Desire Under the Elms
সংক্ষিপ্ত জীবনী: ইউজিন ও’নিল (Eugene O’Neill)
ইউজিন গ্ল্যাডস্টোন ও’নিল (Eugene Gladstone O’Neill) জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮৮ সালের ১৬ অক্টোবর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটির এক হোটেল রুমে। তার পিতা জেমস ও’নিল ছিলেন একজন জনপ্রিয় মঞ্চ অভিনেতা, আর মাতা এল্লা কুইনলান ও’নিল ছিলেন গৃহিণী। ছোটবেলা থেকেই ইউজিন পারিবারিক অশান্তি ও ব্যক্তিগত কষ্টে বেড়ে ওঠেন। তার জীবনে দুঃখ, মরফিন অ্যাডিকশান, পিতার কঠোরতা ও নিজের অসুস্থতা গভীর প্রভাব ফেলে। তিনি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন, কিন্তু পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। পরে তিনি সমুদ্রযাত্রা করেন এবং নানা অস্থায়ী কাজ করেন। সমুদ্রজীবনের অভিজ্ঞতা তার নাটকের বিষয়বস্তুতে বিশেষভাবে ফুটে ওঠে। ও’নিল মার্কিন সাহিত্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে পরিচিত। তিনি আমেরিকান নাটককে ইউরোপীয় বাস্তববাদ, প্রতীকবাদ এবং মনস্তত্ত্বের গভীরতায় উন্নীত করেন। তার রচনায় মানুষের একাকিত্ব, দুঃখ, ভাগ্য, পরিবারিক দ্বন্দ্ব ও জীবনের অর্থহীনতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তার প্রধান রচনাগুলো হলো:
- The Hairy Ape (১৯২২): শিল্পায়িত সমাজে শ্রমিক শ্রেণির নিঃসঙ্গতা ও মানুষের পরিচয় সংকট নিয়ে লেখা এক্সপ্রেশনিস্ট নাটক।
- Beyond the Horizon (১৯১৮): প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক, যা তাকে প্রথম Pulitzer Prize এনে দেয়।
- The Emperor Jones (১৯২০): ক্ষমতা, ভয় ও মানব প্রকৃতির প্রতীকী নাটক।
- Anna Christie (১৯২১): সমুদ্র-জীবনের সাথে জড়িত একটি মেয়ের কাহিনি; Pulitzer Prize প্রাপ্ত।
- Desire Under the Elms (১৯২৪): গ্রিক ট্র্যাজেডি দ্বারা প্রভাবিত পরিবারিক নাটক।
- Strange Interlude (১৯২৮): এমন একটি নাটক যেখানে চরিত্ররা মনের কথা প্রকাশ করে; Pulitzer Prize প্রাপ্ত।
- Mourning Becomes Electra (১৯৩১): গ্রিক নাটক Oresteia–র আধুনিক রূপ।
- The Iceman Cometh (১৯৪৬): স্বপ্ন, ভ্রান্তি ও হতাশার গভীর নাটক।
- Long Day’s Journey into Night (১৯৫৬): আত্মজীবনীমূলক নাটক, যা ১৯৫৭ সালে Pulitzer Prize জেতে।
তিনি চারবার Pulitzer Prize অর্জন করেন। ১৯৩৬ সালে পান Nobel Prize in Literature। তিনিই প্রথম আমেরিকান নাট্যকার যিনি নোবেল পান। ও’নিল জীবনের শেষ দিকে নানা শারীরিক অসুখে ভুগেছিলেন। ১৯৫৩ সালের ২৭ নভেম্বর বোস্টনের একটি হোটেলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তিনি বলেছিলেন, “Born in a hotel room and died in a hotel room.” (একটি হোটেল রুমে জন্ম, আর একটি হোটেল রুমেই মৃত্যু)। তাকে “Father of Modern American Drama” হিসেবে সমাদৃত করা হয়।
Key Facts
- Full Title: Desire Under the Elms
- Author: Eugene O’Neill (1888–1953)
- When Written: 1924
- When Published: 1924 (First performed in 1924 at the Provincetown Playhouse, New York City, New York)
- Genre: Tragedy; Psychological Realism
- Literary Period: Modern American Drama / Expressionism in early 20th-century theatre
- Setting (Time): Around 1850
- Setting (Place): A lonely farmhouse in rural New England, United States
- Climax: When Abbie kills her and Eben’s baby to prove her love for him
