প্রেরণা নিয়েছিলেন। সেনেকার বিখ্যাত ট্র্যাজেডিগুলো হলো:
- Phaedra – নিষিদ্ধ প্রেম ও ট্র্যাজেডি।
- Medea – প্রতিশোধপরায়ণা নারীর কাহিনি।
- Thyestes – প্রতিশোধ, হত্যাকাণ্ড ও ভাগ্যের ভয়ঙ্কর নাটক।
- Hercules Furens – হারকিউলিসের উন্মত্ততা ও হত্যাকাণ্ড।
- Agamemnon – ট্রয় যুদ্ধ-পরবর্তী রক্তাক্ত কাহিনি।
সেনেকা পাশ্চাত্য ট্র্যাজেডির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ নাম। তাকে Father of Revenge Tragedy হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি Stoic দার্শনিক হিসেবে মানুষকে নৈতিক শিক্ষা দিয়েছেন এবং নাট্যকার হিসেবে ইউরোপীয় ট্র্যাজেডির ভিত্তি স্থাপন করেছেন। এজন্যই তাকে বলা হয় রোমান ট্র্যাজেডির “প্রথম মহান শিক্ষক।”
আরো পড়ুনঃ Medea – বাংলা সামারি
Key Facts
- Full Title: Phaedra
- Author: Lucius Annaeus Seneca (c. 4 BCE – 65 CE)
- Title of the Author: Stoic Philosopher, Roman Statesman, and Tragic Playwright; regarded as the “Father of Roman Tragedy” and a major influence on Renaissance drama.
- Source: Based on Greek mythology, especially the story of Hippolytus and Phaedra. Earlier versions were dramatized by Euripides (Hippolytus) and later reimagined by Seneca in a Roman Stoic framework.
- Written Time: Before 50 CE.
- First Published: 54 CE/ 1st century.
- Genre: Roman Tragedy / Mythological Drama / Revenge Play / Psychological Tragedy.
- Form: Verse drama written in Latin; primarily uses iambic senarii (for dialogue) and lyric meters (for choral passages).
- Structure: Five-act structure typical of Senecan tragedy. The play revolves around Phaedra’s forbidden passion for her stepson Hippolytus, her false accusation, and the tragic destruction of Theseus’ family.
- Tone: Dark, psychological, moralistic, violent, and filled with themes of passion, guilt, and doom.
- Point of View: Told through dramatic dialogue, monologues, and choral odes. Perspectives alternate among Phaedra, Hippolytus, Theseus, the Nurse, and the Chorus.
- Significance: One of Seneca’s most famous tragedies. It explores destructive passion, the conflict between reason and desire, the dangers of suppressed emotions, and Stoic ideas of self-control. Hugely influential on Renaissance dramatists like Racine (Phèdre), Shakespeare, and other Elizabethan playwrights.
- Language: Latin.
- Famous Line: “The one who yields to love’s madness, even against his will, must bear the guilt.”
- Setting:
- Time Setting: 9th or 8th century BCE. The mythological age of Athens, in the heroic period of Theseus.
- Place Setting: The royal palace of Theseus in Troezen (a city in the Peloponnese).
