Pride and Prejudice
Brief Biography: জেন অস্টেন (Jane Austen)
জেন অস্টেন ১৭৭৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার (Hampshire) জেলার স্টিভেনটনে (Steventon) জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা, Reverend George Austen, ছিলেন একজন গ্রাম্য যাজক এবং শিক্ষক। তার মা, Cassandra Leigh Austen, ছিলেন একটি সম্মানিত পরিবারের সদস্য। জেন ছিলেন তাদের আট সন্তানের মধ্যে ষষ্ঠ। জেন অস্টেন ছোটবেলা থেকেই বই পড়তে এবং গল্প লিখতে ভালোবাসতেন। তার বোন Cassandra Austen ছিলেন তার খুব কাছের মানুষ এবং সবসময় তার পাশে ছিলেন। অস্টেন কোনোদিন বিয়ে করেননি। তিনি তার সাহিত্যিক জীবন শুরু করেন খুব অল্প বয়সে এবং ১৭৯০-এর দশকে তার কিছু প্রাথমিক রচনা লেখেন, যেগুলো পরে “Juvenilia” নামে পরিচিত হয়। তিনি মূলত সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জীবন, প্রেম, বিয়ে এবং নারীর অবস্থান নিয়ে লেখালেখি করতেন।
তার প্রথম উপন্যাস Sense and Sensibility ১৮১১ সালে প্রকাশিত হয়, এরপর Pride and Prejudice (১৮১৩), Mansfield Park (১৮১৪), Emma (১৮১৫), Northanger Abbey এবং Persuasion প্রকাশিত হয়। শেষের দুটি উপন্যাস তার মৃত্যুর পর ১৮১৮ সালে প্রকাশিত হয়। তাকে “The First Lady of English Fiction” উপাধি দেওয়া হয়, কারণ তিনি নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে সামাজিক বাস্তবতা ও রোমান্সকে বাস্তবধর্মীভাবে উপস্থাপন করেছেন। এছাড়াও তাকে “Anti-Romatic Novelist of Romantic Age” বলা হয়। জেন অস্টেন জীবনের শেষ সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন, এবং ১৮১৭ সালের ১৮ জুলাই মাত্র ৪১ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে হ্যাম্পশায়ারের উইনচেস্টার ক্যাথেড্রালে সমাহিত করা হয়। তার উপন্যাসগুলো এখনো বিশ্বজুড়ে পাঠকপ্রিয় এবং ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয়।
Key Facts
- Full Title: Pride and Prejudice
- Original Title: First Impressions
- Author: Jane Austen (1775–1817)
- Title of the Author: The First Lady of English Fiction & Anti-Romantic Novelist of the Romantic Age
- Source: Inspired by Austen’s own unpublished work titled First Impressions (1796–1797)
- Written Time: 1796–1797 (as First Impressions), revised in 1811
- First Published: 1813
- Publisher: Thomas Egerton of London. (Publishing House)
- Genre: Novel of Manners / Romantic Novel
- Point of View: Third-Person Omniscient (mainly from Elizabeth Bennet’s perspective)
- Climax: Elizabeth reads Darcy’s letter and realizes she was prejudiced and wrong about him
- Structure: Divided into 61 chapters
- Tone: Witty, Satirical, Ironic, Reflective
- Significance: One of the most famous romantic novels in English literature, known for its sharp commentary on society and relationships.
- Setting:
- Time Setting: Early 19th century (Regency Era)
- Place Setting: Rural England — Longbourn, Netherfield Park, Rosings Park, Hunsford, and Pemberley
আরো পড়ুনঃ Jane Eyre Bangla Summary
Key Notes- বাংলা
- The First Lady of English Fiction: জেন অস্টেনকে “The First Lady of English Fiction” বলা হয় কারণ তিনি নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজ, প্রেম, বিয়ে এবং জীবনের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। তার লেখায় রোমান্টিকতা থাকলেও তা বাস্তবতার মাটিতে দাঁড়িয়ে।
- মূল নাম (Original Title)- First Impressions: এই উপন্যাসটির মূল নাম ছিল First Impressions। জেন অস্টেন ১৭৯৬-১৭৯৭ সালে এটি লেখেন, কিন্তু ১৮১৩ সালে নাম পরিবর্তন করে Pride and Prejudice নামে প্রকাশ করেন।
- Pride এবং Prejudice – নামের তাৎপর্য: “Pride” মানে অহংকার – যা Darcy-র মধ্যে দেখা যায়। “Prejudice” মানে কুসংস্কার, গোঁড়ামি বা পক্ষপাত – যা Elizabeth-এর Darcy সম্পর্কে ভুল ধারণায় প্রকাশ পায়। এই নাম দুটি মূল চরিত্রের মানসিক দ্বন্দ্ব এবং পরবর্তীতে পরিবর্তনের প্রতীক।
- Novel of Manners: এই উপন্যাসটি একটি Novel of Manners, অর্থাৎ একটি সামাজিক রীতিনীতি-ভিত্তিক উপন্যাস। এতে ব্রিটিশ সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিয়ে, সম্পত্তি, নারী-পুরুষ সম্পর্ক এবং সামাজিক মর্যাদার চিত্র ফুটে উঠেছে।
Anti-Romantic Novelist of Romantic Age: যদিও জেন অস্টেন রোমান্টিক যুগে লেখালেখি করেছেন, তিনি অতিরিক্ত আবেগ বা কল্পনার চেয়ে বাস্তবতাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। এজন্য তাকে “Anti-Romantic Novelist of the Romantic Age” বলা হয়।
Background