- Ending/Resolution: Abbie and Eben confess their crime and accept their punishment together, while Cabot remains alone on the farm
Detailed Summary in Bangla
অংশ এক: দৃশ্য ১–৪
নাটকের সেটিং ও ক্যাবট পরিবারের খামারবাড়ি
নাটকটি শুরু হয় ১৮৫০ সালের নিউ ইংল্যান্ডে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঞ্চল)। ঘটনাস্থল হলো ক্যাবট পরিবারের একটি নিঃসঙ্গ খামারবাড়ি। দুটি বিশাল এলম গাছ বাড়ির ওপরে ঝুঁকে আছে। গাছগুলো যেন একদিকে বাড়িটিকে রক্ষা করছে, আবার অন্যদিকে বাড়ির ওপরে চেপে বসেছে। এলম গাছগুলো দুঃখে ভারী হয়ে আছে বলে মনে হয়। ফলে খামার-বাড়িটিকে মনে হয় যেন অন্ধকারাচ্ছন্ন ও এক ধরণের কারাগার, যেখান থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায় না। নাটকের সমস্ত ঘটনাই এই বাড়ির ভেতর বা আশেপাশে ঘটে।
১৮৫০ সালের গ্রীষ্মের শুরু। ইবেন ক্যাবট পরিবারের সবচেয়ে ছোট ছেলে। ইবেন বাড়ির বাহিরে বের হয়ে রাতের খাবারের জন্য ঘণ্টা বাজায়। তার দুই বড় সৎভাই, সিমিয়ন এবং পিটার, সারাদিন মাঠে কাজ করার পর ফিরে আসে। তারা ক্লান্ত, কিন্তু হাসিখুশি। তারা সিমিয়নের মৃত স্ত্রীকে নিয়ে কথা বলে। তারা তাদের পরিকল্পনা নিয়েও আলাপ করে—যে তারা ক্যালিফোর্নিয়ায় গোল্ড রাশে যাবে। (California Gold Rush হচ্ছে ১৮৪৮-১৮৫৫ এর একটি ঘটনা। ১৮৪৮ সালে Coloma, California-তে স্বর্ণের সন্ধান মিলেছিল। ফলে পুরো আমেরিকা থেকে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ ক্যালিফোর্নিয়াতে পাড়ি জমায় স্বর্ণের সন্ধানে।) সিমিয়ন এবং পিটার তাদের বাবার খামারে কঠোর পরিশ্রম করতে করতে বিরিক্ত। তাই তারা সোনার খোঁজে যেতে চায় ও স্বাধীন জীবনের স্বপ্ন দেখে। সিমিয়ন ও পিটার আশা করে যে তাদের বাবা, ইফ্রেইম ক্যাবট, শিগগিরই মারা যাবে। কারণ সে মরলে হয়তো তারা খামারের মালিকানা পাবে। জানালা থেকে ইবেন সব শোনে, এবং সেও প্রার্থনা করে যেন তার বাবা তাড়াতাড়ি মারা যায়।
আরো পড়ুনঃ The Glass Menagerie Bangla Summary (বাংলায়)
ইবেনের রাগ ও ভাইদের দ্বন্দ্ব
রাতের খাবারের সময় ইবেন, সিমিয়ন ও পিটার গল্প করে। ইবেন বলে সে তার বাবাকে ঘৃণা করে। সে বিশ্বাস করে যে তাদের বাবাই তার মাকে নিপীড়ন করেছে এবং খামারে অতিরিক্ত পরিশ্রম করিয়ে নিয়ে তার মায়ের মৃত্যু ঘটিয়েছে। সে বলে তার মা খুব দয়ালু ও কোমল স্বভাবের ছিলেন। সে মনে করে এই খামার তার নিজেরই প্রাপ্য, কারণ এটি ন্যায়সংগত ভাবে তার মায়ের খামার ছিল। সে মনে করে, তার মায়ের আত্মা এখনো এই বাড়িতে ঘোরে। সিমিয়ন ও পিটার একমত হয় না। তারা বলে যে, এই খামারে তারাও কঠোর পরিশ্রম করেছে, তাই খামারটি তাদেরও প্রাপ্য।
এরপর ইবেন জানায় সে শহরে যাচ্ছে। তার ভাইয়েরা হাসাহাসি করে, ও বলে সে নিশ্চয়ই মিন্নি নামের এক মেয়ের কাছে যাচ্ছে। তারা ঠাট্টা করে বলে যে তাদের বাবাও একবার মিন্নির কাছে গিয়েছিল। ইবেন রাগে ফেটে পড়ে, কিন্তু তারা আরও জোরে হেসে ওঠে। ইবেন রাগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
ইবেনের খবর ও চুক্তি
পরদিন ভোরে ইবেন শহর থেকে ফিরে আসে। সে তার ভাইদের এক সাংঘাতিক খবর জানায়—তাদের বাবা আবার বিয়ে করেছেন! এর মানে নতুন স্ত্রী খামারের অংশীদার হবে, হয়তো পুরো খামারের মালিকও হয়ে যেতে পারে।