Key Notes
Forbidden Love/Taboo (নিষিদ্ধ প্রেম): Phaedra নাটকের কেন্দ্রে রয়েছে এক নিষিদ্ধ ও ধ্বংসাত্মক প্রেমের কাহিনি। Phaedra নিজের সৎপুত্র Hippolytus-এর প্রতি আকৃষ্ট হন। এই প্রেম ছিল সামাজিক নিয়ম, নৈতিকতা ও পারিবারিক বন্ধনের বিরুদ্ধে। Seneca দেখান, অযৌক্তিক কামনা (irrational passion) কিভাবে একজন মহিলাকে নিজের পরিবার ও সমাজের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে পারে। Phaedra তার প্রেমের কথা লুকাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু অবশেষে তা প্রকাশিত হয়। এতে বোঝানো হয়, মানুষের অন্তরের দুর্বলতা ও দমিত আবেগ কখনও চাপা থাকে না; তা একসময় বিস্ফোরিত হয় এবং সর্বনাশ ডেকে আনে। এই নিষিদ্ধ প্রেমই নাটকের ট্র্যাজেডির মূল ভিত্তি।
Background: Phaedra
Seneca রচিত Phaedra রোমান ট্র্যাজেডির অন্যতম বিখ্যাত ও প্রভাবশালী নাটক। এটি রচিত হয় খ্রিস্টীয় প্রথম শতকে, যখন রোম সাম্রাজ্যে Stoic দর্শন, নৈতিক শিক্ষা এবং রাজনীতির জটিলতা সমাজকে প্রভাবিত করছিল। সেই সময়ে রোমান ট্র্যাজেডি কেবল বিনোদন নয়, বরং দার্শনিক ও নৈতিক চিন্তার প্রতিফলন ছিল। Phaedra জনসমক্ষে মঞ্চস্থ হয়নি; বরং এটি শিক্ষিত সমাজে পাঠ ও আবৃত্তির জন্য রচিত হয়েছিল। তবুও, নাটকটি পরবর্তীকালে ইউরোপীয় সাহিত্যে গভীর প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে Renaissance যুগে।
Phaedra-এর কাহিনি নেওয়া হয়েছে গ্রিক পুরাণ থেকে, বিশেষ করে Euripides-এর Hippolytus-এর গল্পকে ভিত্তি করে। নাটকের মূল চরিত্র Phaedra হলেন Theseus-এর স্ত্রী এবং Hippolytus-এর সৎমা। তিনি নিষিদ্ধ প্রেমে আক্রান্ত হয়ে নিজের সৎপুত্রের প্রতি আসক্ত হন। এই প্রেম প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যাত হলে তিনি মিথ্যা অভিযোগ আনেন, যার ফলে Theseus-এর অভিশাপে Hippolytus মৃত্যুবরণ করে। শেষে সত্য উন্মোচিত হলে Phaedra অনুশোচনায় আত্মহত্যা করেন।
এই নাটক কেবল এক নারীর নিষিদ্ধ প্রেমের কাহিনি নয়, বরং আবেগ বনাম যুক্তি, কামনা বনাম নৈতিকতা, এবং ব্যক্তিগত দুর্বলতা বনাম Stoic আত্মসংযমের দ্বন্দ্বকে তুলে ধরে। Seneca দেখাতে চেয়েছেন, মানুষের অযৌক্তিক কামনা কিভাবে পরিবার ধ্বংস করে দিতে পারে। এজন্য Phaedra রোমান ট্র্যাজেডির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল এবং পাশ্চাত্য নাটকের উপর গভীর প্রভাব বিস্তারকারী রচনা।
Characters: Phaedra by Seneca
প্রধান চরিত্র (Major Characters)