জেন অস্টেনের Pride and Prejudice উপন্যাসটি রচিত হয়েছে উনবিংশ শতকের গোড়ার দিককার ইংল্যান্ডের Regency Era-র সামাজিক প্রেক্ষাপটে। এই সময়ে সমাজ ছিল কঠোর শ্রেণিবিন্যাসে বিভক্ত, এবং নারীদের সামাজিক মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তা অনেকাংশে বিয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিল। উত্তরাধিকার আইন পুরুষদের পক্ষে হওয়ায় নারীরা সম্পত্তি পেতেন না, এবং চাকরি বা উপার্জনের সুযোগও ছিল খুব সীমিত। তাই মধ্যবিত্ত এবং জমিদার শ্রেণির পরিবারগুলোতে বিয়েকে জীবনের প্রধান লক্ষ্য হিসেবে ধরা হতো। জেন অস্টেন নিজেও এমন সমাজে বসবাস করেছেন এবং নারী-পুরুষের সম্পর্ক, শ্রেণিচেতনা এবং বিয়ে-নির্ভর সমাজব্যবস্থার বাস্তবতা খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। এসব অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি Pride and Prejudice রচনায় অনুপ্রাণিত হন।
এই উপন্যাসে তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে অহংকার (Pride), কুসংস্কার বা পক্ষপাত (Prejudice), সামাজিক অবস্থান এবং আত্মউন্নয়ন মানুষের সম্পর্ককে প্রভাবিত করে। এলিজাবেথ বেনেট ও মি. ডার্সির মতো চরিত্রগুলোর মাধ্যমে অস্টেন পাঠকদের শেখাতে চেয়েছেন যে সত্যিকারের ভালোবাসা, আত্মসম্মান ও নৈতিক মূল্যবোধ সামাজিক নিয়মের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। উপন্যাসটি কেবল বিনোদন দেয়নি, বরং সমাজের প্রচলিত ধারণাগুলোকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে এবং বিশেষ করে নারীদের স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত মর্যাদা এবং আত্মচিন্তা নিয়ে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
বাংলা সামারি Analysis
মেয়েদের জন্য মায়ের চিন্তা: উপন্যাসের শুরুতেই দেখা যায়, মিসেস বেনেট খুবই উদ্বিগ্ন। তার পাঁচজন মেয়ে। তারা সবাই এখনো বিয়ে করেনি। মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি সবসময় চিন্তিত থাকেন। কারণ, তার স্বামী মিস্টার বেনেট (Mr. Bennet) ধনী নন। তার মৃত্যুর পর সম্পত্তি তাদের মেয়েরা পাবে না। মিস্টার বেনেটের মৃত্যুর পর সম্পত্তি পাবে মিস্টার কলিন্স (Mr. Collins)। কারণ বেনেট পরিবারে কোন ছেলে সন্তান নেই, আর তখনকার ইংল্যান্ডের আইন অনুযায়ী মেয়েরা সম্পত্তির অধিকারী হতো না।
তাই সম্পত্তি পিতৃতান্ত্রিক নিয়মে পুরুষ সম্পর্কীদের, অর্থাৎ মিস্টার কলিন্সের কাছে যাবে। মিস্টার কলিন্স হচ্ছেন বেনেট পরিবারের দূর সম্পর্কের কাজিন। তাই মেয়েদের ভালো ঘরে বিয়ে দেওয়াই তার প্রধান লক্ষ্য। তখনকার সমাজে বিয়েই ছিল নারীদের ভবিষ্যতের একমাত্র নিরাপত্তা। এজন্য মিসেস বেনেট (Mrs Bennet) চান, তার মেয়েরা যেন ধনী এবং সম্মানিত পুরুষদের বিয়ে করে। হঠাৎ একদিন তিনি খবর পান তাদের লংবর্ন (Longbourn) গ্রামের কাছেই এক ধনী যুবক এসেছেন। তার নাম মিস্টার বিঙ্গলে (Mr. Bingley)। তিনি নেদারফিল্ড পার্ক নামক এক বড় বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন (rented)।
মিস্টার বিঙ্গলে দেখতে সুদর্শন, অল্পবয়সি এবং অনেক ধনী। এই খবর পেয়ে মিসেস বেনেট খুবই উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি তখনই ভাবেন, তার মেয়েদের মধ্যে কেউ না কেউ যদি এই যুবককে আকৃষ্ট করতে পারে, তবে খুব ভালো বিয়ের সুযোগ তৈরি হবে। এই উদ্দেশ্যেই তিনি মেয়েদেরকে নতুন জামা পরিয়ে, সাজিয়ে-গুজিয়ে সামাজিক অনুষ্ঠানে পাঠাতে শুরু করেন। তার আশা—মেয়েদের সৌন্দর্য এবং ব্যবহার দেখে মিস্টার বিঙ্গলে মুগ্ধ হবেন এবং বিয়ের প্রস্তাব দেবেন।
বল নাচের আসর: উপন্যাসের শুরুতে, মেরিটন (Meryton) নামের একটি শহরে এক জমকালো বল নাচের (Ball Dance) অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এটি ছিল একটি সামাজিক অনুষ্ঠান যেখানে স্থানীয় সম্ভ্রান্ত পরিবারগুলো অংশ নেয়। মিসেস বেনেট এই সুযোগকে খুব গুরুত্ব দেন, কারণ এটি ছিল তার মেয়েদের জন্য ধনী ও উপযুক্ত পাত্র খোঁজার বড় সুযোগ। এই অনুষ্ঠানে বেনেট পরিবার, বিঙ্গলে পরিবার এবং বিঙ্গলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মি. ডার্সিও (Mr. Darcy) উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সুন্দরী ও নম্র স্বভাবের জেন বেনেটকে (Jane Bennet) প্রথম দেখাতেই মিস্টার বিঙ্গলে খুব পছন্দ করে ফেলেন। জেনের মিষ্টি ব্যবহার ও সৌন্দর্যে তিনি মুগ্ধ হন। তারা একসাথে বেশ কয়েকবার নাচেন। দুজনেই একে অপরের প্রতি আকর্ষণ বোধ করতে শুরু করেন। সবাই তাদের নাচ দেখে খুব উপভোগ করে।