সিমিয়ন ও পিটার হতাশ হয়ে পড়ে এবং আবার ক্যালিফোর্নিয়া যাওয়ার কথা ভাবে। তখন ইবেন তাদের একটি প্রস্তাব দেয়। ইবেন বলে, যদি তারা তাদের অংশ তার নামে লিখে দেয়, তবে সে তাদের জন্য টাকা ও স্বর্ণের ব্যবস্থা করবে, যেন তারা ক্যালিফোর্নিয়া যেতে পারে। সিমিয়ন ও পিটার জিজ্ঞেস করে, সে টাকা পেল কোথা থেকে। ইবেন মিথ্যে বলে যে সে শহরের মিন্নির কাছ থেকে জোর করে টাকা নিয়েছে। কিন্তু আসলে সে টাকা তাদের বাবার কাছ থেকে চুরি করেছে। সিমিয়ন ও পিটার প্রস্তাবে রাজি হয়।
বাবার আগমন ও অ্যাবির প্রবেশ
সেদিন বিকেলে, সিমিয়ন ও পিটার মদ খেয়ে অলসভাবে গল্প করছে। আর ইবেন বাইরে কাজ করছে। হঠাৎ ইবেন চিৎকার করে বলে, সে তার বাবাকে আসতে দেখছে। সিমিয়ন ও পিটার তাড়াতাড়ি জিনিসপত্র গুছিয়ে নেয় চলে যাওয়ার জন্য—তারা তাদের বাবার মুখোমুখি হতে চায় না। ইবেন মেঝের নিচ থেকে লুকানো সোনার থলি বের করে। সিমিয়ন ও পিটার তাদের অংশ ইবেনের নামে লিখে দেয়, ও ইবেন তাদেরকে স্বর্ণের থলি দেয়। সিমিয়ন ও পিটার অবশেষে মুক্তি অনুভব করে।
তারা যখন বের হচ্ছে, তখন তারা দেখে তাদের বাবা ইফ্রেইম ক্যাবট তার নতুন স্ত্রী অ্যাবি পুটনামকে সঙ্গে নিয়ে আসছে। অ্যাবি ক্যাবটের তুলনায় অনেক কম বয়সী। সিমিয়ন ও পিটার গেটের কাছে এসে তাদের দেখে মাটিতে থুতু ফেলে ঘৃণা প্রকাশ করে। তারপর তারা ক্যালিফোর্নিয়া নিয়ে গান গাইতে গাইতে চলে যায়। তারা খুশি যে অবশেষে তারা তাদের নিষ্ঠুর বাবা ও এই খামার থেকে চিরতরে মুক্তি পাচ্ছে। ক্যাবট তাদের উদ্দেশে অভিশাপ দেয়। অ্যাবি খুশি হয় যে তারা চলে গেছে।
অ্যাবি ও ইবেনের প্রথম সাক্ষাৎ
অ্যাবি রান্নাঘরে যায় এবং ইবেনের সঙ্গে দেখা হয়। সে হাসিমুখে ইবেনকে বলে যে সে বন্ধুত্ব করতে চায়। কিন্তু ইবেন অনাগ্রহী, সে রেগে আছে। সে মনে করে, এই মহিলা তার মায়ের ঘর দখল করতে এসেছে।
অ্যাবি তার নিজের কথা বোঝানোর চেষ্টা করে। সে বলে, সে এতদিন অনাথ ও বিধবা ছিল। সে সারাজীবন অন্যের জন্য কাজ করে এসেছে। এখন অবশেষে সে নিজের একটা ঘর পেয়েছে, তাই সে খুশি। ইবেনের মনে তার জন্য করুণা ও আকর্ষণ দুটোই জাগে, কিন্তু ঘৃণাও হয়। সে অ্যাবিকে খারাপ মহিলা বলে গাল দেয় এবং বলে, এই খামার তার মায়ের ছিল, আর এখন তার। অ্যাবি হেসে বলে, “সে দেখা যাবে।” দুজনেই একে অপরকে হুমকি দেয়—দুজনেই খামার দখল করতে চায়।
এরপর হঠাৎ অ্যাবি নরমভাবে কথা বলে। সে বলে যে তারা বন্ধু হতে পারে। ইবেন তার সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়, কিন্তু মুহূর্তেই রেগে গিয়ে বলে, সে তাকে ঘৃণা করে এবং বাইরে ছুটে যায়। বাইরে গিয়ে ইবেনের তার বাবার সাথে দেখা হয়। সে তার বাবাকে প্রচন্ড ঘৃণা করে। ক্যাবট চেঁচিয়ে বলে সে কাজ করছে না কেন। দুজনের মধ্যে তর্ক হয়। অবশেষে তারা দুজনেই গোয়ালের দিকে হাঁটতে থাকে।
অংশ দুই: দৃশ্য ১–৪
অ্যাবি ও ইবেনের ঝগড়া
এখন দুই মাস কেটে গেছে, গ্রীষ্মের শেষ সময়। বাইরে থেকে খামারটি শান্ত ও নিরিবিলি দেখায়। কিন্তু ভেতরে এক ধরণের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বুড়ো কৃষক ইফ্রেইম ক্যাবট এখনো আগের মতোই কঠোর ও গর্বিত। তার নতুন স্ত্রী অ্যাবি ভালোবাসা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা চায়। ছোট ছেলে ইবেন রাগ, ঈর্ষা, এবং অ্যাবির প্রতি এক অদ্ভুত গোপন আকর্ষণে পুড়ে যাচ্ছে। এলম গাছগুলো এখনো বাড়ির ওপর ঝুঁকে আছে—মনে হয় যেন তারা এই বাড়ির মধ্যে বেড়ে ওঠা অন্ধকার আকাঙ্ক্ষাকে নীরবে দেখছে।