- Phaedra (ফেড্রা – নিষিদ্ধ প্রেমে আক্রান্ত নারী): Theseus-এর স্ত্রী ও Hippolytus-এর সৎমা। তিনি এক নিষিদ্ধ ও অশুভ প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তিনি Hippolytus-এর প্রতি প্রেম প্রকাশ করেন। প্রত্যাখ্যাত হলে মিথ্যা অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে কলঙ্ক আরোপ করেন। শেষে সত্য প্রকাশিত হলে অনুশোচনায় আত্মহত্যা করেন। Phaedra মানুষের আবেগ, কামনা ও নিয়ন্ত্রণহীন আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।
- Hippolytus (হিপোলিটাস – সৎ ও সতীত্বপ্রেমী): Theseus-এর পুত্র। তিনি শিকার, সতীত্ব ও দেবী Diana-এর পূজার প্রতি নিবেদিত। নারীদের প্রতি তার অবজ্ঞা ও কঠোর নৈতিকতা Phaedra-র প্রেম প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য করে। কিন্তু মিথ্যা অভিযোগে তিনি ধ্বংস হন। তিনি নিষ্ঠা, সতীত্ব এবং অযাচিত অভিযোগের শিকার নিরপরাধ যুবকের প্রতীক।
- Theseus (থিসিউস – রাজা ও পিতা): এথেন্সের রাজা, Phaedra-র স্বামী এবং Hippolytus-এর পিতা। তিনি নরকযাত্রা শেষে ফিরে এসে স্ত্রীর মিথ্যা অভিযোগে বিশ্বাস করেন। ক্রোধে দেবতা Neptune-কে আহ্বান করে ছেলেকে অভিশাপ দেন। Theseus অন্ধ ক্রোধ, অবিবেচনা ও ভ্রান্ত বিচারের প্রতীক।
- Nurse (ধাত্রী): Phaedra-র ধাত্রী। তিনি Phaedra-র গোপন প্রেমের কথা প্রথম জানতে পারেন এবং তাকে পরামর্শ দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি দুর্বল হয়ে Phaedra-কে প্রেম স্বীকারে সাহায্য করেন। তিনি যুক্তি, সতর্কবার্তা, আবার কখনও দুর্বলতার প্রতীক।
- Chorus (কোরাস): নাটকে বারবার Stoic নৈতিক শিক্ষা ও মানবজীবনের অস্থিরতা তুলে ধরে। তারা প্রেম, আবেগ, ভাগ্য ও দেবতাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভাবনা প্রকাশ করে। কোরাস দর্শকদের জন্য নৈতিক বিচারকের ভূমিকা পালন করে।
গৌণ চরিত্র (Minor Characters)
- Neptune (নেপচুন): Theseus-এর পিতা ও সমুদ্রের দেবতা। Theseus-এর প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে Hippolytus-এর মৃত্যুর কারণ হন। তিনি ভাগ্যের শক্তি ও দেবতাদের নির্মমতার প্রতীক।
- Messengers (বার্তাবাহক): নাটকের ভয়ঙ্কর ঘটনাগুলো (যেমন Hippolytus-এর মৃত্যুর দৃশ্য) দর্শকদের সামনে বর্ণনা করে। নাটকের নাটকীয়তা ও ভয়াবহতা বাড়ায়।
- Attendants/Servants (ভৃত্য): রাজপ্রাসাদের সেবকরা নাটকের আবহকে বাস্তব করে তোলে।
- Venus (ভেনাস – প্রেমের দেবী): যদিও সরাসরি মঞ্চে আসেন না, কিন্তু নাটকে বারবার তার প্রভাব অনুভূত হয়। বলা হয়, Phaedra-র নিষিদ্ধ প্রেম আসলে Venus-এর অভিশাপ ও প্রেমের অন্ধ শক্তির ফল। তিনি নিয়ন্ত্রণহীন কামনা ও আবেগের প্রতীক।
- Diana (ডায়ানা – সতীত্ব ও শিকারের দেবী): Hippolytus তার উপাসক। Diana নারীর সতীত্ব, পবিত্রতা ও প্রকৃতির প্রতীক। Hippolytus-এর চরিত্রে তার প্রভাব গভীর, আর সেটিই Phaedra-র প্রেমকে ব্যর্থ করে।