অন্যদিকে মিস্টার ডার্সি বল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও একদম চুপচাপ ও গম্ভীর স্বভাবের ছিলেন। তিনি কাউকে বেশি পাত্তা দেননি এবং একাকী দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার এই অহংকারী স্বভাব অনেকের নজরে পড়ে যায়। মিস্টার বিঙ্গলে তাকে উৎসাহ দেন এলিজাবেথ বেনেটের (Elizabeth) সাথে নাচতে, কারণ এলিজাবেথ ছিলেন স্মার্ট, প্রাণবন্ত এবং বুদ্ধিমতী। কিন্তু ডার্সি অহংকার করে বলেন, এলিজাবেথ “ততটা সুন্দরী নন” এবং তিনি তার প্রতি আকৃষ্ট নন। দুর্ভাগ্যক্রমে, এলিজাবেথ নিজেই এই অপমানজনক মন্তব্য শুনে ফেলেন। এই মুহূর্ত থেকেই এলিজাবেথের মনে ডার্সির প্রতি বিরূপ ধারণা জন্ম নেয়। তিনি মনে করতে থাকেন, ডার্সি একজন অহংকারী, আত্মকেন্দ্রিক এবং আত্মঅহমিকায় ভরা ব্যক্তি।
এদিকে বিঙ্গলের দুই বোনও (মিসেস ক্যারোলিন বিঙ্গলে ও মিসেস হার্স্ট- Mrs. Caroline Bingley & Mrs. Hurst) জেনকে খুবই পছন্দ করতে শুরু করেন। তারা জেনের ভদ্রতা ও নম্র ব্যবহারে মুগ্ধ হন। তাই তারা চায়, জেন যেন বিঙ্গলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। এজন্য তারা জেনকে তাদের নেদারফিল্ড পার্কে রাতের খাবারে (dinner invitation) আমন্ত্রণ জানান। মিসেস বেনেটও সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চান। এই নৈশভোজেই বিঙ্গলে এবং জেন আরও কাছাকাছি আসেন। এদিকে ডার্সি আবার এলিজাবেথের ব্যক্তিত্ব লক্ষ্য করতে শুরু করেন, যদিও এলিজাবেথ তখনো ডার্সিকে অপছন্দ করে।
মিসেস বেনেটের কৌশল এবং এলিজাবেথের প্রতি ডার্সির ভালো লাগার শুরু: মিসেস বেনেট ছিলেন অত্যন্ত চতুর এবং কৌশলী নারী। তিনি সবসময় চেষ্টা করতেন কীভাবে তার বড় মেয়ে জেনের জন্য ধনী ও সম্ভ্রান্ত পাত্র মিস্টার বিঙ্গলের সঙ্গে একটা সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়। যখন বিঙ্গলের পরিবার জেনকে নেদারফিল্ড পার্কে নৈশভোজে (ডিনারে) আমন্ত্রণ জানায়, তখন মিসেস বেনেট খুব খুশি হন। কিন্তু তিনি সেখানে আরও সুযোগ খোঁজেন যাতে জেন বিঙ্গলের বাড়িতে কিছুদিন থাকতে পারেন। তিনি লক্ষ্য করেন, তখনকার আবহাওয়া খারাপ এবং বৃষ্টি আসার সম্ভাবনা ছিল। তিনি এই বিষয়টিকে কাজে লাগাতে চান। তাই তিনি জেনকে বিঙ্গলের বাড়িতে পাঠান ঘোড়ায় চড়িয়ে (horseback) — এই আশায় যে যদি বৃষ্টি নামে, তাহলে জেন ভিজে যাবে এবং অসুস্থ হয়ে পড়বে। তখন তাকে নেদারফিল্ড পার্কেই থাকতে হবে এবং সেই সুযোগে বিঙ্গলের পরিবার তার প্রতি আরও মুগ্ধ হবে।
ঘটনাক্রমে, ঠিক তেমনটাই হয়। পথে জেন বৃষ্টিতে ভিজে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিঙ্গলের পরিবার তাকে স্নেহ ও যত্নে তাদের বাড়িতে রাখে। জেন অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে এলিজাবেথ সাথে সাথে দৌড়ে সেখানে যায় বোনের সেবা করার জন্য। এই ঘটনা মিসেস বেনেটের পরিকল্পনাকে বাস্তব করে তোলে। নেদারফিল্ড পার্কে অবস্থান করার সময় এলিজাবেথ তার স্বাভাবিক ভদ্রতা, বুদ্ধিমত্তা, এবং আত্মসম্মানবোধে সকলের মন কেড়ে নেয়। ডার্সি, যিনি আগে বলেছিলেন যে এলিজাবেথ “তেমন সুন্দরী নন”, এখন তার ব্যবহারে ও স্বভাব-চরিত্রে আকৃষ্ট হতে থাকেন। এলিজাবেথ যেভাবে কথা বলে, যেভাবে তার বোনের যত্ন নেয় এবং যেভাবে নিজের মতামত প্রকাশ করে—সবকিছু ডার্সির দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয়।
ডার্সি মনে মনে স্বীকার করতে বাধ্য হন যে, তিনি ভুল ধারণা পোষণ করেছিলেন। তিনি এলিজাবেথের প্রতি সম্মানবোধ এবং আগ্রহ অনুভব করতে শুরু করেন। তবে এলিজাবেথ তখনো তার প্রথম মন্তব্যের জন্য ডার্সিকে অহংকারী এবং কঠোর স্বভাবের ব্যক্তি হিসেবেই ভাবেন। কয়েকদিন পরে জেন সুস্থ হয়ে উঠলে, জেন ও এলিজাবেথ একসাথে নেদারফিল্ড পার্ক থেকে নিজেদের বাড়ি লংবর্নে ফিরে আসেন। এই অংশটিতে মিসেস বেনেটের পরিকল্পনা, ডার্সির ভাবনার পরিবর্তন এবং এলিজাবেথের চরিত্রের প্রভাব সবকিছু পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
গল্পে নতুন দুটি চরিত্র Mr. Collins এবং Wickham এর আগমন: জেন এবং এলিজাবেথ যখন নেদারফিল্ড থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন, তখন দেখেন তাদের বাড়িতে একজন নতুন লোক এসেছেন। তার নাম মিস্টার কলিন্স (Mr. Collins)। তিনি বেনেট পরিবারের দূর সম্পর্কের এক কাজিন। তিনি পেশায় একজন গির্জার যাজক এবং তার স্বভাব অত্যন্ত গম্ভীর ও আত্মম্ভরিতায় ভরা। মিস্টার কলিন্স এসেছেন মূলত বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজতে। তিনি চান বেনেট পরিবারের একজন মেয়েকে বিয়ে করতে। তার আসার আরেকটা বড় কারণ হলো—তিনি বেনেট পরিবারের সব সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী। কারণ, বেনেট পরিবারে কোনো পুত্রসন্তান নেই। সেই সময় ইংল্যান্ডের আইনে মেয়েরা পৈতৃক সম্পত্তির অধিকারী হতে পারতো না। এজন্য মিস্টার কলিন্সের হাতেই বেনেট পরিবারের সব সম্পত্তি যাবে। তবে সে এটা ভালোভাবে সামলাতে চায়, তাই সে বেনেট পরিবারের একজন মেয়েকে বিয়ে করতে আগ্রহী।