অ্যাবি বারান্দায় বসে আছে। ইবেন ঘর থেকে বের হয় কোথাও যাওয়ার উদ্দেশে। সে তার সবচেয়ে ভালো পোশাক পরেছে। অ্যাবি ঠাট্টা করে জিজ্ঞেস করে, সে কি মিন্নির (মেয়েটির) সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে? অ্যাবির মুখে ঈর্ষা আর রাগ ফুটে ওঠে। সে ইবেনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে—নরমভাবে কথা বলে, চোখে হাসি এনে তাকে মুগ্ধ করার চেষ্টা করে। কিন্তু ইবেন তাকে পাত্তা না দেয়ার ভান করে। সে আবারও বলে, সে তার বাবার ও অ্যাবির কাছ থেকে খামারটা কেড়ে নেবে। সে জোর দিয়ে জানায় যে সে নিশ্চিত করবে তার মায়ের আত্মা যেন জয়ী হয়। তারপর সে রাস্তায় চলে যায়। অ্যাবি রাগে ফেটে পড়ে। এই মুহুর্তে প্রথমবার সে বুঝতে পারে—সে ইবেন ও খামার দুটিই চায়।
ঠিক তখন ইফ্রেইম ক্যাবট গোয়ালঘর থেকে বেরিয়ে আসে। সে অ্যাবিকে মনমরা দেখে জিজ্ঞেস করে, সে ও ইবেন কি আবার ঝগড়া করেছে? অ্যাবি মিথ্যা বলে, না। ক্যাবট বলে, ইবেন নরম মনের ও অলস ছেলে, সে তার মতো নয়। অ্যাবি বলে, ইবেন একদম তার মতোই। ক্যাবট গর্ব করে বলে, কেউ তার মতো হতে পারে না—কারণ সে শক্ত, কঠিন, এবং ঈশ্বর তাকে এই জমিতে কাজ করার জন্যই বেছে নিয়েছেন।
অ্যাবির পরিকল্পনা
ক্যাবট অ্যাবির পাশে বসে বার্ধক্য নিয়ে কথা বলে। সে বলে, সে এখন একা অনুভব করে ও ভাবে, হয়তো সে ইবেনকে ক্ষমা করে দিবে, আর একসঙ্গে শান্তিতে থাকবে। অ্যাবি হিংসা ও রাগ অনুভব করে। সে চায় না ক্যাবট ইবেনকে কিছু দিক।
ক্যাবট অ্যাবির মুখের দিকে তাকিয়ে তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করে। সে অ্যাবির হাতে চুমু খায়, কিন্তু অ্যাবি মুখ ফিরিয়ে নেয়। অ্যাবির মধ্যে ঘৃণা জাগে। কিন্তু নরম গলায় অ্যাবি জিজ্ঞেস করে, ক্যাবট মারা গেলে খামারটা কে পাবে। ক্যাবট বলে, হয়তো কেউই পাবে না। সে বলে, এই জমিই তার জীবন, আর সে চায় না কেউ এর আনন্দ উপভোগ করুক।
ক্যাবট কিছুক্ষণ ভেবে বলে, খামারটা তার নিজের রক্তের কারও পাওয়া উচিত—তার নিজের সন্তানের। অ্যাবি সঙ্গে সঙ্গে সুযোগ দেখে ফেলে। সে প্রস্তাব দেয়, তারা একসঙ্গে একটি সন্তান নিতে পারে। ক্যাবটের চোখ আনন্দে জ্বলজ্বল করে। সে অ্যাবিকে জড়িয়ে ধরে এবং প্রতিশ্রুতি দেয়, যদি সে তাকে একটি ছেলে দেয়, তাহলে সে যা চায় তাই পাবে। কিন্তু অ্যাবির মনে তখনই আরেকটা পরিকল্পনা তৈরি হয়। সে ক্যাবটকে মোটেও ভালোবাসে না। সে ঠিক করে, সে সন্তান নেবে—তবে ইবেনের সঙ্গে, ক্যাবটের সঙ্গে নয়। এভাবে সে একসঙ্গে ভালোবাসা এবং খামার—দুটোই পাবে।
একটি নিঃসঙ্গ রাত
সেই রাতে ক্যাবট ও অ্যাবি তাদের বিছানায় বসে আছে। দুজনেই ঘুমের পোশাক পরা। অ্যাবি চুপচাপ, দূরে তাকিয়ে আছে। ক্যাবট নিজের জীবনের গল্প আর ঈশ্বরের প্রতি তার বিশ্বাস নিয়ে অবিরাম কথা বলে যাচ্ছে। পাশের ঘরে ইবেন নিজের খাটে বসে আছে—অস্থির ও নিদ্রাহীন অবস্থায়।
ক্যাবট বলতে শুরু করে, কীভাবে মানুষ একসময় তাকে নিয়ে হাসত, কারণ তার খামার ছিল পাথরে ভর্তি ও অনুর্বর। কিন্তু সে কঠোর পরিশ্রম করেছে, আর সেই জমিকেই উর্বর করেছে। সে বিশ্বাস করে, ঈশ্বর তাকে কষ্ট দিয়েছেন যেন তাকে শক্ত করে তুলতে পারেন। সে বলে, একবার সে পশ্চিমে গিয়েছিল, নরম মাটির জায়গায়, কিন্তু ঈশ্বর তাকে আবার ফিরিয়ে এনেছেন। ক্যাবট বিশ্বাস করে, ঈশ্বর চান সে কঠিন জীবন যাপন করুক এবং এই পাথুরে জমিতেই থাকুক।
ক্যাবট যখন ঈশ্বরের কথা বলছে, অ্যাবি তা শুনছে না। তার মনে তখন ইবেন। সে ইবেনের ঘরে হাঁটার শব্দ শুনতে পায়। তার চোখ দেয়ালের দিকে স্থির হয়ে থাকে—যে দেয়াল তাদের দুই ঘরের মাঝখানে। ক্যাবট লক্ষ্য করে যে অ্যাবি মনোযোগ দিচ্ছে না, সে রেগে যায়। সে বলে, ঘরে তার ঠান্ডা লাগছে আর সে বার্নে (যেখানে শস্য, গরু ইত্যাদি রাখা হয়) গিয়ে ঘুমাবে। তারপর সে ঘর ছেড়ে চলে যায়।