- Hippolytus-এর সহচর/বন্ধুরা (Companions of Hippolytus): তারা শিকারে তার সঙ্গে যায় এবং Hippolytus-এর চরিত্রের সতীত্ব, প্রকৃতিপ্রেম ও দেবী Diana-এর প্রতি ভক্তিকে ফুটিয়ে তোলে।
- পাহারাদার/প্রাসাদের সেবকরা (Guards & Attendants): রাজপ্রাসাদের পরিবেশ তৈরি করে। তারা মাঝে মাঝে Theseus ও Phaedra-র আদেশ পালন করে নাটকের দৃশ্য বাস্তবসম্মত করে তোলে।
আরো পড়ুনঃ Iliad – বাংলা সামারি
দম্পতি ও সম্পর্ক (Couples and Connections)
- Phaedra ও Theseus: স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হলেও ভালোবাসা ও আস্থার অভাব আছে।
- Phaedra ও Hippolytus: সৎমা-সৎসন্তানের সম্পর্ক, যা নিষিদ্ধ প্রেমে জড়িয়ে পড়ে ট্র্যাজেডির জন্ম দেয়।
- Theseus ও Hippolytus: পিতা-পুত্র সম্পর্ক। কিন্তু মিথ্যা অভিযোগে আস্থা ভেঙে গিয়ে ধ্বংস ডেকে আনে।
প্রতীকী দিক (Symbolism of Characters)
- Phaedra: কামনা, আবেগ ও নিয়ন্ত্রণহীন ইচ্ছার প্রতীক।
- Hippolytus: সতীত্ব, নৈতিক দৃঢ়তা এবং অন্যায়ের শিকার নিষ্পাপ মানুষের প্রতীক।
- Theseus: পিতৃত্বের অন্ধ ক্রোধ ও ভ্রান্ত বিচারের প্রতীক।
- Nurse: সতর্কবার্তা ও মানবিক দুর্বলতার প্রতীক।
- Chorus: Stoic নৈতিক শিক্ষা ও ভাগ্যের অপ্রতিরোধ্য শক্তির প্রতীক।
বাংলা সামারি
Theseus-এর পাতালে গমন ও দীর্ঘ অনুপস্থিতি: Seneca-র Phaedra একটি রিভেঞ্জ ট্র্যাজেডি। নাটকের সূচনায় আমরা জানতে পারি, এথেন্সের রাজা Theseus, Phaedra-র স্বামী, বহু বছর ধরে পাতালে অবস্থান করছেন। তিনি পাতালে গিয়েছিলেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু Pirithous-কে সাহায্য করতে। Pirithous চেয়েছিল পাতালের দেবতা Pluto-র স্ত্রী Persephone-কে অপহরণ করতে। বন্ধুত্বের টানে Theseus এই বিপজ্জনক অভিযানে সঙ্গী হয়। কিন্তু ফল হয় ভয়ঙ্কর, Pirithous সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি পায় এবং চিরকালের জন্য শৃঙ্খলিত হয়। আর Theseus-ও পাতালে আটকে পড়ে।
নাটকের সময়কাল অনুযায়ী প্রায় চার বছর কেটে গেছে, কিন্তু Theseus আর ফেরেননি। এই দীর্ঘ অনুপস্থিতিই নাটকের কাহিনির মূল চালিকাশক্তি হয়ে ওঠে। কারণ স্বামীহীন অবস্থায় Phaedra ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তার হৃদয়ে জন্ম নেয় এক নিষিদ্ধ ও অশুভ প্রেম, সৎসন্তান Hippolytus-এর প্রতি আকর্ষণ। এভাবেই, নাটকের ট্র্যাজেডি শুরু হয় Theseus-এর অনুপস্থিতিকে কেন্দ্র করেই।
Hippolytus-এর প্রতি Phaedra-এর দুর্বলতা: Theseus দীর্ঘদিন পাতালে আবদ্ধ থাকায় Phaedra ভীষণ একাকী ও অবহেলিত অনুভব করে। এই অবস্থায় তার সৎপুত্র Hippolytus ধীরে ধীরে তার মনে বিশেষ স্থান করে নেয়। Hippolytus রাজপ্রাসাদের বিলাসিতা ও রাজনৈতিক জীবনের প্রতি উদাসীন। সে প্রকৃতি, বন-জঙ্গল ও শিকারের জীবনকে বেশি ভালোবাসে। তার নায়ক ও আদর্শ হচ্ছেন দেবী Diana, সতীত্ব, শিকার ও পবিত্রতার দেবী।