একদিন জেন, এলিজাবেথ এবং মিস্টার কলিন্স একসাথে হাঁটতে বের হন। তারা মেরিটন শহরের দিকে হাঁটছিলেন। পথে তারা এক নতুন যুবকের দেখা পান, যার নাম মিস্টার উইকহ্যাম (Wickham)। তিনি ছিলেন দেখতে সুদর্শন, মার্জিত ব্যবহার ও মিষ্টভাষী। এলিজাবেথ তাকে দেখেই তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তারা একসাথে কিছুক্ষণ গল্প করেন। হঠাৎ করে সেই পথে ডার্সি ও বিঙ্গলে চলে আসেন। ডার্সি, উইকহ্যামকে দেখে একটু কড়া দৃষ্টিতে তাকান। এলিজাবেথ সেটা লক্ষ করেন এবং কারণ জানতে চান।
পরে এলিজাবেথ উইকহ্যামের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন। তখন উইকহ্যাম বলেন, ডার্সি একজন কপট ও নিষ্ঠুর মানুষ। তিনি দাবি করেন, ডার্সির বাবা এবং উইকহ্যামের বাবা একসময় ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। ডার্সির বাবা উইকহ্যামের দেখভাল করার জন্য কিছু টাকা ও সম্পদ দিয়ে যান। কিন্তু ডার্সি সেটা মানেননি। বরং তিনি উইকহ্যামকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এই গল্প শুনে এলিজাবেথ খুব দুঃখ পায় এবং ডার্সির প্রতি তার বিরক্তি আরও বেড়ে যায়। সে মনে করে ডার্সি শুধু অহংকারী নয়, একজন স্বার্থপর মানুষও। এই অংশে মিস্টার কলিন্স ও উইকহ্যামের আগমন এবং ডার্সি সম্পর্কে এলিজাবেথের ভুল ধারণা স্পষ্ট হয়েছে।
বিঙ্গলের আয়োজিত অনুষ্ঠানে সবার উপস্থিতি, ডার্সি ও এলিজাবেথের নাচ, কলিন্সের প্রস্তাব, এবং বিঙ্গলের লন্ডন ফিরে যাওয়া: মিস্টার বিঙ্গলে নেদারফিল্ড পার্কে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই অনুষ্ঠানে এলাকার প্রায় সকল সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি অংশ নেন, যার মধ্যে বেনেট পরিবারও ছিল। সেখানে বিঙ্গলে ও জেনকে খুব কাছাকাছি দেখা যায়। তারা একসাথে অনেক সময় কাটায়, যা দেখে মিসেস বেনেট খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি সবার সামনেই বলেন, খুব শিগগিরই বিঙ্গলে ও জেনের বিয়ে হবে। এই কথা শুনে ডার্সি একটু অস্বস্তি বোধ করেন। এর মাঝেই ডার্সি নিজে এলিজাবেথকে নাচের আমন্ত্রণ জানান। এলিজাবেথ আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেও, তিনি মন থেকে খুশি ছিলেন না। ডার্সির প্রতি তার মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছিল, বিশেষ করে উইকহ্যামের কথার কারণে। তাই নাচের সময় তিনি খুবই অস্বস্তি বোধ করেন এবং ভালোভাবে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না।
আরো পড়ুনঃ A Tale of Two Cities Bangla Summary
ডার্সি ও এলিজাবেথের নাচ দেখে মিস্টার কলিন্সের মনে দুশ্চিন্তা হয়। তিনি ভাবেন, এলিজাবেথকে এখনই বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া উচিত। পরদিন তিনি এলিজাবেথকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু এলিজাবেথ বিনয়ের সাথে তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এতে কলিন্স কিছুটা অপমানিত বোধ করেন এবং পরে এলিজাবেথের ২৭ বছর বয়সী ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শার্লট লুকাসকে (Charlotte Lucas) বিয়ে করে ফেলেন। শার্লট মূলত সামাজিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য এ বিয়ে মেনে নেন। এরপর বিঙ্গলে ও ডার্সি লন্ডনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়িক কাজে। যাওয়ার আগে বিঙ্গলের ছোট বোন ক্যারোলিন একটি চিঠি পাঠান। এই চিঠিতে লেখা ছিল, বিঙ্গলে জেনকে ভালোবাসে না এবং বিঙ্গলে ডার্সির বোন জর্জিয়ানাকে বিয়ে করতে চায়। সেই চিঠিতে আরও লেখা ছিল, তারা অন্তত ৬ মাসের আগে আর নেদারফিল্ডে ফিরবেন না। এই চিঠি পড়ে জেন খুব কষ্ট পান এবং এলিজাবেথ নিশ্চিত হন, এই বিচ্ছেদের জন্য দায়ী মূলত ডার্সি। কারণ তিনি মনে করেন ডার্সিই বিঙ্গলেকে জেনের থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন। এলিজাবেথের মনে ডার্সির প্রতি বিরক্তি ও ঘৃণা আরও বেড়ে যায়।
মি: ও মিসেস গার্ডিনারের আগমন, জেনের লন্ডন যাত্রা, এলিজাবেথের মি. কলিন্সের বাড়িতে ভ্রমণ, ডার্সির প্রস্তাব ও চিঠি, এবং উইকহ্যামের সত্য প্রকাশ: জেন যখন বিঙ্গলের লন্ডন চলে যাওয়ার কারণে খুব দুঃখ ও হতাশায় দিন কাটাচ্ছিলেন। তখন মিস্টার ও মিসেস গার্ডিনার (Gardiner) – এলিজাবেথ ও জেনের খালা ও খালু – তাদের বাড়িতে আসেন। তারা জেনের বিষণ্ণ অবস্থা দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং তাকে মানসিকভাবে ভালো রাখার জন্য লন্ডনে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এলিজাবেথও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন, কারণ তিনি মনে করেন, লন্ডনে গেলে হয়তো জেনের আবার বিঙ্গলের সঙ্গে দেখা হবে এবং তাদের ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়ে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