অ্যাবি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে, তারপর চুপচাপ দরজা খুলে ইবেনের ঘরে প্রবেশ করে।
নিষিদ্ধ ভালোবাসা
অ্যাবি দৌড়ে গিয়ে ইবেনকে জড়িয়ে ধরে এবং গভীরভাবে চুমু খায়। ইবেনও প্রথমে তাকে চুমু খায়, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তাকে সরিয়ে দেয়। সে বলে, সে অ্যাবিকে ঘৃণা করে এবং অ্যাবি মিথ্যাবাদী। অ্যাবি বলে, সে ইবেনকে সুখী করতে পারে এবং ইবেনেরও তাকে ভালবাসতেই হবে।
তাদের মধ্যে মিন্নিকে নিয়ে তর্ক হয়। অ্যাবি ঈর্ষায় পাগল হয়ে যায়। তারপর হঠাৎ হেসে ওঠে। সে বলে, সে ইবেনের চোখে দেখতে পাচ্ছে যে ইবেনও তাকে চায়। ইবেনের মুখ বদলে যায়; রাগ গলে গিয়ে আকাঙ্ক্ষায় পরিণত হয়। অ্যাবি ধীরে ধীরে হাসে এবং বলে, সে নিচে বসার ঘরে (পার্লারে) গিয়ে তার জন্য অপেক্ষা করবে। এটি হলো সেই ঘর যেখানে ইবেনের মা মারা গিয়েছিলেন। ইবেন ভয় পেয়ে তাকে সেখানে না যেতে অনুরোধ করে। অ্যাবি বলে, সে ওখানেই তার জন্য অপেক্ষা করবে।
পার্লারে সাক্ষাৎ
কয়েক মিনিট পরে, অ্যাবি অন্ধকার পার্লারে বসে আছে। ইবেন ভেতরে ঢোকে। ঘরে নীরবতা। অ্যাবি আস্তে আস্তে বলে, সে এই ঘরে কোনো কিছুর উপস্থিতি অনুভব করছে। ইবেন বলে, এটা তার মায়ের আত্মা। তারা ইবেনের মাকে নিয়ে কথা বলে। ইবেন বলে, তার মা ক্যাবটকে ঘৃণা করত। তার মা দয়ালু ও কোমল ছিল। অ্যাবি তাকে জড়িয়ে ধরে—প্রথমে যেন এক মা হিসেবে, আর তারপরে এক প্রেমিকা হিসেবে।
ইবেন ভালোবাসা আর অপরাধবোধের মধ্যে টানাপোড়েনে অনুভব করে। সে বলে, অ্যাবি তার মায়ের ঘর দখল করেছে। অ্যাবি ফিসফিস করে বলে, সে ইবেনকে ভালোবাসে। হঠাৎ ইবেনের মুখে এক অদ্ভুত, উন্মত্ত হাসি ফুটে ওঠে। সে বলে, হয়তো তাদের এই ভালোবাসার মাধ্যমেই তার মা ক্যাবটের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে। তারা গভীরভাবে চুমু খায়। পার্লার ঘরটি নিষিদ্ধ প্রেমের প্রতীক হয়ে ওঠে।
একটি নতুন সকাল
পরদিন ভোরে ইবেন ও অ্যাবি খুশিমনে একে অপরের সাথে মিষ্টি কথা বলে। অ্যাবি জিজ্ঞেস করে, ইবেন কি তাকে ভালোবাসে? ইবেন হাসিমুখে বলে, হ্যাঁ, সে ভালোবাসে। দুজনেই শান্তি অনুভব করে। ইবেন বলে, এখন তার মা শান্তিতে বিশ্রাম নিতে পারবে, কারণ তাদের ভালোবাসার মাধ্যমে তার মায়ের আত্মা শান্তি পেয়েছে। অ্যাবি মৃদু হাসে। সে ভাবে, এখন তার কাছে ভালোবাসা ও খামার দুটোই আছে।
তৃতীয় অংশ: দৃশ্য ১–৪
শিশু ও খামার
এখন আট মাস কেটে গেছে, বসন্তের শুরু। খামারটি বাইরে থেকে আবারও শান্ত দেখায়, কিন্তু ঘরের ভিতরে টানাপোড়েন আরও গভীর হয়েছে। অ্যাবি এখন একটি সন্তানের মা হয়েছে। ইফ্রেইম ক্যাবট মনে করে শিশুটি তারই সন্তান, এবং সে গর্বিত ও নবীন বোধ করে। কিন্তু আসলে শিশুটি ইবেনের সন্তান। এই নিষ্পাপ শিশু ভালোবাসা ও অপরাধবোধ—দুটোরই প্রতীক হয়ে ওঠে।
দৃশ্যটি রান্নাঘরে শুরু হয়। অ্যাবি উপরের ঘরে মৃদু গান গেয়ে শিশুকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে। ইবেন একা বসে আছে, চিন্তিত। সে অ্যাবি ও শিশুকে গভীরভাবে ভালোবাসে, কিন্তু লজ্জা ও ভয় অনুভব করে।
হঠাৎ ক্যাবট খুব খুশি ও উৎফুল্ল মনে ঘরে প্রবেশ করে। তাকে আগের চেয়ে অনেক বেশি তরুণ ও শক্তিশালী দেখায়। সে হাসতে হাসতে বলে, শিশুর জন্ম তাকে নতুন জীবন দিয়েছে। সে বিশ্বাস করে, ঈশ্বর অবশেষে তাকে একটি সত্যিকারের ছেলে দিয়েছেন—যে খামারের উত্তরাধিকার হবে এবং তার নাম বাঁচিয়ে রাখবে। ইবেন চুপচাপ তাকিয়ে থাকে, চোখে রাগ ও কষ্টের ছায়া। ক্যাবট গর্ব করে বলে, শিশুটি বড় হয়ে তার মতোই শক্ত আর কঠিন হবে। সে বলে, “সে হবে এক সত্যিকারের ক্যাবট!”