কিন্তু Hippolytus-এর এই কঠোর সতীত্ব ও নারীদের প্রতি উদাসীনতা Phaedra-র প্রেমকে আরও বেদনাদায়ক করে তোলে। যখন Hippolytus শিকারের উদ্দেশ্যে প্রাসাদ ত্যাগ করে, Phaedra চরম হতাশা ও শূন্যতায় ভুগতে থাকে। তার সেবিকা/ধাত্রী একসময় তাকে জিজ্ঞাসা করে, কী এমন যন্ত্রণা তাকে ভেতরে ভেতরে গ্রাস করছে? তখন Phaedra প্রথমবার স্বীকার করে নেয় তার ভয়ঙ্কর গোপন সত্য: সে নিজের সৎপুত্র Hippolytus-এর প্রেমে পড়েছে। এই স্বীকারোক্তিই নাটকের আসল সংঘাত (central conflict)-এর সূচনা করে, যা ধীরে ধীরে ভয়াবহ ট্র্যাজেডির দিকে গড়ায়।
Phaedra-এর মায়ের কাহিনি ও অভিশাপ: Phaedra তার গোপন প্রেমের কথা স্বীকার করার পর ধাত্রী তাকে বোঝাতে চায় যে এই অস্বাভাবিক কামনা আসলে তার বংশের অভিশাপ। ধাত্রী মনে করিয়ে দেয় তার মা Pasiphae-র কাহিনি। দেবী Venus একসময়ে Pasiphae-কে অভিশাপ দেন, যাতে সে এক ষাঁড়ের প্রতি অপ্রাকৃত লালসায় আক্রান্ত হয়। এর ফলেই জন্ম নেয় ভয়ঙ্কর দানব Minotaur, অর্ধেক মানুষ ও অর্ধেক ষাঁড়। পরে এই Minotaur-কে হত্যা করেছিলেন Phaedra-র স্বামী Theseus।
এই গল্প মনে করিয়ে দিয়ে ধাত্রী ইঙ্গিত দেয়, Phaedra-র অশুভ প্রেমও আসলে পারিবারিক অভিশাপেরই অংশ। Phaedra নিজেও তা স্বীকার করে নেয়। সে বলে, তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে Venus-এর অভিশাপে ভুগছে। যেমন Pasiphae অভিশপ্ত হয়ে Minotaur-এর জন্ম দিয়েছিল, তেমনি সেও Venus-এর রোষে পড়ে নিজের সৎপুত্র Hippolytus-এর প্রতি নিষিদ্ধ প্রেমে পড়ে গেছে। এইভাবে Phaedra নিজের আবেগকে শুধু ব্যক্তিগত দুর্বলতা নয়, বরং দেবতাদের অভিশাপের ফল হিসেবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে। ফলে তার ট্র্যাজেডি শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং ভাগ্যের অবধারিত পরিণতি হিসেবে প্রতীয়মান হয়।
Phaedra-কে সেবিকার সাহায্য: Phaedra-র দুঃখ ও বেদনাময় স্বীকারোক্তি শোনার পর সেবিকা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে, আবেগকে সংযম করতে হবে। কিন্তু Phaedra নিজেই স্বীকার করে নেয় যে, সে নিয়ন্ত্রণহীন এক আবেগে ভেসে যাচ্ছে। সে নিজেকে এক ঝড়ের কবলে পড়া জাহাজের সাথে তুলনা করে, যা আর দিকনির্দেশনা রাখতে পারে না। সে জানে এই লালসা ও নিষিদ্ধ প্রেমই তার সর্বনাশ ডেকে আনবে।
সেবিকা এবার বুঝতে পারে, নিষেধে কোনো লাভ নেই। তাই সে সিদ্ধান্ত নেয় Phaedra-কে সাহায্য করবে। এদিকে Hippolytus সবসময় শিকার ও দেবী Diana-এর পূজায় মগ্ন থাকে। সে নারীদের প্রতি বিতৃষ্ণ এবং নারীসঙ্গকে অবজ্ঞা করে। Hippolytus যখন শিকার শেষে প্রাসাদে ফিরে আসে, তখন সেবিকা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। সে বলে, মানুষের জীবন শুধু কষ্টসাধ্য শিকার বা কঠোর সতীত্বের জন্য নয়, বরং সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হলে ভোগ-বিলাস, আনন্দ, খাবার, মদ ও নারীসঙ্গেরও প্রয়োজন আছে।