অন্যদিকে, এলিজাবেথের এক বান্ধবী শার্লট লুকাস, যাকে মিস্টার কলিন্স বিয়ে করেছিলেন, তার বাবা স্যার উইলিয়াম লুকাস এলিজাবেথকে আমন্ত্রণ জানান তাদের বাড়িতে কয়েকদিন কাটানোর জন্য। এলিজাবেথ তাদের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং মিস্টার কলিন্সের বাড়িতে যান। মিস্টার কলিন্স থাকতেন রোজিংস পার্কের পাশে, যেটি ছিল ডার্সির ধনী ও অহঙ্কারী আন্টি লেডি ক্যাথেরিন ডি বর্গের প্রাসাদসম বাড়ি। সেখানে যাওয়ার পর, লেডি ক্যাথেরিন এলিজাবেথসহ অন্যদের একটি ডিনারের আমন্ত্রণ জানান। সেই ডিনারে ডার্সিও উপস্থিত ছিলেন।
ডিনারের পর একদিন হঠাৎ করেই ডার্সি এলিজাবেথকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তবে তার প্রস্তাবের ভাষা এতটাই রুক্ষ ও অহঙ্কারপূর্ণ ছিল যে, এলিজাবেথ খুবই ক্ষুব্ধ হন। ডার্সি বলেন, তুমি সামাজিক মর্যাদায় আমার চেয়ে অনেক নিচু, তবুও আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি এবং তোমাকে বিয়ে করতে চাই। এলিজাবেথ রেগে গিয়ে তার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, তুমি আমার বোন জেন ও বিঙ্গলের মাঝে বাধা হয়েছো এবং উইকহ্যামের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপবাদ দিয়েছো।
এই প্রত্যাখ্যান ডার্সিকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। সেদিন রাতে সে ঘুমাতে পারে না এবং পরদিন এলিজাবেথের জন্য একটি বিশদ চিঠি লেখে। চিঠিতে ডার্সি ব্যাখ্যা করে, তিনি প্রথমে মনে করেছিলেন জেন বিংলেকে ভালোবাসেন না, কারণ জেন ছিলেন খুব সংযত ও শান্ত স্বভাবের — তার আবেগ প্রকাশ করতেন না। তাই ডার্সির মনে হয়েছিল বিংলে জেনকে গভীরভাবে ভালোবাসলেও, জেনের পক্ষ থেকে তেমন অনুভূতি নেই। এই ভুল বোঝাবুঝি থেকেই তিনি বিংলেকে জেনের থেকে দূরে থাকতে বলেন।
সেইসাথে উইকহ্যামের সম্পর্কে সে বিস্তারিতভাবে লেখে। ডার্সি জানায়, উইকহ্যাম একসময় তার বাবার দয়ায় ৩,০০০ পাউন্ড পেয়েছিল আইন পড়ার জন্য, কিন্তু সে সেই টাকা মদ ও জুয়ার পেছনে উড়িয়ে দেয়। পরে সে ডার্সির ১৫ বছরের ছোট বোন জর্জিয়ানা ডার্সিকে ফুসলিয়ে পালিয়ে বিয়ে করার চেষ্টাও করেছিল। ডার্সি তখনই উইকহ্যামকে তার পরিবার থেকে তাড়িয়ে দেয়। এই চিঠির মাধ্যমে উইকহ্যামের ভণ্ডামির আসল চিত্র এলিজাবেথের সামনে স্পষ্ট হয়। সে চরম বিস্ময়ে উপলব্ধি করে, সে ডার্সিকে ভুল বুঝেছে। ডার্সির প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে।
এরপর কিছুদিন পর, এলিজাবেথ তার খালা ও খালুর সঙ্গে পেম্বারলি (Pemberley) এস্টেট ঘুরতে যান, যেটি ছিল ডার্সির ব্যক্তিগত রাজপ্রাসাদের মতো বিশাল সম্পত্তি। সেখানে ডার্সি হঠাৎ উপস্থিত হন এবং অত্যন্ত সৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তিনি এলিজাবেথ ও তার খালাখালুকে অত্যন্ত সম্মান দেন এবং এলিজাবেথকে তার ছোট বোন জর্জিয়ানার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। জর্জিয়ানার ভদ্রতা ও আন্তরিকতায় এলিজাবেথ মুগ্ধ হন, এবং তাদের মধ্যে একটি সুন্দর সখ্যতা গড়ে ওঠে। কিন্তু সেই সুখ-শান্তির মুহূর্তে হঠাৎ একটি চিঠি এলিজাবেথের হাতে আসে। চিঠিতে লেখা ছিল, উইকহ্যাম এলিজাবেথের ১৫ বছর বয়সী ছোট বোন লিডিয়াকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এই খবরে এলিজাবেথ ভীষণ বিচলিত হয়ে পড়েন। সমাজে এই ধরনের কেলেঙ্কারি একটি পরিবারের সম্মানকে ধূলিসাৎ করে দিতে পারে, এই ভয়ে সে অসহায় বোধ করতে থাকেন। এই অংশটুকু উপন্যাসের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও চরিত্রের রূপান্তরের সূচনা নির্দেশ করে।
উইকহ্যামের আসল চরিত্র প্রকাশ এবং দুটি হ্যাপি ইউনিয়নের মাধ্যমে উপন্যাসের পরিসমাপ্তি: লিডিয়ার উইকহ্যামের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে এলিজাবেথ খুবই দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। সে দ্রুত লংবর্নে ফিরে আসে। পরিবারের সম্মান রক্ষা করা নিয়ে সকলেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। মিস্টার বেনেট ও মিস্টার গার্ডিনার মিলে লিডিয়াকে খুঁজতে বের হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মিস্টার গার্ডিনার একটি চিঠি পাঠান, যাতে লেখা ছিল—লিডিয়া ও উইকহ্যামকে পাওয়া গেছে, এবং তারা শীঘ্রই বিয়ে করবে। পরিবারের সবাই ভাবেন, মিস্টার গার্ডিনার অনেক টাকা দিয়ে বিয়েটি করাতে রাজি করিয়েছেন। কিন্তু পরে এলিজাবেথ জানতে পারেন, ডার্সিই গোপনে সমস্ত দেনা পরিশোধ করেছেন এবং উইকহ্যামকে লিডিয়াকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছেন—শুধুমাত্র এলিজাবেথের পরিবারের সম্মান রক্ষার জন্য। ডার্সি চাননি যে কেউ তার এই দানশীলতার কথা জানুক। এলিজাবেথ এই খবর শুনে চমকে যান এবং ডার্সির প্রতি তার মনোভাব পুরোপুরি বদলে যায়।