ক্যাবটের উৎসব ও ইবেনের ঈর্ষা
ক্যাবট ইবেনকে জানায়, সে শিশুর জন্ম উদযাপন করবে। খামারের শ্রমিকদের জন্য এক উৎসবের আয়োজন করবে। সে বলে, সবাই মদ্যপান করবে, নাচবে, আর শিশুর জন্য আশীর্বাদ করবে। অ্যাবি ভান করে হাসে, কিন্তু তার মনে ভয় কাজ করছে। সে জানে, তাদের গোপনটা চিরকাল গোপন থাকবে না।
ক্যাবট বেরিয়ে যাওয়ার পর ইবেন রেগে গিয়ে অ্যাবিকে দোষারোপ করে। সে বলে, অ্যাবি আসলে ক্যাবটকে ভালবাসে, কারণ সে খামারের মালিক। অ্যাবি কাঁদে ও কসম খেয়ে বলে সে শুধু ইবেনকেই ভালবাসে। কিন্তু ইবেন নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে। সে বলে, হয়তো অ্যাবি তাকে শুধুমাত্র ব্যবহার করেছে একটি সন্তান পাওয়ার জন্য ও খামারের মালিক হওয়ার জন্য। অ্যাবি বোঝানোর চেষ্টা করে যে তাদের ভালবাসা যেন পূর্ণতা পায় তাই অ্যাবি শিশুটি নিয়েছে। কিন্তু ইবেন কিছুই শুনতে চায় না। সে অ্যাবিকে মিথ্যাবাদী বলে ঘর ছেড়ে চলে যায়।
অ্যাবির হৃদয় ভেঙে যায়। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কাঁদে। শিশুর দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বলে, “ও আমার আর ইবেনের।” সে শিশুকে বারবার চুমু খায়, কিন্তু তার মনে ধীরে ধীরে জন্ম নেয় এক ভয়ংকর চিন্তা—ইবেনের প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রমাণ করার মরিয়া পরিকল্পনা।
আরো পড়ুনঃ Death of a Salesman Bangla Summary (বাংলায়)
বার্ন ঘরে উৎসব
সন্ধ্যায় শ্রমিক ও প্রতিবেশীরা আসে উৎসবে যোগ দিতে। হাসি, গান আর মদের আসরে সবাই মেতে ওঠে। ক্যাবট রাজকীয় পোশাক পরে গর্বভরে নাচে। সে নিজের নতুন সন্তান ও শক্তি নিয়ে বড়াই করে। কিন্তু আনন্দের আড়ালে অ্যাবি আর ইবেন দুজনেই ভেতরে ভেতরে কষ্টে পুড়ছে। ইবেন একা অন্ধকারে বসে থাকে। সে উৎসবে যোগ দেয় না। অ্যাবিকে অন্যমনস্ক দেখায়।
ক্যাবট উচ্চস্বরে হাসে আর অ্যাবিকে বলে, সে আবার তরুণ হয়ে গেছে। সে চেঁচিয়ে বলে, “আমি চিরকাল বাঁচব!” এরই মধ্যে অ্যাবি সিঁড়ির দিকে মুখ ফেরায়। তার মুখ ফ্যাকাশে। সে নিচু স্বরে বলে, ইবেনের প্রতি তার ভালোবাসা প্রমাণ করার উপায় সে জানে। ধীরে ধীরে সে শিশুর ঘরের দিকে উঠে যায়।
অ্যাবির ভয়ংকর কাজ
মঞ্চে নেমে আসে নীরবতা। বার্ন ঘর থেকে আসা হাসির শব্দ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর অ্যাবি নিচে নামে। তার হাতে সাদা কাপড়ে মোড়ানো কিছু একটা। সে সেটি পার্লারের টেবিলে রেখে ঢেকে দেয়। রাতে ইবেন ফিরে আসে। অ্যাবি তার দিকে দৌড়ে গিয়ে বলে, সে “কাজটা করেছে।” ইবেন অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে, সে কোন কাজের কথা বলছে। অ্যাবি কাঁপা কণ্ঠে বলে, সে তার ভালোবাসা প্রমাণ করেছে—সে তাদের শিশুটিকে মেরে ফেলেছে যাতে তাদের মাঝে আর কিছু না থাকে।
ইবেন আতঙ্কে স্থির হয়ে যায়। সে বিশ্বাসই করতে পারে না। অ্যাবি ক্ষমা প্রার্থনা করে, কিন্তু ইবেনের মুখ সাদা হয়ে যায়। সে তাকে উন্মাদ বলে, খুনি বলে চিৎকার করে। সে বাইরে গিয়ে প্রতিবেশীদের সব বলে দেয়। অ্যাবি তার পেছনে ছুটে যায়, কাঁদতে কাঁদতে ক্ষমা ভিক্ষা করে। কিন্তু ইবেন পেছনে ফিরে তাকায় না।
পরের সকাল
পরের দিন সকালে ধীরে ধীরে সূর্য ওঠে খামারের ওপর। এলম গাছগুলো নিশ্চুপ, দুঃখে ভারী হয়ে আছে। ঘরের ভিতরে অ্যাবি চুপচাপ বসে আছে। তার চুল এলোমেলো, মুখ ফ্যাকাশে। সে ক্লান্ত, কিন্তু শান্ত—যেন শাস্তির অপেক্ষায়। ইবেন ধীরে ধীরে ঘরে ঢোকে। তার মুখে অপরাধবোধ আর যন্ত্রণার ছাপ। সে বলে, সে শেরিফের (পুলিশের) কাছে গিয়ে সব স্বীকার করেছে—অ্যাবিই শিশুটিকে মেরেছে। সে আরও বলে, সে নিজেও দোষী। কারণ তারই কারণে অ্যাবি ঈর্ষা ও হতাশায় পাগল হয়েছিল। সে বলে, সেও তার সঙ্গে শাস্তি ভোগ করবে।
অ্যাবির চোখে জল আসে। সে বলে, সে আর মৃত্যুকে ভয় পায় না, কারণ ইবেন এখনও তাকে ভালোবাসে। ইবেন তাকে জড়িয়ে ধরে বলে, তারা একসঙ্গে জেলে যাবে—“একসঙ্গে, চিরকাল একসঙ্গে।” তারা ধীরে ধীরে চুম্বন করে, ঠিক যখন তাদের ভালবাসা প্রথম শুরু হয়েছিল সেভাবে।