এই কথাগুলো আসলে এক ধরনের ইঙ্গিত, যাতে Hippolytus বুঝতে পারে, কারও (অর্থাৎ Phaedra-র) প্রেম তার প্রতি আকৃষ্ট। কিন্তু Hippolytus সেবিকার এই পরামর্শে বিরক্ত হয় এবং তার অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়। এখান থেকেই নাটকের আসল সংঘাত আরও জটিল আকার নেয়।
Hippolytus-এর দ্বারা Phaedra-এর প্রত্যাখ্যান: সেবিকা যখন Hippolytus-কে নারীসঙ্গের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে, তখন সে ভীষণ বিরক্ত হয়। সে বলে, প্রকৃতি ও শিকারই মানুষের সত্যিকারের আশ্রয়, আর নারীরাই সব অনিষ্ট ও পাপের মূল। নারীদের সে ঘৃণা করে এবং তাদের কারণে মানবসমাজ দুর্বল হয়ে পড়ে। ঠিক তখনই ঘটনাস্থলে আসে Phaedra। সে কথোপকথন শোনে এবং ভান করে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। উদ্বিগ্ন হয়ে Hippolytus তাকে জিজ্ঞাসা করে, হঠাৎ কীভাবে এত অসুস্থ হলো? তখন Phaedra আর গোপন রাখতে পারে না, সে স্বীকার করে, সে Hippolytus-এর প্রেমে পড়েছে।
Hippolytus এই স্বীকারোক্তিতে স্তব্ধ হয়ে যায়। প্রথমে সে ঘৃণা প্রকাশ করে, তারপর বলে, Phaedra তার মা Pasiphae-র চেয়েও অধঃপতিত। Pasiphae ষাঁড়ের প্রতি লালসায় আক্রান্ত হয়েছিল, আর Phaedra তার থেকেও ভয়াবহ পাপে লিপ্ত হচ্ছে। ক্ষোভে Hippolytus তরবারি তোলে তাকে হত্যা করার জন্য।
কিন্তু Phaedra তাকে বলে, “আমাকে মেরে ফেলো, আমি মরতে রাজি।” এই কথা শুনে Hippolytus দ্বিধাগ্রস্ত হয়। শেষ পর্যন্ত সে তাকে হত্যা করতে পারে না। তরবারি ফেলে দিয়ে সে রাগে-অপমানে প্রাসাদ ছেড়ে বনে চলে যায়। পক্ষান্তরে, Phaedra এই প্রত্যাখ্যান সহ্য করতে পারে না। সে ভেতরে ভেতরে অপমান, লজ্জা ও ক্রোধে দগ্ধ হতে থাকে। এই ব্যর্থ প্রেমই পরবর্তীকালে ভয়ঙ্কর প্রতিশোধের আগুন জ্বালায়।
Hippolytus-এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও তার মর্মান্তিক মৃত্যু: Hippolytus-এর প্রত্যাখ্যানের অপমান Phaedra কোনোভাবেই সহ্য করতে পারে না। ধাত্রী ও পরিবেশের চাপে পড়ে অবশেষে সে এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। পরিকল্পনা করা হয়, Hippolytus-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হবে যে সে তার সৎমা Phaedra-কে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল। এর প্রমাণ হিসেবে থেকে যায় Hippolytus-এর তরবারি, যা সে ক্রোধে ফেলে গিয়েছিল।