কিছুদিন পর লিডিয়া ও উইকহ্যাম বিবাহিত অবস্থায় লংবর্নে ফিরে আসে। লিডিয়া নিজের আনন্দে মেতে থাকে, কিন্তু তার অবিবেচক কাজের জন্য কেউই তাকে খুব একটা স্বাগত জানায় না। এর কিছুদিন পর ডার্সি ও বিঙ্গলে আবার লংবর্নে আসেন। বিঙ্গলে এবার সাহস করে জেনকে বিয়ের প্রস্তাব দেন, এবং জেন তা সানন্দে গ্রহণ করেন। দুই পরিবারের মধ্যে বিয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়। এদিকে ডার্সি এলিজাবেথকে কিছুই বলেন না, যদিও তার প্রতি ভালোবাসা আগের থেকেও গভীর হয়ে উঠেছে। হঠাৎ একদিন ডার্সির ফুফু লেডি ক্যাথেরিন ডি বর্গ এলিজাবেথের বাড়িতে আসেন। তিনি এলিজাবেথকে তীব্রভাবে অপমান করেন এবং বলেন, সে ডার্সিকে বিয়ে করতে পারবে না। সে নিচু পরিবারের মেয়ে। কিন্তু এলিজাবেথ আত্মসম্মান বজায় রেখে দৃঢ়ভাবে উত্তর দেয়, সে ডার্সিকে বিয়ে করতে চাচ্ছে না। আর সে (লেডি ক্যাথেরিন) তাকে বাধা দিতে পারে না।
এই উত্তরের কথা পরে ডার্সির কানে পৌঁছায়। তিনি বুঝতে পারেন এলিজাবেথ তাকে এখন আর ঘৃণা করেন না। তখন তিনি আবার এলিজাবেথকে বিয়ের প্রস্তাব দেন—এইবার বিনয়, ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা নিয়ে। এলিজাবেথ এবার আর না বলেন না। তিনি প্রস্তাব গ্রহণ করেন। উপন্যাসের শেষে দুইটি সুখী দম্পতি—বিঙ্গলে ও জেন, এবং ডার্সি ও এলিজাবেথ—বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এলিজাবেথ ও ডার্সির ভালোবাসা অহংকার ও কুসংস্কার কাটিয়ে এক মহৎ ও আত্মিক বন্ধনে রূপ নেয়। এভাবেই “Pride and Prejudice” উপন্যাসের এক আনন্দময় পরিসমাপ্তি ঘটে।
থিমসমূহ:
অহংকার এবং কুসংস্কার, গোঁড়ামি বা পক্ষপাত: উপন্যাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ থিম হলো অহংকার এবং পক্ষপাত। অহংকার মানে নিজেকে নিয়ে অতিরিক্ত গর্ব করা, আর পক্ষপাত মানে কাউকে ভালো করে চিনে না নিয়েই তার সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করা। মিস্টার ডার্সি তার সামাজিক অবস্থান এবং সম্পদের জন্য গর্ববোধ করেন, এজন্য তিনি প্রথমে এলিজাবেথের মতো মানুষদের নিচু চোখে দেখেন। অন্যদিকে, এলিজাবেথও ডার্সিকে অহংকারী এবং রূঢ় স্বভাবের মানুষ হিসেবে দ্রুত বিচার করে ফেলে, তার প্রকৃত চরিত্র না জেনেই। শেষ পর্যন্ত তারা দুজনেই তাদের অহংকার এবং পক্ষপাত কাটিয়ে উঠে একে অপরকে ভালোভাবে বুঝতে শেখেন এবং ভালোবাসায় পড়েন। উপন্যাসটি আমাদের শেখায় যে, মানুষকে দ্রুত বিচার করা উচিত নয় এবং বিনয়ী হওয়া জরুরি।
প্রেম এবং বিবাহ: প্রেম এবং বিবাহ উপন্যাসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ থিম। উপন্যাসে বিভিন্ন বিবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। যেমন, এলিজাবেথ ও ডার্সির বিবাহ সম্মান এবং বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। কিন্তু মিস্টার কলিন্স ও শার্লট লুকাস কিংবা লিডিয়া ও উইকহ্যামের মতো বিবাহগুলি হয় নিরাপত্তা কিংবা বোকামির জন্য। জেন অস্টেন দেখিয়েছেন যে, সত্যিকারের ভালোবাসা এবং পরস্পরের প্রতি সম্মান একটি সুখী বিবাহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, শুধু ধন-সম্পদ বা সামাজিক অবস্থান নয়।
সামাজিক শ্রেণি এবং মর্যাদা: উপন্যাসটি দেখায় যে, উনিশ শতকের ইংল্যান্ডে সামাজিক শ্রেণি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মানুষ ধন-সম্পদ, পারিবারিক পটভূমি এবং সামাজিক মর্যাদাকে খুব গুরুত্ব দিত। ডার্সি তার উচ্চ সামাজিক মর্যাদার জন্য গর্ববোধ করেন। মিসেস বেনেট চান তার মেয়েরা ধনী পুরুষদের সাথে বিয়ে করুক এবং তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হোক। কিন্তু অস্টেন এই ব্যবস্থার সমস্যাগুলিও তুলে ধরেছেন—অনেক সময় মানুষকে তাদের সামাজিক শ্রেণির কারণে অন্যায়ভাবে বিচার করা হয় এবং সত্যিকারের মূল্যায়ন হয় না।
পরিবার এবং সম্পর্ক: পরিবার গল্পে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। বেনেট পরিবারের আচরণ, বিশেষ করে মিসেস বেনেটের ভাবনাহীন চিন্তা এবং লিডিয়ার বেপরোয়া কাজ, সমস্ত বোনদের জীবনকে প্রভাবিত করে। অস্টেন দেখিয়েছেন যে, পারিবারিক সম্পর্ক কখনও সমর্থন হিসেবে কাজ করে আবার কখনও ঝামেলার কারণ হয়। ভালো পরামর্শ, ভালোবাসা এবং যত্ন পরিবারের সদস্যদের সাহায্য করলে তারা ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং বেড়ে ওঠে।
Quotes
“It is a truth universally acknowledged, that a single man in possession of a good fortune, must be in want of a wife.”- (Narrator – Irony- opening line of Pride and Prejudice)
Explanation: This is the famous opening line of the novel. It humorously suggests that rich single men are always assumed to be looking for a wife.
“এটা সর্বজনবিদিত একটি সত্য, যে একজন ধনী একক পুরুষ নিশ্চয়ই একজন স্ত্রী খুঁজছেন।”
ব্যাখ্যা: উপন্যাসের শুরুতেই এই লাইনটি বলা হয়। এতে রসিকভাবে বোঝানো হয়েছে যে, ধনী ব্যাচেলরদের সবাই মনে করে তারা বিয়ে করার জন্য স্ত্রী খুঁজছে।
“You must allow me to tell you how ardently I admire and love you.”- Mr. Darcy
Explanation: Mr. Darcy says this during his first proposal to Elizabeth, showing his deep love and admiration for her.