শেরিফ ও তার লোকজন এসে পৌঁছায়। ক্যাবট গোয়ালঘর থেকে বেরিয়ে আসে। সে চুপচাপ তাকিয়ে থাকে। ইবেন বলে, তারা চলে যাচ্ছে। ক্যাবট বলে, সে এখানেই থাকবে, কারণ এই খামারই তার জীবনের শেষ অবলম্বন। সে চোখ তুলে তাকায় এলম গাছগুলোর দিকে। নাটক শেষ হয় গভীর নীরবতায়। এলম গাছগুলো নীরব সাক্ষীর মতো দাঁড়িয়ে থাকে। অ্যাবি ও ইবেনের উন্মত্ত ভালোবাসা ধ্বংস করেছে সবকিছু—শিশু, শান্তি, পরিবার। তবু শেষ মুহূর্তে তাদের ভালোবাসা পবিত্র হয়ে ওঠে, কারণ তারা একসঙ্গে শাস্তি মেনে নেয়। ইউজিন ও’নিল এই গল্পের মাধ্যমে দেখিয়েছেন—যখন ভালোবাসা অধিকার আর লোভে পরিণত হয়, তখন তা মর্মান্তিক হয়ে যায়।
লোভ এবং সম্পত্তি: “Desire Under the Elms” নাটকে জমির প্রতি লোভ ক্যাবট পরিবারে শান্তি নষ্ট করে দেয়। ইফ্রেইম ক্যাবট তার পাথরভরা খামারকে নিজের ছেলেদের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। তার কাছে জমিটাই যেন ঈশ্বরের মতো। তার ছেলেরা—সিমিয়ন, পিটার, এবং ইবেন—এই জমির মালিক হতে চায়, কারণ তারা বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম করেছে এই খামারে। অ্যাবি কেবল নিজের জন্য এই জমি পাওয়ার উদ্দেশ্যে ক্যাবটকে বিয়ে করে। সবার মন লোভে ভরা। তারা ভালোবাসা এবং সহানুভূতি ভুলে যায়। ও’নিল দেখিয়েছেন, যখন মানুষ সম্পত্তিকে মানবিক অনুভূতির চেয়ে বেশি মূল্য দেয়, তখন তাদের জীবন শূন্য ও করুণ হয়ে যায়।
আকাঙ্ক্ষার ধ্বংসাত্মক শক্তি: এই নাটক দেখায়, নিয়ন্ত্রণহীন আকাঙ্ক্ষা কীভাবে জীবনের ধ্বংস ডেকে আনে। অ্যাবির ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষা এবং ইবেনের প্রতিশোধের আকাঙ্ক্ষা তাদেরকে নিষিদ্ধ সম্পর্কের দিকে টেনে নেয়। তাদের ভালোবাসা উন্মত্ততায় রূপ নেয়, যখন অ্যাবি ইবেনের প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রমাণ করার জন্য নিজের সন্তানকে হত্যা করে। তাদের এই প্রেম তাদের ন্যায়–অন্যায় বোধ নষ্ট করে দেয়। অন্যদিকে, সিমিয়ন ও পিটার নিজেদের ইচ্ছাকে সংযত রাখে এবং মুক্তভাবে জীবনযাপন করে। ও’নিল সতর্ক করেছেন—যখন আকাঙ্ক্ষা বিচার-বিবেচনার চেয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তখন তা সুখ নয়, বরং ট্র্যাজেডি ও যন্ত্রণার দিকে নিয়ে যায়।
বিশ্বাস এবং কষ্ট: ইফ্রেইম ক্যাবটের ঈশ্বরের প্রতি গভীর বিশ্বাসই তার অন্তহীন কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে মনে করে ঈশ্বর চান জীবন কঠিন হোক এবং সংগ্রামে ভরা থাকুক। তাই সে দিনরাত তার পাথুরে খামারে কাজ করে যায়। সে তার পরিবারকেও একইভাবে পরিশ্রম করতে বাধ্য করে। তার এই বিশ্বাস তাকে নিষ্ঠুর, একাকী, এবং তিক্ত করে তোলে। উল্লেখযোগ্যভাবে, সে পশ্চিমে যায় না, কারণ ওখানকার জমি নরম। সে বিশ্বাস করে ঈশ্বর চান সে কষ্ট পাক। এই ভুল বিশ্বাস তার জীবনকে দুঃখে ভরে দেয়। ও’নিল দেখিয়েছেন, অন্ধ বিশ্বাস মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।
Symbols
Elm Trees: The elm trees near the farmhouse stand for the power of women like Maw and Abbie. They seem to protect the house but also make it dark and heavy. Just like the trees, Maw’s memory and Abbie’s love both comfort and control the men. They show love that protects yet traps.
এলম গাছগুলো: বাড়ির ওপরে ঝুঁকে থাকা এলম গাছগুলো নারীদের শক্তির প্রতীক—যেমন মাও (Maw) ও অ্যাবি (Abbie)। গাছগুলো বাড়িটিকে রক্ষা করে বলে মনে হয়, কিন্তু একই সাথে এটিকে অন্ধকার ও ভারীও করে তোলে। যেমন গাছগুলো ঘিরে রাখে, তেমনি মাও-এর স্মৃতি ও অ্যাবির ভালোবাসা পুরুষদের একদিকে সান্ত্বনা দেয়, আবার অন্যদিকে নিয়ন্ত্রণও করে। এই গাছগুলো এমন এক ভালোবাসার প্রতীক যা একদিকে রক্ষা করে, আবার অন্যদিকে বেঁধেও ফেলে।
The Farm: The Cabot farm is the symbol of greed, pride, and inheritance. Everyone—Ephraim, Abbie, and Eben—wants to own it. This land becomes more important than love or peace. It makes them jealous and cruel. The farm shows how the desire for property can destroy family bonds and bring only pain.