এমন সময় বহু বছর পর Theseus পাতাল থেকে ফিরে আসে। সে দেখে, তার স্ত্রী Phaedra গভীর দুঃখ ও হতাশায় নিমগ্ন। Theseus যখন প্রশ্ন করে, তখন Phaedra ভান করে জানায়, তার সতীত্ব কলঙ্কিত হওয়ার উপক্রম হয়েছিল, কেউ তাকে জোর করে লাঞ্ছিত করতে চেয়েছিল। এরপর সে স্বামীর হাতে তুলে দেয় Hippolytus-এর তরবারি। এতে Theseus ভীষণ রেগে যায়।
ক্রোধে অন্ধ হয়ে Theseus তার পিতা Neptune (সমুদ্রের দেবতা)-এর কাছে প্রার্থনা করে অভিশাপ কার্যকর করার জন্য। Neptune প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। অল্প সময় পরই এক বার্তাবাহক আসে এবং Hippolytus-এর ভয়ঙ্কর মৃত্যুর খবর আনে। সে বর্ণনা করে, Hippolytus যখন রথে চড়ে সমুদ্রের তীরে যাচ্ছিল, হঠাৎ সমুদ্র থেকে এক ভয়ঙ্কর দৈত্য বা দানবীয় ষাঁড় বেরিয়ে আসে। আতঙ্কিত ঘোড়াগুলো ছুটতে শুরু করে। তখন Hippolytus রথ থেকে ছিটকে পড়ে যায়, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত লাগাম তার পায়ে আটকে যায়।
উন্মত্ত ঘোড়াগুলো তাকে টেনে নিয়ে যায় পাহাড়-পর্বত, পাথর ও ধুলোর উপর দিয়ে। তার শরীর পাথরে আঘাত পেতে পেতে একসময় ভয়াবহভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এইভাবে নির্দোষ Hippolytus নৃশংস ও মর্মান্তিক মৃত্যুর শিকার হয়, একটি মিথ্যা অভিযোগ ও পিতার অভিশাপের কারণে।
অবশেষে সত্য প্রকাশ ও ট্র্যাজিক সমাপ্তি: Hippolytus-এর মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর Phaedra গভীর অনুশোচনায় ভেঙে পড়ে। সে আর নিজের অপরাধ লুকিয়ে রাখতে পারে না। অবশেষে সে স্বীকার করে নেয় যে, আসলে Hippolytus নির্দোষ, মিথ্যা অভিযোগ তারই কল্পিত প্রতিশোধ থেকে জন্ম নিয়েছিল। অপরাধবোধ ও লজ্জায় জর্জরিত হয়ে Phaedra নিজের তরবারি দিয়ে আত্মহত্যা করে। Theseus স্ত্রীর এই স্বীকারোক্তি শুনে হতবাক হয়ে যায়। সে নিজের উপরই ক্ষুব্ধ হয়। অন্ধ ক্রোধে পড়েই সে ছেলের উপর অভিশাপ ডেকেছিল, অথচ একবারও সত্য যাচাই করার চেষ্টা করেনি। এই ভুলের জন্য সে নিজেকে অভিশাপ দেয়।
শেষে Theseus নির্দেশ দেন, Hippolytus যেন সম্মানের সাথে সমাহিত হয়, তার সাহসী কিন্তু নির্দোষ জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। অন্যদিকে Phaedra-কে তিনি গভীর মাটির নিচে চাপা দিতে বলেন, যেন তার লজ্জা ও অপরাধ ইতিহাসের অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যায়। তিনি বলেন, “তার অপবিত্র মাথার উপর অনেক মাটি দাও।” এইভাবেই নাটক শেষ হয়, যেখানে প্রেম পরিণত হয় অভিশাপে, মিথ্যা অভিযোগ ধ্বংস করে দেয় নির্দোষ প্রাণকে, আর অনুশোচনা এসে পৌঁছায় খুব দেরিতে। Phaedra এক অনন্ত ট্র্যাজেডির প্রতীক হয়ে ওঠে, যেখানে মানব আবেগ ও দেবতাদের অভিশাপ মিলেমিশে ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনে।
থিমসমূহ