আরো পড়ুনঃ Tess of the d’Urbervilles Bangla Summary
“আমাকে এটা বলতে দাও, আমি তোমাকে কতটা গভীরভাবে প্রশংসা করি এবং ভালোবাসি।”
ব্যাখ্যা: মিস্টার ডার্সি এলিজাবেথকে প্রথম প্রস্তাব দেওয়ার সময় এই কথা বলেন। এতে তার গভীর প্রেম এবং শ্রদ্ধার প্রকাশ ঘটে।
“I could easily forgive his pride, if he had not mortified mine.” – Elizabeth Bennet
Explanation: Elizabeth says this about Mr. Darcy. She could tolerate his pride if he hadn’t hurt her own pride.
“আমি তার গর্বকে ক্ষমা করতে পারতাম, যদি সে আমার অহংকারে আঘাত না দিত।”
ব্যাখ্যা: এলিজাবেথ ডার্সির সম্পর্কে এই কথা বলেন। সে বোঝাতে চায়, ডার্সির অহংকার সহ্য করা যেত, যদি তা তার আত্মসম্মানে আঘাত না করত।
“Till this moment I never knew myself.” – Elizabeth Bennet
Explanation: Elizabeth says this after reading Darcy’s letter. She realizes how wrong she was about him and about herself.
“এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমি নিজেকেই চিনতাম না।”
ব্যাখ্যা: ডার্সির চিঠি পড়ে এলিজাবেথ বলেন, এই লাইনটি। সে বুঝতে পারে, সে ডার্সি ও নিজের ব্যাপারে কত ভুল করেছিল।
“My good opinion once lost, is lost forever.” – (Mr. Darcy, Aphorism)
Explanation: Mr. Darcy says this. It shows that once he loses respect for someone, he doesn’t change his mind easily.
“একবার যদি আমার ভালো ধারণা নষ্ট হয়, সেটা চিরতরের জন্য হারিয়ে যায়।”
ব্যাখ্যা: মিস্টার ডার্সি এই কথা বলেন। এতে বোঝা যায়, কারও সম্পর্কে একবার খারাপ ধারণা তৈরি হলে, সেটা তার পক্ষে সহজে বদলানো সম্ভব নয়।
“You are too generous to trifle with me. If your feelings are still what they were last April, tell me so at once.” – Mr. Darcy
Explanation: Mr. Darcy says this to Elizabeth when he proposes again. He respectfully asks her to be honest about her feelings.
“তুমি এত উদার যে আমার সঙ্গে খেলা করবে না। যদি এখনো তোমার অনুভূতি আগের মতোই থাকে, আমাকে এখনই বলো।”
ব্যাখ্যা: দ্বিতীয়বার প্রস্তাব দেওয়ার সময় ডার্সি এলিজাবেথকে এই কথা বলেন। এতে তার বিনয় ও আন্তরিকতা প্রকাশ পায়।
“I am only resolved to act in that manner, which will, in my own opinion, constitute my happiness.” – Elizabeth Bennet
Explanation: Elizabeth says this to Lady Catherine, meaning she will make choices that lead to her own happiness.
“আমি শুধু এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, আমি এমনভাবে কাজ করব, যা আমার দৃষ্টিতে আমার সুখ বয়ে আনবে।”
ব্যাখ্যা: এলিজাবেথ লেডি ক্যাথরিনকে বলেন, সে নিজের ইচ্ছায় চলবে এবং নিজের সুখকে প্রাধান্য দেবে।
“In vain have I struggled. It will not do. My feelings will not be repressed.” – Mr. Darcy
Explanation: Mr. Darcy says this before declaring his love for Elizabeth. He can’t hide his feelings anymore.
“অর্থহীন ছিল আমার সব চেষ্টা। আর চলবে না। আমার অনুভূতিগুলো আর দমন করতে পারছি না।”
ব্যাখ্যা: ডার্সি এলিজাবেথকে প্রথম প্রেমপ্রস্তাব দেওয়ার সময় এই কথা বলেন। এতে তার ভালোবাসার তীব্রতা প্রকাশ পায়।
“She is tolerable, but not handsome enough to tempt me.” – (Mr. Darcy- Irony)
Explanation: Mr. Darcy says this about Elizabeth at the ball, not knowing she heard it. It shows his early pride.
“সে সহনীয়, তবে আমাকে প্রলুব্ধ করার মতো সুন্দর নয়।”
ব্যাখ্যা: ডার্সি বলড্যান্সে এলিজাবেথ সম্পর্কে এই কথা বলেন। এলিজাবেথ তা শুনে অপমানিত হন। এটা ডার্সির অহংকার প্রকাশ করে।
“What are men to rocks and mountains?” Elizabeth Bennet
Explanation: Elizabeth says this, showing her love for nature over society’s drama and men.
“পাহাড় আর পর্বতের তুলনায় পুরুষদের কি এমন দাম?”
ব্যাখ্যা: এলিজাবেথ এই কথা বলেন, যেখানে বোঝানো হয়েছে সমাজের মানুষ বা পুরুষদের চেয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য তার কাছে অনেক বেশি মূল্যবান।
“The business of her life was to get her daughters married.” Narrator (about Mrs. Bennet)
Explanation: This is about Mrs. Bennet. Her main goal in life was to see her daughters married well.
“তার জীবনের প্রধান কাজ ছিল তার মেয়েদের বিয়ে দেওয়া।”
ব্যাখ্যা: এই উক্তিটি মিসেস বেনেটকে নিয়ে। তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল ভালো পাত্রের সাথে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া।
“I am not romantic, you know. I never was. I ask only a comfortable home.” (Charlotte Lucas
Explanation: Charlotte Lucas says this. She accepts Mr. Collins not for love but for security and a stable life.
“তুমি জানো, আমি রোমান্টিক নই। কখনোই ছিলাম না। আমি শুধু একটি আরামদায়ক সংসার চাই।”
ব্যাখ্যা: শার্লট লুকাস এই কথা বলেন। তিনি ভালোবাসার জন্য নয়, বরং নিরাপদ ও স্থিতিশীল জীবনের জন্য মিস্টার কলিন্সকে গ্রহণ করেন।
“He is the best landlord, and the best master.” (Hyperbole- Mrs. Reynolds (Darcy’s housekeeper)
Explanation: Mrs. Reynolds, Darcy’s housekeeper, says this. It shows Darcy’s kindness to his servants and tenants.