খামার: ক্যাবট পরিবারের খামার লোভ, অহংকার ও উত্তরাধিকারের প্রতীক। ইফ্রেইম ক্যাবট, অ্যাবি ও ইবেন—সবাই খামারটির মালিকানা চায়। এই খামার ভালোবাসা ও শান্তির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এর ফলে তারা হিংস্র ও নিষ্ঠুর হয়ে যায়। খামারটি দেখায়, সম্পত্তির প্রতি অতিরিক্ত আকাঙ্ক্ষা কিভাবে পারিবারিক সম্পর্ক ধ্বংস করে এবং কেবল কষ্টই এনে দেয়।
Stones: The stones in the play stand for hard work, suffering, and faith. The rocky land makes farming difficult. It shows how life is full of struggle. Cabot thinks God wants him to work on the stony farm. He believes God wants to make him suffer to make him strong. But to his sons, stones mean endless labor and a life without freedom or joy.
পাথর: নাটকে পাথর কঠোর পরিশ্রম, দুঃখভোগ ও বিশ্বাসের প্রতীক। ক্যাবটের পাথুরে খামার কৃষিকাজকে কঠিন করে তোলে। এটি দেখায়, জীবন কতটা সংগ্রামে পূর্ণ। ক্যাবট বিশ্বাস করে ঈশ্বর চান সে এই কঠিন জমিতেই কাজ করুক। সে মনে করে ঈশ্বর তাকে কষ্ট দিয়ে শক্তিশালী করতে চান। কিন্তু তার ছেলেদের কাছে এই পাথর মানে হলো—অন্তহীন পরিশ্রম এবং স্বাধীনতা বা আনন্দহীন এক জীবন।
Important Quotes
1. “Two enormous elms are on each side of the house… They appear to protect and at the same time subdue.”
—Description
“বাড়িটির দুই পাশ থেকে দুইটি বিশাল এলম গাছ ঝুঁকে আছে বাড়ির ওপরে… গাছগুলো মনে হয় যেন এক দিকে রক্ষা করে, আবার একই সঙ্গে বশ করে রাখে।”
Exp: This is a stage description. The elm trees stand over the house like something heavy. The trees keep the house always in their shadow. They symbolically show how the women’s power (Maw’s memory and Abbie’s love) both give comfort and control, or trap the men.
2. “Didn’t he [Cabot] slave Maw t’ death?”
—Eben, Part 1, Scene 2
“তিনি কি মাওকে কঠোর পরিশ্রম করিয়ে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেননি?”
Exp: Eben says this angrily about his father. He believes Cabot worked his wife, Maw, too hard and caused her death. This line shows Eben’s hate. This is also the reason why he wants revenge against his father.
3. “We’re free, old man!”
—Simeon, Part 1, Scene 4
“আমরা স্বাধীন, বুড়ো!”
Exp: Simeon shouts this when he and Peter leave the farm for California. They feel free from their father’s control. It shows their choice to leave hard farm life and seek a new, hopeful life.
4. “It’s cold in this house. It’s uneasy.”
—Cabot, Part 2, Scene 2
“এই বাড়িটা ঠান্ডা। অস্বস্তিকর।”
Exp: Cabot says the house feels cold and uneasy. It means the house lacks love and comfort—a father does not love his son, and a wife does not love her husband. Everybody wants the farm only. This line also suggests that something wrong is happening inside the house—the affair between Abbie and Eben.
5. “But her [Abbie’s] eyes are fixed on his so burningly…”
—Description, Part 2, Scene 2
“কিন্তু অ্যাবির চোখগুলো এমন আগ্রাসীভাবে/কামুকভাবে ইবেনের চোখে আটকে আছে…”
Exp: This stage note describes how Abbie looks at Eben. Her eyes burn with desire. She is both loving and possessive toward Eben.
6. “Let me kiss ye, Eben! I’ll be everythin’ she was t’ ye!”
—Abbie, Part 2, Scene 3
আরো পড়ুনঃ You Never Can Tell Bangla Summary (বাংলায়)
“তোমাকে চুমু খেতে দাও, ইবেন! তোমার মা যেভাবে তোমার যত্ন নিত, আমিও তোমার জন্য সবকিছুই করবো।”
Exp: Abbie begs Eben to let her kiss him and promises to be everything his mother was to him. She mixes motherly love with sexual love. This line shows how their relationship is strange and powerful — comfort and desire together.
7. “I kin hear His (God’s) voice warnin’ me agen t’ be hard an’ stay on my farm. It’s agoin’ t’ be lonesomer now… God’s lonesome, hain’t He? God’s hard an’ lonesome!”
—Ephraim Cabot, Part 3, Scene 3
“আমি আবারও তাঁর (ঈশ্বরের) কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছি—আমাকে কঠোর হতে বলছে আর আমার খামারে থাকতে বলছে। আমি এখন আরও বেশি একাকী… ঈশ্বরও তো একা, তাই নয়? ঈশ্বর কঠোর আর একাকী!”Exp: At the end of the play, everyone leaves. Simeon and Peter went to California long ago. Now, Abbie and Eben go to jail. Cabot only stays behind, lonely with his farm. This is his tragedy. Cabot says he feels God telling him to be hard and stay on the farm. He thinks suffering and loneliness are God’s will. This is his wrong understanding of God. So, Cabot’s desire for his farm and his wrong understanding of God led him to his loneliness and tragedy.

Thanks a lot dear brother for translating the short summary for us. May Allah bless you dear.🤲