Forbidden Love (নিষিদ্ধ প্রেম): Phaedra নাটকের কেন্দ্রে রয়েছে এক নিষিদ্ধ ও ভয়ঙ্কর প্রেম। রাজা Theseus-এর স্ত্রী Phaedra নিজের সৎপুত্র Hippolytus-এর প্রতি অস্বাভাবিক আকর্ষণ অনুভব করে। এই প্রেম সমাজ, নৈতিকতা ও পরিবারের বিরুদ্ধে এক বড় বিশ্বাসঘাতকতা। Seneca দেখান, নিয়ন্ত্রণহীন কামনা কিভাবে একজন নারীকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। Phaedra জানে তার ভালোবাসা অসম্ভব ও লজ্জাজনক, কিন্তু তবুও সে তা দমন করতে পারে না। ফলে এই নিষিদ্ধ প্রেম পরিণত হয় ভয়ঙ্কর ট্র্যাজেডিতে।
Revenge and False Accusation (প্রতিশোধ ও মিথ্যা অভিযোগ): Hippolytus তার প্রেম প্রত্যাখ্যান করার পর Phaedra অপমান সহ্য করতে পারে না। প্রতিশোধস্পৃহায় জ্বলে সে মিথ্যা অভিযোগ আনে যে, Hippolytus তাকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল। এর প্রমাণ হিসেবে থেকে যায় তার তরবারি। Theseus এই অভিযোগ বিশ্বাস করে ক্রোধে অন্ধ হয়ে নিজের পিতাকে (Neptune) ছেলেকে ধ্বংস করতে আহ্বান জানায়। ফলাফল হয় মর্মান্তিক মৃত্যু। এখানে প্রতিশোধ শুধু ব্যক্তিগত আবেগ নয়, বরং মিথ্যার শক্তি কিভাবে নিরপরাধকে ধ্বংস করতে পারে, তা নাটকীয়ভাবে ফুটে ওঠে।
আরো পড়ুনঃ The Frogs- বাংলা সামারি
Sin (পাপ): Seneca-র Phaedra-তে মূল চালিকা শক্তি হলো মানুষের নিয়ন্ত্রণহীন পাপ। Phaedra নিজের সৎপুত্র Hippolytus-এর প্রতি নিষিদ্ধ প্রেমে আক্রান্ত হয়, এটি সামাজিক, পারিবারিক ও নৈতিক সব সীমা অতিক্রম করা এক ভয়ঙ্কর পাপ। সে জানে এই কামনা অশুভ এবং ধ্বংস ডেকে আনবে, তবুও আবেগের জোয়ারে ভেসে যায়। একই সঙ্গে সেবিকার দুর্বলতা এবং মিথ্যা কৌশলও পাপের অংশ। আর Theseus-ও পাপে জড়িয়ে পড়ে, কারণ প্রমাণ যাচাই না করে সে পুত্রের বিরুদ্ধে অন্ধ ক্রোধে অভিশাপ ডাকে। নাটকটি দেখায়, পাপ শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি সমাজ ও পরিবারকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
Punishment (শাস্তি): নাটকে প্রতিটি চরিত্র তাদের অপরাধ বা ভুল সিদ্ধান্তের জন্য শাস্তি পায়। Hippolytus নির্দোষ হলেও, মিথ্যা অভিযোগ ও দেবতাদের অভিশাপে ভয়ঙ্কর মৃত্যুর শিকার হয়। Phaedra নিজের পাপ ও প্রতারণার বোঝা সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে। আর Theseus-এর ভাগ্যে আসে মানসিক শাস্তি, সে বুঝতে পারে, প্রমাণ যাচাই না করেই নিজের ছেলেকে ধ্বংস করেছে। এভাবেই নাটক Stoic দর্শনের শিক্ষা দেয়, পাপ থেকে মুক্তি নেই, প্রতিটি পাপের জন্য অবশ্যম্ভাবী শাস্তি ভোগ করতে হয়।

We are quite indebted to you, sir…
Happy learning
Very helpful,,,, thank you so much, sir.
Thank you
Thanks 🥰
অনেক সুন্দর আলোচনা।আপনাদের এমন নোট’স আমাদের একাডেমিক লেখাপড়ায় অনেক সাহায্য করছে।
ধন্যবাদ LX টিমকে❤️
Thank you sir.