“তিনি সর্বোত্তম বাড়িওয়ালা এবং সর্বোত্তম মালিক।”
ব্যাখ্যা: মিসেস রেনল্ডস, ডার্সির গৃহপরিচারিকা, এই কথা বলেন। এতে বোঝা যায় ডার্সি তার অধীনস্থদের প্রতি সদয় ও দয়ালু।
ভাষার অলংকার
- Metaphor (রূপক): যখন একটি জিনিসকে আরেকটি জিনিস হিসেবে বলা হয়, “like” বা “as” ব্যবহার না করেই। উদাহরণ: “I could easily forgive his pride, if he had not mortified mine.” এলিজাবেথ এখানে নিজের অহংকারকে এমন কিছু হিসেবে তুলনা করেছেন যেটিকে আহত বা অপমান করা যায়। এখানে অহংকারকে জীবন্ত অনুভূতিসম্পন্ন হিসেবে দেখানো হয়েছে, যেটি সহজে আঘাত পায়।
- Irony (ব্যঙ্গাত্মকতা / বক্রোক্তি): যখন কেউ কিছু বলে, কিন্তু তার অর্থ বা ফলাফল হয় সম্পূর্ণ বিপরীত। মিঃ ডার্সির প্রথম প্রস্তাবটি ছিল রোমান্টিক হবার কথা, কিন্তু সেটি এলিজাবেথকে অপমান করে এবং সে তা প্রত্যাখ্যান করে। এটি ব্যঙ্গাত্মক কারণ ডার্সি মনে করেছিল সে খুব সম্মানজনকভাবে প্রস্তাব দিচ্ছে, কিন্তু তার অহংকারপূর্ণ কথা সেই মুহূর্তটিকে নষ্ট করে দেয়।
- Symbols (প্রতীক):
- Pemberley (ডার্সির বাসভবন): চরিত্র এবং অন্তর্নিহিত গুণ এর প্রতীক। এলিজাবেথ ডার্সির প্রতি তার মনোভাব পরিবর্তন করতে শুরু করে যখন সে পেম্বারলি পরিদর্শন করে। এই বাড়িটি ডার্সির প্রকৃত চরিত্র—উচ্চমানের, রুচিশীল এবং উদার মনের পরিচয় বহন করে।
- Letters (চিঠি): সত্য এবং অন্তরের অনুভূতি এর প্রতীক। ডার্সির এলিজাবেথকে লেখা চিঠিটি তার আচরণের ব্যাখ্যা দেয় এবং তার সততা প্রকাশ করে। এই চিঠি দেখায় যে, মানুষ সবসময় মুখে যা বলে তা নয়—চিঠির মাধ্যমে অনেক সময় সত্যিকারের অনুভূতি প্রকাশ পায়।
- Marriage (বিবাহ): সামাজিক কাঠামো এবং ব্যক্তিগত পছন্দ এর প্রতীক। উপন্যাসে বিভিন্ন ধরণের বিবাহ দেখানো হয়েছে—কিছু ভালোবাসার উপর ভিত্তি করে, আবার কিছু অর্থ বা সামাজিক চাপে। এটি দেখায়, একজন কীভাবে তার বিবাহের সিদ্ধান্তে নিজের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলে।
- Dances/Balls (নৃত্য বা বল): সামাজিক মেলামেশা ও বিচার এর প্রতীক। এইসব বল বা নাচের অনুষ্ঠানে চরিত্ররা একে অপরের সাথে দেখা করে, বিচার করে এবং ভুল বোঝে। নেদারফিল্ড বল ছিল এলিজাবেথ ও ডার্সির সম্পর্কের এক মোড় ঘোরানো মুহূর্ত।
আরো পড়ুনঃ Jane Eyre Bangla Summary
Moral Lesson:
- Marriage should be based on love, not just money.
- True love is based on respect and understanding.

আপনি খুবি ভালো একজন শিক্ষক ।
খুব সুন্দর করে কাহিনীটির প্রেক্ষাপট করেছেন একদম সহজ সাবলীল ভাষায় ।
সরাজীবণ আর এই কাহিনী মনে হয়না মাথা থেকে যাবে ।ধন্যবাদ
আপনি খুবি ভালো একজন শিক্ষক ।
খুব সুন্দর করে কাহিনীটির প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেছেন একদম সহজ সাবলীল ভাষায় ।
সরাজীবণ আর এই কাহিনী মনে হয়না মাথা থেকে যাবে ।ধন্যবাদ
স্যার, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Mr.Bingley Pemberly নয় Neither Field rent করেছিলেন।
tthanks sir
অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে, সুন্দর করে লেখা এবং সহজে আয়ত্ত করা যায়
Helpful information, thanks Sir.
Great, Thanks
আমি অনেক ব্লগ পরেছি কিন্তু সবসময় ভাবছি কখন শেষ হবে খুব বিরক্ত হতাম কিন্তু আজ আমি পড়ছি আর পড়ছি কখন যে সমাপ্তি এসে পড়লো, মনে হচ্ছিল আমি এলিজাবেথ, মানতে হবে আপনি খুবই ভালো শিক্ষক, এতটা সাবলীল ভাবে লিখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
Thank you for it.
Thanks sir
রাইট
এত সুন্দর সাজানো গোছানো এবং সাবলীল ভাষায় কোন শিক্ষকের লেখায় পাইনি।
সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় ৩০০ পৃষ্ঠার একটি বইয়ের সামারি! সত্যিই অসাধারণ। মনে গেঁথে রইল।
প্রথম বার পড়ার পর একটু জটিল লাগতেছিল কিন্তু পরের বার পড়ার পর একদম ক্লিয়ার হয়ে গেল,অসম্ভব সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আপনার বুঝানোর দক্ষতার প্রশংসা না করে উপায় নেই স্যার❤️
এখানে কিছু ভুল আছে।
বলা হয়েছে বিংলে পেম্বার্লি হাউজ কিনেছেন কিন্তু সে তো নেদার ফিল্ড পার্ক কিনেছে।
Thank you
Thanks for giving clear information
এক কথায় অসাধারণ। এত সুন্দর ভাবে এত সংক্ষিপ্তভাবে যেভাবে বুঝিয়েছেন এটা মনে হয় ছোট বাচ্চা ও বুঝতে পারবে।
helpful for us
Thanks
আলহামদুলিল্লাহ স্যার,
খুব সুন্দর এবং সাবলীল ভাষায় উপন্যাসটি উপস্থাপন করার জন্য